মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা
সপ্তাহ দুই আগে রবিশস্য হিসেবে সরিষা ও মসুর বুনেছেন আজগার আলী। অন্যদের মতো তাঁর সরিষা খেতও হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। মসুরের চারাও বেশ বড় হয়েছে।
এ অবস্থায় গতকাল বুধবার আজগার আলী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে রবিশস্যের প্রণোদনা নিতে এসেছেন। এ দিন তাঁকেসহ উপজেলার ২ হাজার ১৪০ কৃষককে রবি শস্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়।
প্রণোদনার জন্য তালিকাভুক্ত কৃষক আজগার আলীর বাড়ি উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের মাঠশিয়া গ্রামে।
আজগার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস চলতি মৌসুমে রবিশস্যের প্রণোদনা বীজ ও সার নিতে এসেছি। অফিস থেকে আমাকে সরিষা, মসুর ও ভুট্টার বীজ দেবে। কিন্তু আমি দুই সপ্তাহ আগে সরিষা ও মসুর বুনেছি। অন্য কৃষকদের মতো আমার সরিষা গাছে ফুল চলে এসেছে। মসুরের গাছও বেশ বড় হয়েছে। আজকে যে সরিষা বীজ পেলাম তা কাজে আসবে না। কারণ সরিষার এ বীজে আবাদ করলে সেই খেতে বোরো আবাদ হবে না। এসব বীজ অন্তত ১৫ দিন আগে বিতরণ করা উচিত ছিল।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে চলতি মৌসুমে ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২ হাজার ১৪০ কৃষককে রবিশস্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়। গতকাল উপজেলা কৃষি কার্যালয় চত্বরে কৃষকদের মাঝে এসব উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
বীজের রয়েছে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, মুগ ও মসুরের বীজ।
উপজেলার বল্লা গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান বলেন, ‘সরিষা ও ভুট্টার বীজ ১৫ দিন আগেই বুনেছি। আজকে (বুধবার) যে বীজ পাব তা কাজে লাগবে না। তবে সারের জন্য এসেছি।’
নির্বাসখোলা গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, ‘বারি-১৪ জাতের সরিষার বীজ পেয়েছি। এখন এ বীজ বুনলে সেই খেতে বোরো-ইরি ধানের চাষ করতে পারব না।’
হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমড়া গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘যেসব বীজ আজকে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে তা ১৫ দিন আগে দিলে আমরা বেশি উপকৃত হতাম। এসব প্রণোদনা দিতে দেরি করে ফেলেছে। এখন এসব বীজ বুনলে পরে ধান চাষ করা যাবে না।’
সরকারের কৃষি তথ্য বাতায়নে উল্লেখ রয়েছে, ‘বিভিন্ন অঞ্চলের তারতম্য এবং জমির জো অবস্থা অনুযায়ী টরি-৭, কল্যাণীয়া, সোনালি সরিষা, বারি সরিষা-৬, বারি সরিষা-৭ ও বারি সরিষা-৮ এর বীজ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক মাস পর্যন্ত বোনা যায়। রাই-৫ এবং দৌলত জাতের সরিষা কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।’
তবে সরকারিভাবে কৃষকদের যে সরিষার বীজ দেওয়া হয়েছে তা বারি–১৪ জাতের। আর তথ্য বাতায়নের এই জাতের বীজ বপনের সময় হিসেবে ‘আমন ধান কাটার পরে’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমন ধান আগাম কাটা পড়ে। সে ক্ষেত্রে রবিশস্যের প্রণোদনা বীজগুলো অন্তত ১৫ দিন আগে পেলে কৃষক বেশি উপকৃত হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’
সপ্তাহ দুই আগে রবিশস্য হিসেবে সরিষা ও মসুর বুনেছেন আজগার আলী। অন্যদের মতো তাঁর সরিষা খেতও হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। মসুরের চারাও বেশ বড় হয়েছে।
এ অবস্থায় গতকাল বুধবার আজগার আলী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে রবিশস্যের প্রণোদনা নিতে এসেছেন। এ দিন তাঁকেসহ উপজেলার ২ হাজার ১৪০ কৃষককে রবি শস্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়।
প্রণোদনার জন্য তালিকাভুক্ত কৃষক আজগার আলীর বাড়ি উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের মাঠশিয়া গ্রামে।
আজগার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস চলতি মৌসুমে রবিশস্যের প্রণোদনা বীজ ও সার নিতে এসেছি। অফিস থেকে আমাকে সরিষা, মসুর ও ভুট্টার বীজ দেবে। কিন্তু আমি দুই সপ্তাহ আগে সরিষা ও মসুর বুনেছি। অন্য কৃষকদের মতো আমার সরিষা গাছে ফুল চলে এসেছে। মসুরের গাছও বেশ বড় হয়েছে। আজকে যে সরিষা বীজ পেলাম তা কাজে আসবে না। কারণ সরিষার এ বীজে আবাদ করলে সেই খেতে বোরো আবাদ হবে না। এসব বীজ অন্তত ১৫ দিন আগে বিতরণ করা উচিত ছিল।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে চলতি মৌসুমে ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২ হাজার ১৪০ কৃষককে রবিশস্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়। গতকাল উপজেলা কৃষি কার্যালয় চত্বরে কৃষকদের মাঝে এসব উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
বীজের রয়েছে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, মুগ ও মসুরের বীজ।
উপজেলার বল্লা গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান বলেন, ‘সরিষা ও ভুট্টার বীজ ১৫ দিন আগেই বুনেছি। আজকে (বুধবার) যে বীজ পাব তা কাজে লাগবে না। তবে সারের জন্য এসেছি।’
নির্বাসখোলা গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, ‘বারি-১৪ জাতের সরিষার বীজ পেয়েছি। এখন এ বীজ বুনলে সেই খেতে বোরো-ইরি ধানের চাষ করতে পারব না।’
হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমড়া গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘যেসব বীজ আজকে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে তা ১৫ দিন আগে দিলে আমরা বেশি উপকৃত হতাম। এসব প্রণোদনা দিতে দেরি করে ফেলেছে। এখন এসব বীজ বুনলে পরে ধান চাষ করা যাবে না।’
সরকারের কৃষি তথ্য বাতায়নে উল্লেখ রয়েছে, ‘বিভিন্ন অঞ্চলের তারতম্য এবং জমির জো অবস্থা অনুযায়ী টরি-৭, কল্যাণীয়া, সোনালি সরিষা, বারি সরিষা-৬, বারি সরিষা-৭ ও বারি সরিষা-৮ এর বীজ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক মাস পর্যন্ত বোনা যায়। রাই-৫ এবং দৌলত জাতের সরিষা কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।’
তবে সরকারিভাবে কৃষকদের যে সরিষার বীজ দেওয়া হয়েছে তা বারি–১৪ জাতের। আর তথ্য বাতায়নের এই জাতের বীজ বপনের সময় হিসেবে ‘আমন ধান কাটার পরে’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমন ধান আগাম কাটা পড়ে। সে ক্ষেত্রে রবিশস্যের প্রণোদনা বীজগুলো অন্তত ১৫ দিন আগে পেলে কৃষক বেশি উপকৃত হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে