সম্পাদকীয়
বাঙালিরা কয়েকটি পশুকে বোকা বলে ভাবে। গাধা, ছাগল আর গরু—এই প্রাণী তিনটিকে বোকামির প্রতীক বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। মানুষ যখন গাল হিসেবে ছাগলের কথা বলে, তখন বোঝানো হয়, এই ব্যক্তি বুদ্ধিহীন। ‘তুই একটা ছাগল’ বললে যিনি এই উপাধি পেলেন, তাঁর খুশি হওয়ার কোনো কারণ ঘটে না। অন্যদিকে যদি কেউ বলে ‘বাঘের বাচ্চা’ কিংবা ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ অথবা ‘একেবারে সিংহ’, তাহলে মানুষের কান আরাম পায়।
প্রাণীদের নিয়ে এ রকম হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যায়। জীবনের নানা রুচিশীল ও রুচিহীন কথাবার্তার মাধ্যমে প্রাণীদের এ রকম ‘বোকা’ অবয়ব সৃষ্টি করেছে মানুষ। যখন এসব সৃষ্টি করা হয়েছে, তখন মানুষ ভেবে দেখেনি, তুলনা করতে গেলে মানুষের চেয়ে ঢের ঢের উন্নত এই প্রাণীরা। অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু দুর্নীতি এবং অপচয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলেও মানুষের কীর্তি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ফাঁস হয়ে যাবে। এখন থেকে ‘ছাগল’, ‘গাধা’, ‘গরু’ বলে যদি কাউকে ডাকা হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, সে অর্থটি তথাকথিত ‘মানুষ’ বলতে ইদানীং যে অবয়ব ভেসে ওঠে, তার চেয়ে উচ্চাঙ্গের।
প্রতিবছরই কোরবানির সময় বিপুল পরিমাণ পশুর আমদানি ঘটে হাট-বাজারে। নানা দামে সেই সব পশু বিক্রি হয়। উল্লেখযোগ্য মূল্যে পশু বিক্রি হলে তা খবরের কাগজের আলোচনার বিষয় হয়েছে আগেও। কিন্তু এবার অন্তত দুটি বিষয় সাধারণ মানুষকে দারুণ রকম বিস্মিত করেছে। কোটি টাকা দামের গরু আর ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল যখন আলোচনায় এসেছে, তখন বিস্মিত আমজনতা প্রশ্ন করেছে—এত টাকা দিয়ে যাঁরা গরু-ছাগল কিনতে পারেন, তাঁদের আয়ের হিসাব স্বচ্ছ তো?
আর সেই পথ ধরেই বেরিয়ে এল এমন সব খবর, যাতে বোঝা গেল, অসততা নিয়ে বড়াই করা ফ্যাশন হয়ে গেছে একশ্রেণির মানুষের। জবাবদিহিহীনভাবে তাঁরা এ সমাজেই টিকে থাকছেন। টিকে থাকার জন্য সমাজ ও প্রশাসনের নানা খুঁটি তাঁরা ব্যবহার করছেন। তাতেই নিপাতনে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁদের অসততা, দুর্নীতি, ঘুষের কারবার।
চালাক মানুষ আর বোকা ছাগল নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। ভাষার আলোচনায় দেখা গেছে, একসময়ের ইতিবাচক শব্দ কীভাবে নেতিবাচক শব্দে পরিণত হয়। ‘মীরজাফর’, ‘রাজাকার’ শব্দগুলো তেমনই দুটি শব্দ। বাঙালির ইতিহাসে এই শব্দগুলো চিরকালের জন্যই বিশ্বাসঘাতকতার নজির হয়ে থাকবে।
তেমনি ঈদে কোটি টাকার গরু কিংবা ১৫ লাখ টাকার ছাগল যাঁরা কেনেন, তাঁদের সম্পর্কে অবলীলায় বলা যায়, তাঁরা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ করে ‘ফুটানি’ মারছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, এই ডিজিটাল যুগে কেউ ফুটানি মারলে আমজনতা প্রশ্ন তোলার মতো স্বাবলম্বী হয়েছে।
লাখ-কোটির কারবারে মূলত অসৎ মানুষদের দাপট, সেটাও এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।তাই ‘বোকা’ গরু-ছাগলও যে অসৎ মানুষের চরিত্র উদ্ঘাটন করতে পারে, তা তো দেখাই গেল এই ঈদে। এখন থেকে গরু-ছাগলকে গাল দেবেন, নাকি এই অসৎ মানুষদের, সেটা আপনার বিবেচনার বিষয়।
বাঙালিরা কয়েকটি পশুকে বোকা বলে ভাবে। গাধা, ছাগল আর গরু—এই প্রাণী তিনটিকে বোকামির প্রতীক বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। মানুষ যখন গাল হিসেবে ছাগলের কথা বলে, তখন বোঝানো হয়, এই ব্যক্তি বুদ্ধিহীন। ‘তুই একটা ছাগল’ বললে যিনি এই উপাধি পেলেন, তাঁর খুশি হওয়ার কোনো কারণ ঘটে না। অন্যদিকে যদি কেউ বলে ‘বাঘের বাচ্চা’ কিংবা ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ অথবা ‘একেবারে সিংহ’, তাহলে মানুষের কান আরাম পায়।
প্রাণীদের নিয়ে এ রকম হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যায়। জীবনের নানা রুচিশীল ও রুচিহীন কথাবার্তার মাধ্যমে প্রাণীদের এ রকম ‘বোকা’ অবয়ব সৃষ্টি করেছে মানুষ। যখন এসব সৃষ্টি করা হয়েছে, তখন মানুষ ভেবে দেখেনি, তুলনা করতে গেলে মানুষের চেয়ে ঢের ঢের উন্নত এই প্রাণীরা। অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু দুর্নীতি এবং অপচয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলেও মানুষের কীর্তি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ফাঁস হয়ে যাবে। এখন থেকে ‘ছাগল’, ‘গাধা’, ‘গরু’ বলে যদি কাউকে ডাকা হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, সে অর্থটি তথাকথিত ‘মানুষ’ বলতে ইদানীং যে অবয়ব ভেসে ওঠে, তার চেয়ে উচ্চাঙ্গের।
প্রতিবছরই কোরবানির সময় বিপুল পরিমাণ পশুর আমদানি ঘটে হাট-বাজারে। নানা দামে সেই সব পশু বিক্রি হয়। উল্লেখযোগ্য মূল্যে পশু বিক্রি হলে তা খবরের কাগজের আলোচনার বিষয় হয়েছে আগেও। কিন্তু এবার অন্তত দুটি বিষয় সাধারণ মানুষকে দারুণ রকম বিস্মিত করেছে। কোটি টাকা দামের গরু আর ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল যখন আলোচনায় এসেছে, তখন বিস্মিত আমজনতা প্রশ্ন করেছে—এত টাকা দিয়ে যাঁরা গরু-ছাগল কিনতে পারেন, তাঁদের আয়ের হিসাব স্বচ্ছ তো?
আর সেই পথ ধরেই বেরিয়ে এল এমন সব খবর, যাতে বোঝা গেল, অসততা নিয়ে বড়াই করা ফ্যাশন হয়ে গেছে একশ্রেণির মানুষের। জবাবদিহিহীনভাবে তাঁরা এ সমাজেই টিকে থাকছেন। টিকে থাকার জন্য সমাজ ও প্রশাসনের নানা খুঁটি তাঁরা ব্যবহার করছেন। তাতেই নিপাতনে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁদের অসততা, দুর্নীতি, ঘুষের কারবার।
চালাক মানুষ আর বোকা ছাগল নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। ভাষার আলোচনায় দেখা গেছে, একসময়ের ইতিবাচক শব্দ কীভাবে নেতিবাচক শব্দে পরিণত হয়। ‘মীরজাফর’, ‘রাজাকার’ শব্দগুলো তেমনই দুটি শব্দ। বাঙালির ইতিহাসে এই শব্দগুলো চিরকালের জন্যই বিশ্বাসঘাতকতার নজির হয়ে থাকবে।
তেমনি ঈদে কোটি টাকার গরু কিংবা ১৫ লাখ টাকার ছাগল যাঁরা কেনেন, তাঁদের সম্পর্কে অবলীলায় বলা যায়, তাঁরা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ করে ‘ফুটানি’ মারছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, এই ডিজিটাল যুগে কেউ ফুটানি মারলে আমজনতা প্রশ্ন তোলার মতো স্বাবলম্বী হয়েছে।
লাখ-কোটির কারবারে মূলত অসৎ মানুষদের দাপট, সেটাও এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।তাই ‘বোকা’ গরু-ছাগলও যে অসৎ মানুষের চরিত্র উদ্ঘাটন করতে পারে, তা তো দেখাই গেল এই ঈদে। এখন থেকে গরু-ছাগলকে গাল দেবেন, নাকি এই অসৎ মানুষদের, সেটা আপনার বিবেচনার বিষয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে