জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) এক কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে এক কোটির বেশি টাকার হদিস পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত লুৎফুল করিম চৌধুরী কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন)। নগরীর হালিশহর শাখায় তিন ব্যাংকে স্ত্রী ও তাঁর অ্যাকাউন্টে এক কোটি তিন লাখ ২৭ হাজার টাকার সন্ধান পায় দুদকের তদন্তকারী দল। এর মধ্যে স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
মাঝারি মাপের কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে এতো টাকায় বিস্মিত সংশ্লিষ্টরা। এসব টাকা অবৈধ উপায়ে আয় করা বলে জানিয়েছে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অপরদিকে লুৎফুল করিম চৌধুরীর দাবি, ‘এসব টাকা অবৈধ নয়, বৈধ উপায়ে উপার্জিত।’ যদিও তিনি গত বছর আয়কর রিটার্নে নগদ টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে তদন্ত করছে দুদক। সর্বশেষ তদন্ত করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৃষি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক ষোলশহর শাখা এবং এবি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে অবৈধ এক কোটি ৩ লাখ টাকা ‘নো ডেবিট’ করতে চিঠি আকারে আবেদন জানান। তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতে এই তিন শাখার লেনদেন সাময়িক ব্লক করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কেজিডিসিএলের জমি কেনা ও টাকার বিনিময়ে পদোন্নতির মাধ্যমে থেকে লুৎফুল করিম চৌধুরী এসব টাকা আয় করেন। পরে নিজের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে রেখেছেন। কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখায় ৫ বছর মেয়াদি ২৭ লাখ টাকার এফডিআর (নম্বর ৬১৪) আছে। এটি ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁর হিসাব নম্বরে (২৯৩১০৩১০০৬০৫০১) ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৪ টাকা রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষি ব্যাংকে তাঁর ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৪ টাকা হদিস পায় দুদক।
এ ছাড়া বেসিক ব্যাংকের ষোলশহর শাখায় তিন বছর মেয়াদি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে তাঁর নামে। এ ছাড়া হিসাব নম্বরে (২৪১৪০১০০১২৩৯৯) ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৯৪ টাকাসহ মোট ২৩ লাখ ৩ হাজার ৩৯৪ টাকা রয়েছে লুৎফুল করিম চৌধুরীর।
নগরের জিইসির ও আর নিজাম রোড শাখায় স্ত্রী ফারহানা রশিদের নামে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আছে ৪০ লাখ টাকার। এফএসপি রেজি: ১২১/৮ নম্বরের হিসাবটি খোলা হয় ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট। তাঁর বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে তিন ব্যাংকে এক কোটি ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ টাকার সন্ধান পান দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। লুৎফুল করিম চৌধুরী ২০২০ সালের ৩০ জুন তাঁর আয়কর নথিতে নগদ ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৮ টাকা দেখান।
তাঁর নামে নগরীর বাকলিয়ায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অকৃষির ৪ কাঠার একটি প্লটও (নম্বর-এ/৭৫) রয়েছে। সিডিএর এক কর্মকর্তা বলেন, লুৎফুল করিম চৌধুরী ২০০৬ সালে চার কাঠার প্লটটি বরাদ্দ পান। তখন কাঠাপ্রতি এর মূল্য ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে চার কাঠার দাম ১৫ লাখ টাকা।
দুদক তদন্ত করে দেখেছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এসব টাকা রাখার আগে কেজিডিসিএলের জন্য জমি কেনায় দুর্নীতি ও মধ্য রাতে ৫৭ জনকে পদোন্নতির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে জিইসি এলাকার ইউনেসকো সেন্টারের পাশে ২৭ কাঠা জমি কেনে কেজিডিসিএল। এতে খরচ হয় প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে জমিটির মৌজা দর ছিল কাঠাপ্রতি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ২৭ কাঠা জমির দাম পড়ে ১১ কোটি টাকা।
১৯৮৫ সালে লুৎফুল করিম চৌধুরী বিক্রয় সহকারী পদে সংস্থাটিতে যোগ দেন। এই পদের বেতন গ্রেড ১২তম। বেতন স্কেল-৯ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা। উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পান ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বে আছেন ২০১৮ সালের ১০ জুন থেকে। এ পদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার ৭১ হাজার ২০০ টাকা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) এক কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে এক কোটির বেশি টাকার হদিস পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত লুৎফুল করিম চৌধুরী কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন)। নগরীর হালিশহর শাখায় তিন ব্যাংকে স্ত্রী ও তাঁর অ্যাকাউন্টে এক কোটি তিন লাখ ২৭ হাজার টাকার সন্ধান পায় দুদকের তদন্তকারী দল। এর মধ্যে স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
মাঝারি মাপের কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে এতো টাকায় বিস্মিত সংশ্লিষ্টরা। এসব টাকা অবৈধ উপায়ে আয় করা বলে জানিয়েছে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অপরদিকে লুৎফুল করিম চৌধুরীর দাবি, ‘এসব টাকা অবৈধ নয়, বৈধ উপায়ে উপার্জিত।’ যদিও তিনি গত বছর আয়কর রিটার্নে নগদ টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে তদন্ত করছে দুদক। সর্বশেষ তদন্ত করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৃষি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক ষোলশহর শাখা এবং এবি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে অবৈধ এক কোটি ৩ লাখ টাকা ‘নো ডেবিট’ করতে চিঠি আকারে আবেদন জানান। তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতে এই তিন শাখার লেনদেন সাময়িক ব্লক করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কেজিডিসিএলের জমি কেনা ও টাকার বিনিময়ে পদোন্নতির মাধ্যমে থেকে লুৎফুল করিম চৌধুরী এসব টাকা আয় করেন। পরে নিজের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে রেখেছেন। কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখায় ৫ বছর মেয়াদি ২৭ লাখ টাকার এফডিআর (নম্বর ৬১৪) আছে। এটি ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁর হিসাব নম্বরে (২৯৩১০৩১০০৬০৫০১) ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৪ টাকা রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষি ব্যাংকে তাঁর ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৪ টাকা হদিস পায় দুদক।
এ ছাড়া বেসিক ব্যাংকের ষোলশহর শাখায় তিন বছর মেয়াদি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে তাঁর নামে। এ ছাড়া হিসাব নম্বরে (২৪১৪০১০০১২৩৯৯) ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৯৪ টাকাসহ মোট ২৩ লাখ ৩ হাজার ৩৯৪ টাকা রয়েছে লুৎফুল করিম চৌধুরীর।
নগরের জিইসির ও আর নিজাম রোড শাখায় স্ত্রী ফারহানা রশিদের নামে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আছে ৪০ লাখ টাকার। এফএসপি রেজি: ১২১/৮ নম্বরের হিসাবটি খোলা হয় ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট। তাঁর বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে তিন ব্যাংকে এক কোটি ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ টাকার সন্ধান পান দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। লুৎফুল করিম চৌধুরী ২০২০ সালের ৩০ জুন তাঁর আয়কর নথিতে নগদ ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৮ টাকা দেখান।
তাঁর নামে নগরীর বাকলিয়ায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অকৃষির ৪ কাঠার একটি প্লটও (নম্বর-এ/৭৫) রয়েছে। সিডিএর এক কর্মকর্তা বলেন, লুৎফুল করিম চৌধুরী ২০০৬ সালে চার কাঠার প্লটটি বরাদ্দ পান। তখন কাঠাপ্রতি এর মূল্য ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে চার কাঠার দাম ১৫ লাখ টাকা।
দুদক তদন্ত করে দেখেছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এসব টাকা রাখার আগে কেজিডিসিএলের জন্য জমি কেনায় দুর্নীতি ও মধ্য রাতে ৫৭ জনকে পদোন্নতির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে জিইসি এলাকার ইউনেসকো সেন্টারের পাশে ২৭ কাঠা জমি কেনে কেজিডিসিএল। এতে খরচ হয় প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে জমিটির মৌজা দর ছিল কাঠাপ্রতি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ২৭ কাঠা জমির দাম পড়ে ১১ কোটি টাকা।
১৯৮৫ সালে লুৎফুল করিম চৌধুরী বিক্রয় সহকারী পদে সংস্থাটিতে যোগ দেন। এই পদের বেতন গ্রেড ১২তম। বেতন স্কেল-৯ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা। উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পান ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বে আছেন ২০১৮ সালের ১০ জুন থেকে। এ পদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার ৭১ হাজার ২০০ টাকা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে