রানা আব্বাস, অ্যান্টিগা থেকে
অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের করুণ দশা দেখে ক্রিকবাজের অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি ভারত সুন্দর্শন বিস্ময়মাখা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনাদের দেশ বড় বড় ছক্কা মারার ব্যাটার কেন পায় না?’ গত পরশু ভারতীয় সাংবাদিকেরাও প্রায় একই প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশ দল এ কেমন ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টিতে?’
শুধু এই টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভরাডুবি হলো, তা তো নয়। বেশির ভাগ আইসিসির টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা খাবি খেয়ে থাকেন। এবার তাঁদের ব্যর্থতা কিছুটা আড়াল হয়েছিল বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। এটা কি অজানা, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সফল হওয়ার প্রধানতম শর্ত, স্ট্রোক প্লে, বিগ হিটিং, ক্লিন হিটিংয়ের দক্ষতা নিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানাতে আসতে হবে এখানে। এখানেই যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ম্যাচের আগে এই বাস্তবতাই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘দুটো খুব ভালো দলের বিপক্ষে আমরা ম্যাচ হেরেছি। বড় দলগুলো কোথায় আছে আর আমরা কোথায় আছি এটা খুঁজে বের করতে হবে। বের করতে হবে আমাদের কোন ধরনের ক্রিকেটার প্রয়োজন। পাওয়ার ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভব নয়। পাওয়ার প্রয়োজন।’
আর ভারতের কাছে হারের পর সাকিব আল হাসানের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। এবার যেহেতু বেশির ভাগ উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছে, আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। একেবারে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হলে আমরা ভুগি।’
কেন ভোগেন, সেটির বিস্তারিত ব্যাখ্যাই দিয়েছেন সাকিব, ‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যখন ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়, ১৮০–২০০ রানের উইকেটে খেলা হয়, তখন আমরা পিছিয়ে যাই। আমরা ১৩০, ১৪০ বা ১৫০ রানের খেলাটা খুব ভালো জানি, বুঝি। এ ধরনের খেলা খেলেই আমরা অভ্যস্ত। এটা আমাদের কাছে অনেক পরিচিত। যখন ১৮০–২০০ রানে যায়, চিন্তা ওই লেভেলে আসে না। যেভাবে আমরা খেলে অভ্যস্ত, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। একদিন বোলিং বিভাগ খারাপ করতেই পারে। সেদিন ব্যাটিং বিভাগকে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ১৭০–১৮০ রানের খেলায় উন্নতি করতে হবে। বিপিএলেও আমরা এ ধরনের ম্যাচ দেখি না যে এ ধরনের রান তাড়া করে আমাদের ব্যাটাররা জেতাতে পারে।’
অল্প রানের খেলার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিচয় দেশের মন্থর উইকেটের কারণে। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট বছরের পর বছর তার ‘রহস্যজনক’ চরিত্র ধরে রেখেছে। মাঝেমধ্যে হাই স্কোরিং উইকেট হলেও বেশির ভাগ সময় মিরপুরের পিচ ব্যাটারদের বধ্যভূমি, কখনো কখনো তা ধানখেতের সঙ্গেও তুলনীয়! ক্রিকইনফোতে ম্যাচ বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল তাই মিরপুরের উইকেটকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, ‘ব্যাটারদের জন্য কঠিন, এমন উইকেটে বাংলাদেশ খেলে থাকে। যখন ভালো উইকেটে খেলতে দেওয়া হয়, তখন সাবলীল ব্যাটিং করতে পারে না তারা। ভালো উইকেটে রান করার ব্যাপারটিও আপনার জানতে হবে। জানতে হবে কোন ধরনের শট খেলার সীমাবদ্ধতা আছে। বাংলাদেশ যেন ভালো উইকেটে খেলতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। মিরপুরে কখনো এমন উইকেট বাংলাদেশ পাবে না।’
২০২৩ বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর দেশে উইকেট ভালো করার দাবি জোরালো হয়েছিল। তাতে বিসিবিও একটু নড়েচড়ে বসেছিল। অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর টনি হেমিংয়ের তত্ত্বাবধানে সিলেটের উইকেটের চরিত্রে বেশ পরিবর্তনও দেখা গিয়েছিল এ বছর। কিন্তু মিরপুরের উইকেট আছে আগের মতোই।
কেন বাংলাদেশে নিয়মিত ভালো উইকেটে খেলা হয় না—টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা অন্য দেশের সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভালো উইকেট তৈরি কি এমনই রকেট সায়েন্স, যেটি এখনো তারা আবিষ্কার করতে পারেনি বা পারছে না? প্রতিটি আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশ ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিং করে আর এ প্রশ্ন উচ্চকিত হয়। তাতেও যে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে না!
অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের করুণ দশা দেখে ক্রিকবাজের অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি ভারত সুন্দর্শন বিস্ময়মাখা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনাদের দেশ বড় বড় ছক্কা মারার ব্যাটার কেন পায় না?’ গত পরশু ভারতীয় সাংবাদিকেরাও প্রায় একই প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশ দল এ কেমন ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টিতে?’
শুধু এই টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভরাডুবি হলো, তা তো নয়। বেশির ভাগ আইসিসির টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা খাবি খেয়ে থাকেন। এবার তাঁদের ব্যর্থতা কিছুটা আড়াল হয়েছিল বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। এটা কি অজানা, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সফল হওয়ার প্রধানতম শর্ত, স্ট্রোক প্লে, বিগ হিটিং, ক্লিন হিটিংয়ের দক্ষতা নিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানাতে আসতে হবে এখানে। এখানেই যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ম্যাচের আগে এই বাস্তবতাই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘দুটো খুব ভালো দলের বিপক্ষে আমরা ম্যাচ হেরেছি। বড় দলগুলো কোথায় আছে আর আমরা কোথায় আছি এটা খুঁজে বের করতে হবে। বের করতে হবে আমাদের কোন ধরনের ক্রিকেটার প্রয়োজন। পাওয়ার ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভব নয়। পাওয়ার প্রয়োজন।’
আর ভারতের কাছে হারের পর সাকিব আল হাসানের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। এবার যেহেতু বেশির ভাগ উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছে, আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। একেবারে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হলে আমরা ভুগি।’
কেন ভোগেন, সেটির বিস্তারিত ব্যাখ্যাই দিয়েছেন সাকিব, ‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যখন ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়, ১৮০–২০০ রানের উইকেটে খেলা হয়, তখন আমরা পিছিয়ে যাই। আমরা ১৩০, ১৪০ বা ১৫০ রানের খেলাটা খুব ভালো জানি, বুঝি। এ ধরনের খেলা খেলেই আমরা অভ্যস্ত। এটা আমাদের কাছে অনেক পরিচিত। যখন ১৮০–২০০ রানে যায়, চিন্তা ওই লেভেলে আসে না। যেভাবে আমরা খেলে অভ্যস্ত, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। একদিন বোলিং বিভাগ খারাপ করতেই পারে। সেদিন ব্যাটিং বিভাগকে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ১৭০–১৮০ রানের খেলায় উন্নতি করতে হবে। বিপিএলেও আমরা এ ধরনের ম্যাচ দেখি না যে এ ধরনের রান তাড়া করে আমাদের ব্যাটাররা জেতাতে পারে।’
অল্প রানের খেলার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিচয় দেশের মন্থর উইকেটের কারণে। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট বছরের পর বছর তার ‘রহস্যজনক’ চরিত্র ধরে রেখেছে। মাঝেমধ্যে হাই স্কোরিং উইকেট হলেও বেশির ভাগ সময় মিরপুরের পিচ ব্যাটারদের বধ্যভূমি, কখনো কখনো তা ধানখেতের সঙ্গেও তুলনীয়! ক্রিকইনফোতে ম্যাচ বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল তাই মিরপুরের উইকেটকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, ‘ব্যাটারদের জন্য কঠিন, এমন উইকেটে বাংলাদেশ খেলে থাকে। যখন ভালো উইকেটে খেলতে দেওয়া হয়, তখন সাবলীল ব্যাটিং করতে পারে না তারা। ভালো উইকেটে রান করার ব্যাপারটিও আপনার জানতে হবে। জানতে হবে কোন ধরনের শট খেলার সীমাবদ্ধতা আছে। বাংলাদেশ যেন ভালো উইকেটে খেলতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। মিরপুরে কখনো এমন উইকেট বাংলাদেশ পাবে না।’
২০২৩ বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর দেশে উইকেট ভালো করার দাবি জোরালো হয়েছিল। তাতে বিসিবিও একটু নড়েচড়ে বসেছিল। অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর টনি হেমিংয়ের তত্ত্বাবধানে সিলেটের উইকেটের চরিত্রে বেশ পরিবর্তনও দেখা গিয়েছিল এ বছর। কিন্তু মিরপুরের উইকেট আছে আগের মতোই।
কেন বাংলাদেশে নিয়মিত ভালো উইকেটে খেলা হয় না—টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা অন্য দেশের সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভালো উইকেট তৈরি কি এমনই রকেট সায়েন্স, যেটি এখনো তারা আবিষ্কার করতে পারেনি বা পারছে না? প্রতিটি আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশ ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিং করে আর এ প্রশ্ন উচ্চকিত হয়। তাতেও যে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে না!
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে