কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ধানের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো তার প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চাল।
ধানের ভরা মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় টানা ৩৫ দিন ধরে চালের বাজার চড়া। এতে ধান চালের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে প্রশাসন। বিভিন্ন মিলে চালানো হয় অভিযান, করা হয় জরিমানা। এর মধ্যে ধানের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে কমেনি কোনো ধরনের চালের দাম। বরং বাসমতি চালের দাম কেজিতে আরও এক টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার খাজানগর দেশের অন্যতম বৃহত্তর চালের মোকাম। সেখানকার মিলমালিকেরা বলছেন, মিলগেটে চালের কেজিতে ২ টাকা কমেছে। কিন্তু খুচরা বাজারে গিয়ে এই কথার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার বড় বাজার, পৌরবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম ৬৭ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে। কাজল লতাও একই দাম ৫৬ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এতে নিম্নআয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আয়ের সঙ্গে বাজারের হিসেব কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, ‘পরশুদিন থেকে ধানের দাম কমে আসার পর থেকে সব ধরনের ৫০ কেজি চালের বস্তা প্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা কমে বিক্রি করছেন মিল মালিকেরা। দ্রুত সময়ে আরও কমবে চালের দাম বলে দাবি এই চাল ব্যবসায়ী নেতা।’
পৌরবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী কালাচাঁদ বলেন, ‘চালের দাম প্রতিদিন যেভাবে কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা করে বাড়ছিল সেটা এখন আর নেই। তবে নতুন করে চাল না কেনায় দাম কমেছে কি না বলতে পারছি না। তবে সরকারের উচিত এভাবেই চাপ দিয়ে রাখা তাহলে চালের বাজার কমবে। প্রতিনিয়ত দাম বাড়লে ব্যবসা করতে সমস্যা হয়। ক্রেতাদের কাছে কথা শুনতে হয়।’
তবে মিল গেটে চালের দাম কমেছে স্বীকার করে কুষ্টিয়া পৌর বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, কম দামে এখনো চাল কিনতে পারেননি। চাল অর্ডার করলে মিলগেট থেকে তিন চার দিন পরে চাল পাচ্ছেন তাঁরা। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে খুচরা বাজারেও চালের দাম কমে আসবে।
কুষ্টিয়া পৌরবাজারে চাল কিনতে আসা মিল লাইন এলাকার শুকেন বাগচি বলেন, আমরা কম বেতনের কাজ করি, ৫ জনের সংসার, যা আয় করি তা যদি চাল কিনতেই ফুরিয়ে যায়, অন্য কিছু কিনবো কিভাবে? আমরা ভাতের অভাবে মরতে বসেছি।
জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবদুস সালাম তরফদার বলেন, ‘আমরা অভিযান করছি, কিন্তু অভিযানে গিয়ে নির্দিষ্ট গুদাম পাওয়া যায় না। এটাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। আমরা কাজ করছি, কোনোভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।’
জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সব মিলমালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কত টাকায় কী পরিমাণ কবে ধান কিনছেন, কী পরিমাণ চাল উৎপাদন করছেন, কী পরিমাণ কোথায় কার কাছে বিক্রি করছেন, সেইসব তথ্য আমাদের জানানোর। কঠোরভাবে সবকিছু নজরদারি করা হচ্ছে। চালের দাম দ্রুত কমতে শুরু করবে।’
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ধানের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো তার প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চাল।
ধানের ভরা মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় টানা ৩৫ দিন ধরে চালের বাজার চড়া। এতে ধান চালের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে প্রশাসন। বিভিন্ন মিলে চালানো হয় অভিযান, করা হয় জরিমানা। এর মধ্যে ধানের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে কমেনি কোনো ধরনের চালের দাম। বরং বাসমতি চালের দাম কেজিতে আরও এক টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার খাজানগর দেশের অন্যতম বৃহত্তর চালের মোকাম। সেখানকার মিলমালিকেরা বলছেন, মিলগেটে চালের কেজিতে ২ টাকা কমেছে। কিন্তু খুচরা বাজারে গিয়ে এই কথার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার বড় বাজার, পৌরবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম ৬৭ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে। কাজল লতাও একই দাম ৫৬ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এতে নিম্নআয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আয়ের সঙ্গে বাজারের হিসেব কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, ‘পরশুদিন থেকে ধানের দাম কমে আসার পর থেকে সব ধরনের ৫০ কেজি চালের বস্তা প্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা কমে বিক্রি করছেন মিল মালিকেরা। দ্রুত সময়ে আরও কমবে চালের দাম বলে দাবি এই চাল ব্যবসায়ী নেতা।’
পৌরবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী কালাচাঁদ বলেন, ‘চালের দাম প্রতিদিন যেভাবে কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা করে বাড়ছিল সেটা এখন আর নেই। তবে নতুন করে চাল না কেনায় দাম কমেছে কি না বলতে পারছি না। তবে সরকারের উচিত এভাবেই চাপ দিয়ে রাখা তাহলে চালের বাজার কমবে। প্রতিনিয়ত দাম বাড়লে ব্যবসা করতে সমস্যা হয়। ক্রেতাদের কাছে কথা শুনতে হয়।’
তবে মিল গেটে চালের দাম কমেছে স্বীকার করে কুষ্টিয়া পৌর বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, কম দামে এখনো চাল কিনতে পারেননি। চাল অর্ডার করলে মিলগেট থেকে তিন চার দিন পরে চাল পাচ্ছেন তাঁরা। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে খুচরা বাজারেও চালের দাম কমে আসবে।
কুষ্টিয়া পৌরবাজারে চাল কিনতে আসা মিল লাইন এলাকার শুকেন বাগচি বলেন, আমরা কম বেতনের কাজ করি, ৫ জনের সংসার, যা আয় করি তা যদি চাল কিনতেই ফুরিয়ে যায়, অন্য কিছু কিনবো কিভাবে? আমরা ভাতের অভাবে মরতে বসেছি।
জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবদুস সালাম তরফদার বলেন, ‘আমরা অভিযান করছি, কিন্তু অভিযানে গিয়ে নির্দিষ্ট গুদাম পাওয়া যায় না। এটাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। আমরা কাজ করছি, কোনোভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।’
জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সব মিলমালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কত টাকায় কী পরিমাণ কবে ধান কিনছেন, কী পরিমাণ চাল উৎপাদন করছেন, কী পরিমাণ কোথায় কার কাছে বিক্রি করছেন, সেইসব তথ্য আমাদের জানানোর। কঠোরভাবে সবকিছু নজরদারি করা হচ্ছে। চালের দাম দ্রুত কমতে শুরু করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে