ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি আড়তদার পট্টি এলাকার বাসিন্দা নাসির মিয়া। ছোটবেলা থেকে নাসির শখের বশে তৈরি করতেন হরেক রকমের ঘুড়ি। সেই ঘুড়ি কখনো গাঙের ধারে কখনো বা খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে উড়াতেন। তবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ নিমেষেই ফিকে হয়ে যেত মায়ের বকুনিতে। তবু দমে যাননি তিনি। ঘুড়ি তৈরি ও উড়ানো তাঁর নেশায় পরিণত হয়। পরে তা পেশায় পরিণত হয়। বর্তমানে ৪০ পেরোনো নাসিরের তৈরি করা ১৫-২০টি ঘুড়ি প্রতিদিন কিনতে আসে শিশু কিশোরেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোকানে বসে গভীর মনোযোগে ঘুড়ি তৈরি করছেন নাসির মিয়া। ঢাউস, ঢুলি, তেলেঙ্গা, চিল, সাপ, ধারি ও ফুল, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ইগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ নানান ধরনের ঘুড়ি। এই ঘুড়ি ১০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। বিকেল হলেই শিশু কিশোররা দোকানে ঘুড়ি কিনতে ভিড় করে। ঘুড়ির চাহিদা বেশি হওয়ায় দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না নাসির মিয়া। এই ঘুড়ি তিনি নিজেও ওড়ান। বিক্রির সময়ও উড়িয়ে দেখান ক্রেতাদের।
ঘুড়ির কারিগর নাসির মিয়া জানান, প্রতিদিন ১৫-২০টি ঘুড়ি বিক্রি হয়। কোনো কোনো দিন বেশিও বিক্রি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে শিশু কিশোররা হরেক রকমের ঘুড়ি কিনতে আসে। অনেকে আবার কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।’
নেশা থেকে নাসির মিয়ার ঘুড়ি তৈরি বর্তমানে পেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, শখের বশে ঘুড়ি তৈরি গাঙের ধারে ও খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে উড়াতেন। এক সময় ঘুড়ি ওড়ানো নেশায় পরিণত হয়। এ জন্য মায়ের বকুনিও খেয়েছেন।
শুকনো মৌসুম শুরু হলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘুড়ির উৎসব শুরু হয়। মাঘ মাস থেকে শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো। ঘুড়ি ওড়ানোর সময় নাটাইয়ের সুতা ছিঁড়ে ঘুড়ি চলে যায় অন্য কোনো গ্রামে। অনেক সময় এক ঘুড়ি অন্য ঘুড়ির সুতা কাটে। এতে খুশি সবাই।
নার্সারি পড়ুয়া ছেলের জন্য দুটি ঘুড়ি কিনেছেন আশরাফ উদ্দিন আসিফ ও আলী আহমেদ আশিক। তাঁরা বলেন, ‘নাসির মিয়া ছোট বেলা থেকে ঘুড়ি বানান। বিক্রিও করেন। তাঁর ঘুড়ির ভালো ডাকনাম রয়েছে। আমরাও ছোট সময় ওড়াতাম। মজাই আলাদা। এখন উনার ঘুড়ি বাচ্চারা ওড়াচ্ছে।’
নাসির মিয়া বলেন, একটি পরিপাটি ঘুড়ি বানাতে বেশ শ্রম দিতে হয়। মনোযোগ দিয়ে তৈরি করতে হয়। প্রথমে কাঁচা বাঁশ কেটে চিকন কঞ্চি করতে হয়। ঘুড়ির প্রকার অনুয়ায়ী শলাগুলো বিভিন্ন আকৃতিতে সাজিয়ে সবুজ হলুদ পোস্টার কাগজ দিয়ে ছাউনি দিতে হয়। গ্রামে এটি ‘কাঠ কাগজ’ বলে পরিচিত। উপাদান ভালো হলে নকশার কারুকাজ সুচারু হয়। ঘুড়ির সাইজ অনুয়ায়ী দাম কমবেশি হয়। ঘুড়ির মধ্যে জনপ্রিয় হলো ঢাউস, ঢুলি, তেলেঙ্গা, চিল, সাপ, ধারি ও ফুল ঘুড়ি। এ ছাড়া আছে চারকোনা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ইগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, আগুন পাখি, প্যাঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি লেজ, পাল তোলা জাহাজ জাতীয় পতাকা ইত্যাদি।
ঝালকাঠি আড়তদার পট্টি এলাকার বাসিন্দা নাসির মিয়া। ছোটবেলা থেকে নাসির শখের বশে তৈরি করতেন হরেক রকমের ঘুড়ি। সেই ঘুড়ি কখনো গাঙের ধারে কখনো বা খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে উড়াতেন। তবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ নিমেষেই ফিকে হয়ে যেত মায়ের বকুনিতে। তবু দমে যাননি তিনি। ঘুড়ি তৈরি ও উড়ানো তাঁর নেশায় পরিণত হয়। পরে তা পেশায় পরিণত হয়। বর্তমানে ৪০ পেরোনো নাসিরের তৈরি করা ১৫-২০টি ঘুড়ি প্রতিদিন কিনতে আসে শিশু কিশোরেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোকানে বসে গভীর মনোযোগে ঘুড়ি তৈরি করছেন নাসির মিয়া। ঢাউস, ঢুলি, তেলেঙ্গা, চিল, সাপ, ধারি ও ফুল, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ইগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ নানান ধরনের ঘুড়ি। এই ঘুড়ি ১০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। বিকেল হলেই শিশু কিশোররা দোকানে ঘুড়ি কিনতে ভিড় করে। ঘুড়ির চাহিদা বেশি হওয়ায় দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না নাসির মিয়া। এই ঘুড়ি তিনি নিজেও ওড়ান। বিক্রির সময়ও উড়িয়ে দেখান ক্রেতাদের।
ঘুড়ির কারিগর নাসির মিয়া জানান, প্রতিদিন ১৫-২০টি ঘুড়ি বিক্রি হয়। কোনো কোনো দিন বেশিও বিক্রি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে শিশু কিশোররা হরেক রকমের ঘুড়ি কিনতে আসে। অনেকে আবার কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।’
নেশা থেকে নাসির মিয়ার ঘুড়ি তৈরি বর্তমানে পেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, শখের বশে ঘুড়ি তৈরি গাঙের ধারে ও খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে উড়াতেন। এক সময় ঘুড়ি ওড়ানো নেশায় পরিণত হয়। এ জন্য মায়ের বকুনিও খেয়েছেন।
শুকনো মৌসুম শুরু হলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘুড়ির উৎসব শুরু হয়। মাঘ মাস থেকে শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো। ঘুড়ি ওড়ানোর সময় নাটাইয়ের সুতা ছিঁড়ে ঘুড়ি চলে যায় অন্য কোনো গ্রামে। অনেক সময় এক ঘুড়ি অন্য ঘুড়ির সুতা কাটে। এতে খুশি সবাই।
নার্সারি পড়ুয়া ছেলের জন্য দুটি ঘুড়ি কিনেছেন আশরাফ উদ্দিন আসিফ ও আলী আহমেদ আশিক। তাঁরা বলেন, ‘নাসির মিয়া ছোট বেলা থেকে ঘুড়ি বানান। বিক্রিও করেন। তাঁর ঘুড়ির ভালো ডাকনাম রয়েছে। আমরাও ছোট সময় ওড়াতাম। মজাই আলাদা। এখন উনার ঘুড়ি বাচ্চারা ওড়াচ্ছে।’
নাসির মিয়া বলেন, একটি পরিপাটি ঘুড়ি বানাতে বেশ শ্রম দিতে হয়। মনোযোগ দিয়ে তৈরি করতে হয়। প্রথমে কাঁচা বাঁশ কেটে চিকন কঞ্চি করতে হয়। ঘুড়ির প্রকার অনুয়ায়ী শলাগুলো বিভিন্ন আকৃতিতে সাজিয়ে সবুজ হলুদ পোস্টার কাগজ দিয়ে ছাউনি দিতে হয়। গ্রামে এটি ‘কাঠ কাগজ’ বলে পরিচিত। উপাদান ভালো হলে নকশার কারুকাজ সুচারু হয়। ঘুড়ির সাইজ অনুয়ায়ী দাম কমবেশি হয়। ঘুড়ির মধ্যে জনপ্রিয় হলো ঢাউস, ঢুলি, তেলেঙ্গা, চিল, সাপ, ধারি ও ফুল ঘুড়ি। এ ছাড়া আছে চারকোনা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ইগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, আগুন পাখি, প্যাঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি লেজ, পাল তোলা জাহাজ জাতীয় পতাকা ইত্যাদি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে