সম্পাদকীয়
টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চারজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়কেই তুলে ধরে। জমি-সংক্রান্ত বিবাদে পেশিশক্তি যাদের বেশি, তারাই অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এ রকম একটি অন্যায় করার পরও তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় মামলা হয়নি। এ রকম এক একটা পাশবিক ঘটনা ঘটতে থাকবে অথচ সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা পড়ে থাকবে প্রশ্নবোধক চিহ্নের নিচে। ক্ষমতাশালীরা নিজেদের মতো করেই আইন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে এবং সেটা তারা পারবেও, যদি আইন রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাক থাকে।
‘ভিলেজ পলিটিকস’ নামে বহুদিন ধরে যা শুনে আসছি আমরা, তাতে গ্রামের কিছুসংখ্যক মানুষের কূটবুদ্ধির পরিচয়ই প্রধান। এই প্রবণতা এখন বাড়ছে। এখন শুধু কৌশলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাতেই তাদের তৎপরতা থেমে নেই; বরং পেশিশক্তির মাধ্যমে জমিজমা কেড়ে নেওয়াটাও ‘ভিলেজ পলিটিকস’-এর একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। শুধু টাঙ্গাইলের মধুপুরেই এ রকম ঘটনা ঘটছে—এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। পেশিশক্তির দাপট ছড়িয়েছে দেশের প্রায় সবখানেই।
ঘটনাগুলো ঘটতে পারছে ক্ষমতাবানেরা অন্যায় করে থাকলে আইন সেখানে দ্রুত পৌঁছায় না বলে। বর্তমান ঘটনাতেও দেখা যাচ্ছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিবদমান জমিতে বাড়ি তুলতে গেছে ক্ষমতাবান পক্ষ। বিরোধীপক্ষ তাতে বাধা দিতে গেলে একই পরিবারের মা, দুই ছেলে ও এক ছেলের বউকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এ রকম অরাজকতা ঘটছে জেনেও পড়শিরা কেউ এর প্রতিকারের জন্য এগিয়ে আসেনি। এ থেকেই ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়। ভয় গ্রাস করেছে স্থানীয় জনগণকে।
কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তার পরিণতি কী হতে পারে, সেটাই এই শঙ্কার কারণ। এর চেয়েও বড় কথা, পুলিশে ফোন করার পর সেখান থেকে দ্রুত কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজকের পত্রিকার খবরে এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, পুলিশ কেন দেরি করছিল? চারজন মানুষকে প্রকাশ্যে অপমান ও নির্যাতন করা হচ্ছে, অথচ পুলিশ ভাবছে, দুলকিচালে আসবে, এ কেমন কথা? নির্যাতিত ব্যক্তিদের পক্ষে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পরই কেবল পুলিশের সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই ফোন কলটি না গেলে কি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসত? এ প্রশ্নটির উত্তর নেই। পুলিশ এসে ভুক্তভোগী চারজনকে বাঁধা অবস্থায়ই পায়, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা খবর পড়েও জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে কেউ মামলা করেনি নাকি করার সাহস পায়নি, সে প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
সবার অলক্ষ্যেই একটা অদ্ভুত সমাজ গড়ে উঠছে। এই অন্যায়ের প্রতিকার করতে সমাজ নিয়ে যাঁরা ভাবেন, তাঁদের এগিয়ে আসা উচিত। সবচেয়ে যা দরকার তা হলো, ক্ষমতাবান আর আইন যেন গুবলেট পাকিয়ে সত্যকে আড়াল না করে। আইনের শাসন যেন শুধু কথার কথা হয়ে না থাকে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চারজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়কেই তুলে ধরে। জমি-সংক্রান্ত বিবাদে পেশিশক্তি যাদের বেশি, তারাই অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এ রকম একটি অন্যায় করার পরও তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় মামলা হয়নি। এ রকম এক একটা পাশবিক ঘটনা ঘটতে থাকবে অথচ সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা পড়ে থাকবে প্রশ্নবোধক চিহ্নের নিচে। ক্ষমতাশালীরা নিজেদের মতো করেই আইন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে এবং সেটা তারা পারবেও, যদি আইন রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাক থাকে।
‘ভিলেজ পলিটিকস’ নামে বহুদিন ধরে যা শুনে আসছি আমরা, তাতে গ্রামের কিছুসংখ্যক মানুষের কূটবুদ্ধির পরিচয়ই প্রধান। এই প্রবণতা এখন বাড়ছে। এখন শুধু কৌশলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাতেই তাদের তৎপরতা থেমে নেই; বরং পেশিশক্তির মাধ্যমে জমিজমা কেড়ে নেওয়াটাও ‘ভিলেজ পলিটিকস’-এর একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। শুধু টাঙ্গাইলের মধুপুরেই এ রকম ঘটনা ঘটছে—এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। পেশিশক্তির দাপট ছড়িয়েছে দেশের প্রায় সবখানেই।
ঘটনাগুলো ঘটতে পারছে ক্ষমতাবানেরা অন্যায় করে থাকলে আইন সেখানে দ্রুত পৌঁছায় না বলে। বর্তমান ঘটনাতেও দেখা যাচ্ছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিবদমান জমিতে বাড়ি তুলতে গেছে ক্ষমতাবান পক্ষ। বিরোধীপক্ষ তাতে বাধা দিতে গেলে একই পরিবারের মা, দুই ছেলে ও এক ছেলের বউকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এ রকম অরাজকতা ঘটছে জেনেও পড়শিরা কেউ এর প্রতিকারের জন্য এগিয়ে আসেনি। এ থেকেই ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়। ভয় গ্রাস করেছে স্থানীয় জনগণকে।
কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তার পরিণতি কী হতে পারে, সেটাই এই শঙ্কার কারণ। এর চেয়েও বড় কথা, পুলিশে ফোন করার পর সেখান থেকে দ্রুত কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজকের পত্রিকার খবরে এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, পুলিশ কেন দেরি করছিল? চারজন মানুষকে প্রকাশ্যে অপমান ও নির্যাতন করা হচ্ছে, অথচ পুলিশ ভাবছে, দুলকিচালে আসবে, এ কেমন কথা? নির্যাতিত ব্যক্তিদের পক্ষে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পরই কেবল পুলিশের সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই ফোন কলটি না গেলে কি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসত? এ প্রশ্নটির উত্তর নেই। পুলিশ এসে ভুক্তভোগী চারজনকে বাঁধা অবস্থায়ই পায়, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা খবর পড়েও জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে কেউ মামলা করেনি নাকি করার সাহস পায়নি, সে প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
সবার অলক্ষ্যেই একটা অদ্ভুত সমাজ গড়ে উঠছে। এই অন্যায়ের প্রতিকার করতে সমাজ নিয়ে যাঁরা ভাবেন, তাঁদের এগিয়ে আসা উচিত। সবচেয়ে যা দরকার তা হলো, ক্ষমতাবান আর আইন যেন গুবলেট পাকিয়ে সত্যকে আড়াল না করে। আইনের শাসন যেন শুধু কথার কথা হয়ে না থাকে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে