ভালুকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ তিন চাকার যান। ব্যাটারিচালিত ও অন্যান্য অটোরিকশা ঝুঁকিপূর্ণভাবে মহাসড়কে দাপিয়ে চললেও তা বন্ধে নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ মাঝেমধ্যে উদ্যোগ নিলেও অভিযান চলাকালে বন্ধ থাকে এসব যান চলাচল। তবে অভিযান শেষ হলেই পুনরায় মহাসড়ক দখলে থাকে ওই সব যানের।

হাইওয়ে পুলিশের দাবি, তারা অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা আটক করে মামলা দিচ্ছে। তবু থামছে না এসব অবৈধ যান। মহাসড়কে এসব তিন চাকার যান চলায় বাসস্ট্যান্ডগুলোয় যানজট লেগেই থাকে। পাঁচরাস্তা মোড় ও উপজেলা পরিষদ সড়কে যানজট নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সড়কে পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে হরহামেশা ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চার্জ দিতে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বেড়ে গেছে। এসব অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগের ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আবার এসব সংযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। সড়কে এসব রিকশা-অটোরিকশা জটলা করে মহাসড়ক দখল করে রেখেছে। এতে ভালুকা, সিডস্টোর ও মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে যানজট লেগেই থাকে। পুলিশের সামনেই এসব তিন চাকার যান চলছে। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের পথ চলতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

পথচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এসব অবৈধ যানবাহনের জন্য সড়কে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। মহাসড়কের সংযোগ থেকে পাঁচ রাস্তা পর্যন্ত সব সময় যানজট লেগেই থাকে। যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সকাল হলেই রিকশা নিয়ে বের হই। আমি অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। আমাকে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। ব্যাটারিচালিত রিকশা মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পেটের তাগিদে বের হতে হয়। মহাসড়কে রিকশা চালানো সমস্যা। হাইওয়ে পুলিশ আটক করে মামলা দিয়ে দেন। এতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।’

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘অবৈধ সব যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের যানবাহন বন্ধে সারা দেশে আমাদের সভা হয়েছে। খুব শিগগিরই মাইকিং করে চালকদের সচেতন করার পাশাপাশি অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’

ভালুকা পৌরসভার মেয়র এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম বলেন, ‘অচিরেই পৌর এলাকার সব অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’