তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
বেলা ২টা। তারাগঞ্জ বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের মোড়ে একটি পান দোকানে একদল মানুষের জটলা। সেখান থেকে ঢোলের তালে মধুর সুরে ভেসে আসছে গান। ভিড় ঠেলে এগোতেই দেখা মেলে শাহিনের। পুরো নাম শাহিনুর ইসলাম শাহিন। জন্ম থেকে অন্ধ শাহিন ভিক্ষা না করে মানুষকে গান শুনিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। শাহিনের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে। বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, পাড়ার মোড়ে গান করে শাহিন জীবিকা নির্বাহ করেন। নির্বাচন বা অন্য কোনো প্রচারের সময় শাহিনের কদর বেড়ে যায়।
গানের পসরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কথা শুনে বোঝা যায় শাহিন তাঁদের সুপরিচিত। তাই সবাই আপন মনে তাঁর গান শুনছিলেন। গান শুনে শ্রোতারা খুশি হয়ে শাহিনের হাতে যা দেন তাতেই তাঁর সংসারের খরচ চলে।
শাহিনুর ইসলাম জানান, ১৪ বছরে আগে বিয়ে করেন। এরপর থেকে শাহিন জীবিকা হিসেবে গান গাওয়াকে বেছে নেন। তাঁর এক মেয়ে শারমিন আক্তার (১১) স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ও ছেলে শামীম ইসলাম (৮) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সহায় সম্বল বলতে তিন শতক জমি ও একটি টিনের ভাঙাচোরা ঘর।
ওই মোড়ের প্রান্ত পান বিতানের মালিক তিলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘শাহিন আধ্যাত্মিক ধরনের গান করেন। তাঁর গান শুনে প্রাণ জুড়ে যায়। মনে প্রশান্তি আসে। সে নিজের মনের কথা দিয়েও অনেক গান বানিয়েছেন। সেগুলোও আমাদের মাঝে মধ্যে শোনায়। বিনিময়ে আমরা ৫-১০ টাকা করে দিই।’
গানের আসরে দাঁড়িয়ে থাকা ডাঙ্গাপাড় গ্রামের রহমত মন্ডল বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের আদর্শ শাহিনুর। তাকে এমনি টাকা দিলে কখনো নেন না। গান শোনাবেন তারপর টাকা নেবেন। শাহিন ভিক্ষাবৃত্তিকে মন থেকে ঘৃণা করেন। শুধু তারাগঞ্জই নয়, রংপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে গান করেন। মানুষ তাঁর গানকে ভালোবাসে।’
শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ভিক্ষা নয় মানুষকে আনন্দ দিয়ে আয় করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চাই। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিকশাভ্যান চালাতে পারি না। অন্য কাজও করতে পারি না। সহায় সম্বলও নেই। এ অবস্থায় আমার আয়ের পথ ভিক্ষা করা। কিন্তু আমি ভিক্ষা করা পছন্দ করি না। গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দিয়ে যা আয় করছি তাই দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। জীবন যত দিন আছে মানুষকে গান শুনিয়ে, আনন্দ দিয়ে যা রোজগার হবে তাই দিয়ে জীবন নির্বাহ করব।’
প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৯০ দিন পর ভাতার যে ২ হাজার ২০০ টাকা দেয় তা দিয়ে সংসারের নয় দিনের খরচ চলে না। শাহিন দাবি করেন, দুস্থদের জন্য সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও ইউনিয়ন পরিষদে ধরনা দিয়েও তা পাননি। তাঁর আশপাশের পাকা বাড়ির মালিক সরকারি ঘর পেয়েছেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বসতভিটার তিন শতক জমিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর চান তিনি।
বেলা ২টা। তারাগঞ্জ বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের মোড়ে একটি পান দোকানে একদল মানুষের জটলা। সেখান থেকে ঢোলের তালে মধুর সুরে ভেসে আসছে গান। ভিড় ঠেলে এগোতেই দেখা মেলে শাহিনের। পুরো নাম শাহিনুর ইসলাম শাহিন। জন্ম থেকে অন্ধ শাহিন ভিক্ষা না করে মানুষকে গান শুনিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। শাহিনের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে। বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, পাড়ার মোড়ে গান করে শাহিন জীবিকা নির্বাহ করেন। নির্বাচন বা অন্য কোনো প্রচারের সময় শাহিনের কদর বেড়ে যায়।
গানের পসরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কথা শুনে বোঝা যায় শাহিন তাঁদের সুপরিচিত। তাই সবাই আপন মনে তাঁর গান শুনছিলেন। গান শুনে শ্রোতারা খুশি হয়ে শাহিনের হাতে যা দেন তাতেই তাঁর সংসারের খরচ চলে।
শাহিনুর ইসলাম জানান, ১৪ বছরে আগে বিয়ে করেন। এরপর থেকে শাহিন জীবিকা হিসেবে গান গাওয়াকে বেছে নেন। তাঁর এক মেয়ে শারমিন আক্তার (১১) স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ও ছেলে শামীম ইসলাম (৮) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সহায় সম্বল বলতে তিন শতক জমি ও একটি টিনের ভাঙাচোরা ঘর।
ওই মোড়ের প্রান্ত পান বিতানের মালিক তিলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘শাহিন আধ্যাত্মিক ধরনের গান করেন। তাঁর গান শুনে প্রাণ জুড়ে যায়। মনে প্রশান্তি আসে। সে নিজের মনের কথা দিয়েও অনেক গান বানিয়েছেন। সেগুলোও আমাদের মাঝে মধ্যে শোনায়। বিনিময়ে আমরা ৫-১০ টাকা করে দিই।’
গানের আসরে দাঁড়িয়ে থাকা ডাঙ্গাপাড় গ্রামের রহমত মন্ডল বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের আদর্শ শাহিনুর। তাকে এমনি টাকা দিলে কখনো নেন না। গান শোনাবেন তারপর টাকা নেবেন। শাহিন ভিক্ষাবৃত্তিকে মন থেকে ঘৃণা করেন। শুধু তারাগঞ্জই নয়, রংপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে গান করেন। মানুষ তাঁর গানকে ভালোবাসে।’
শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ভিক্ষা নয় মানুষকে আনন্দ দিয়ে আয় করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চাই। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিকশাভ্যান চালাতে পারি না। অন্য কাজও করতে পারি না। সহায় সম্বলও নেই। এ অবস্থায় আমার আয়ের পথ ভিক্ষা করা। কিন্তু আমি ভিক্ষা করা পছন্দ করি না। গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দিয়ে যা আয় করছি তাই দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। জীবন যত দিন আছে মানুষকে গান শুনিয়ে, আনন্দ দিয়ে যা রোজগার হবে তাই দিয়ে জীবন নির্বাহ করব।’
প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৯০ দিন পর ভাতার যে ২ হাজার ২০০ টাকা দেয় তা দিয়ে সংসারের নয় দিনের খরচ চলে না। শাহিন দাবি করেন, দুস্থদের জন্য সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও ইউনিয়ন পরিষদে ধরনা দিয়েও তা পাননি। তাঁর আশপাশের পাকা বাড়ির মালিক সরকারি ঘর পেয়েছেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বসতভিটার তিন শতক জমিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর চান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে