এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ডেফলাঘাট-বেনুয়াচর পাকা সড়কটি বেহাল। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
একাধিক স্থানে সেতু-কালভার্টের দুপাশের মাটি সরে গিয়ে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে চলাচল বন্ধ রয়েছে ভারি যানবাহন। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা। এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাস্তাটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলার সঙ্গে ইসলামপুর সদরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০১৩ সালে ডেফলা ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ শেখ জামাল সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি বিভাগ।
একই সময় জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় ডেফলা ঘাট থেকে ডিগ্রিরচর-চিনারচর-সাজালেরচর ভায়া বেনুয়ারচর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ওই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সেতুটি সুফল বয়ে আনছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য স্থানে রাস্তা ভেঙে গেছে। সড়কে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন তো দূরের কথা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে চলাচলও অনেক কষ্টসাধ্য।
দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ডিগ্রিরচর বোর্ডবাজার, ডিগ্রিরচর মাদ্রাসাপাড়া, ডিগ্রিরচর বাজার, কান্দাচর পূর্বপাড়া, সাজালেরচর আনন্দ বাজার, চিনারচর, চতলাপাড়া ও বেনুয়ারচর গ্রামে সড়কটির অন্তত অর্ধশতাধিক জায়গায় ভাঙনসহ প্রায় পুরো সড়কটিতেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চিনারচর ব্রিজ, সাজালেরচর ব্রিজ, চতলাপাড়া গ্রামে ব্রিজসহ অসংখ্য ব্রিজের অ্যাপোচের দুই পাশের ইতিমধ্যে মাটি সরে গিয়েছে। একাধিক ব্রিজের সংযোগ সড়কের প্যালাসাইটিংয়ে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এতে মাঝে মধ্যেই যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।
ডিগ্রিরচর গ্রামের কৃষক হাসমত আলী, চতলাপাড়ার আমজাদ, চিনারচরের হোসেন, আকন্দপাড়ার সুহেল মিয়াসহ অনেকেই জানান, ‘সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, গম, কাউন, পাটসহ কৃষিপণ্য উপজেলা সদরে বিক্রি করতে পারছেন না। ডিগ্রিরচর সমাজ কল্যাণ সংস্থার তদারকি কর্মকর্তা ইয়ামিন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের।’
ডিগ্রিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান, আলম, আহমদ মিয়া, দিসা আক্তার, নাছির মিয়া, সালমা আক্তার, সুফিয়া বেগম বলেন, ‘সড়কটিতে খানাখন্দের থাকায় আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।’
ডিগ্রিচর বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল লোমান বলেন, ‘রাস্তার শতাধিক স্থানে অসংখ্য খানাখন্দ ও ৩০ স্থানে রেইনকাটিংয়ে সড়ক ভেঙে শেরপুর জেলার সঙ্গে মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বেনুয়ারচরসহ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সরুজ মাস্টার জানান, ‘হাজার হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করতে ওই সড়কটি ব্যবহার হয়। কিন্তু সড়কটি বেহাল হওয়ায় কৃষকেরা তাদের কৃষিপণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক জানান, ‘আমরা সড়কটি সংস্কারের পরিমাপ করেছি। সড়কটি সংস্কারের প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রধান কার্যালয় পাঠাব ।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস. এম. জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, ‘ইতিমধ্যে সড়কে রাবিস ফেলানো হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির মেরামতের করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ডেফলাঘাট-বেনুয়াচর পাকা সড়কটি বেহাল। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
একাধিক স্থানে সেতু-কালভার্টের দুপাশের মাটি সরে গিয়ে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে চলাচল বন্ধ রয়েছে ভারি যানবাহন। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা। এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাস্তাটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলার সঙ্গে ইসলামপুর সদরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০১৩ সালে ডেফলা ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ শেখ জামাল সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি বিভাগ।
একই সময় জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় ডেফলা ঘাট থেকে ডিগ্রিরচর-চিনারচর-সাজালেরচর ভায়া বেনুয়ারচর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ওই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সেতুটি সুফল বয়ে আনছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য স্থানে রাস্তা ভেঙে গেছে। সড়কে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন তো দূরের কথা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে চলাচলও অনেক কষ্টসাধ্য।
দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ডিগ্রিরচর বোর্ডবাজার, ডিগ্রিরচর মাদ্রাসাপাড়া, ডিগ্রিরচর বাজার, কান্দাচর পূর্বপাড়া, সাজালেরচর আনন্দ বাজার, চিনারচর, চতলাপাড়া ও বেনুয়ারচর গ্রামে সড়কটির অন্তত অর্ধশতাধিক জায়গায় ভাঙনসহ প্রায় পুরো সড়কটিতেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চিনারচর ব্রিজ, সাজালেরচর ব্রিজ, চতলাপাড়া গ্রামে ব্রিজসহ অসংখ্য ব্রিজের অ্যাপোচের দুই পাশের ইতিমধ্যে মাটি সরে গিয়েছে। একাধিক ব্রিজের সংযোগ সড়কের প্যালাসাইটিংয়ে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এতে মাঝে মধ্যেই যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।
ডিগ্রিরচর গ্রামের কৃষক হাসমত আলী, চতলাপাড়ার আমজাদ, চিনারচরের হোসেন, আকন্দপাড়ার সুহেল মিয়াসহ অনেকেই জানান, ‘সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, গম, কাউন, পাটসহ কৃষিপণ্য উপজেলা সদরে বিক্রি করতে পারছেন না। ডিগ্রিরচর সমাজ কল্যাণ সংস্থার তদারকি কর্মকর্তা ইয়ামিন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের।’
ডিগ্রিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান, আলম, আহমদ মিয়া, দিসা আক্তার, নাছির মিয়া, সালমা আক্তার, সুফিয়া বেগম বলেন, ‘সড়কটিতে খানাখন্দের থাকায় আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।’
ডিগ্রিচর বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল লোমান বলেন, ‘রাস্তার শতাধিক স্থানে অসংখ্য খানাখন্দ ও ৩০ স্থানে রেইনকাটিংয়ে সড়ক ভেঙে শেরপুর জেলার সঙ্গে মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বেনুয়ারচরসহ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সরুজ মাস্টার জানান, ‘হাজার হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করতে ওই সড়কটি ব্যবহার হয়। কিন্তু সড়কটি বেহাল হওয়ায় কৃষকেরা তাদের কৃষিপণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক জানান, ‘আমরা সড়কটি সংস্কারের পরিমাপ করেছি। সড়কটি সংস্কারের প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রধান কার্যালয় পাঠাব ।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস. এম. জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, ‘ইতিমধ্যে সড়কে রাবিস ফেলানো হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির মেরামতের করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে