সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দেশে আরও অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনোটার তুলনা হয় না। এই দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা এই দলের নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন, তেমনি এটাও বলা যায় যে আওয়ামী লীগই বঙ্গবন্ধুর মতো বিরল গুণের অধিকারী জননায়কেরও স্রষ্টা। প্রশংসা পাওয়ার মতো অনেক উপাদান-উপকরণ এই দলের ঝুলিতে আছে।
আজ আমরা প্রশংসার দিকে না গিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা এখন কী কী আছে বা হচ্ছে, সেদিকে একটু নজর দেব। বাংলাদেশ রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের দেশ। বাংলাদেশে যেমন রাজনৈতিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের ঐক্য গড়ে ওঠে, তেমনি ছোটখাটো ইস্যুতে বিরোধ বা অনৈক্য কম দেখা যায় না। বর্তমান সময়ে অনৈক্যের ধারাই প্রবল।
আমাদের এটাও জানা যে ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার লড়াই হচ্ছে দেশের রাজনীতির মূল উপজীব্য। কিন্তু গত কয়েক বছরে রাজনীতির চিত্র কিছুটা বদলেছে। এখন টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি রাজনীতির দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার রাজনীতি করে নিজেরাই শুধু দুর্বলই হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ কী তাহলে খুব সবল অবস্থানে আছে? এই প্রশ্নের উত্তর এককথায় দেওয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগই যে ইদানীং আওয়ামী লীগের শত্রু হয়ে উঠেছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিরোধ, সংঘাত, মারামারি হওয়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এক দলের মধ্যে এখন ব্যক্তিগত স্বার্থের হিসাব-নিকাশের সমীকরণে বহু দল গড়ে উঠছে। দলের মধ্যে বিরোধ-কোন্দলও বাড়ছে।
আজকের পত্রিকায় শনিবার প্রকাশিত কয়েকটি খবরের শিরোনাম পড়লেই বোঝা যাবে আওয়ামী লীগের ভেতরে কী চলছে, দলটিতে আদৌ কোনো ঐক্যবদ্ধ অবস্থান আছে কি না।
১. বেপরোয়া যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন, ২. হাতবোমা ফাটানোর পর কুপিয়ে হত্যা, ৩. শৈলকুপা আওয়ামী লীগের দুই
পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, ৪. বাঘার এমপি শাহরিয়ারকে নগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৫. দুই নেতার বাসায় পাল্টাপাল্টি হামলা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়টি কোনো ভালো লক্ষণ নয়। যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা সবাই নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বলে দাবি করেন। প্রশ্ন হলো, এক আদর্শের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে কলহ-কোন্দল করে আত্মঘাতী হামলায় জড়িয়ে পড়ছেন কেন? হামলা-হানাহানিতে প্রাণহানিও ঘটছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ২৬ ও ২৭ জুন দুই দিনে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন।
নিহত তিনজনই দলের পদ-পদবিধারী। গত পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। এই সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ক্রমাগত ম্লানই হবে। আদর্শের জায়গায় আপস করার প্রবণতাও দলটিকে পরিহার করতে হবে।
বাংলাদেশের পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দেশে আরও অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনোটার তুলনা হয় না। এই দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা এই দলের নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন, তেমনি এটাও বলা যায় যে আওয়ামী লীগই বঙ্গবন্ধুর মতো বিরল গুণের অধিকারী জননায়কেরও স্রষ্টা। প্রশংসা পাওয়ার মতো অনেক উপাদান-উপকরণ এই দলের ঝুলিতে আছে।
আজ আমরা প্রশংসার দিকে না গিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা এখন কী কী আছে বা হচ্ছে, সেদিকে একটু নজর দেব। বাংলাদেশ রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের দেশ। বাংলাদেশে যেমন রাজনৈতিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের ঐক্য গড়ে ওঠে, তেমনি ছোটখাটো ইস্যুতে বিরোধ বা অনৈক্য কম দেখা যায় না। বর্তমান সময়ে অনৈক্যের ধারাই প্রবল।
আমাদের এটাও জানা যে ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার লড়াই হচ্ছে দেশের রাজনীতির মূল উপজীব্য। কিন্তু গত কয়েক বছরে রাজনীতির চিত্র কিছুটা বদলেছে। এখন টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি রাজনীতির দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার রাজনীতি করে নিজেরাই শুধু দুর্বলই হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ কী তাহলে খুব সবল অবস্থানে আছে? এই প্রশ্নের উত্তর এককথায় দেওয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগই যে ইদানীং আওয়ামী লীগের শত্রু হয়ে উঠেছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিরোধ, সংঘাত, মারামারি হওয়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এক দলের মধ্যে এখন ব্যক্তিগত স্বার্থের হিসাব-নিকাশের সমীকরণে বহু দল গড়ে উঠছে। দলের মধ্যে বিরোধ-কোন্দলও বাড়ছে।
আজকের পত্রিকায় শনিবার প্রকাশিত কয়েকটি খবরের শিরোনাম পড়লেই বোঝা যাবে আওয়ামী লীগের ভেতরে কী চলছে, দলটিতে আদৌ কোনো ঐক্যবদ্ধ অবস্থান আছে কি না।
১. বেপরোয়া যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন, ২. হাতবোমা ফাটানোর পর কুপিয়ে হত্যা, ৩. শৈলকুপা আওয়ামী লীগের দুই
পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, ৪. বাঘার এমপি শাহরিয়ারকে নগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৫. দুই নেতার বাসায় পাল্টাপাল্টি হামলা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়টি কোনো ভালো লক্ষণ নয়। যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা সবাই নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বলে দাবি করেন। প্রশ্ন হলো, এক আদর্শের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে কলহ-কোন্দল করে আত্মঘাতী হামলায় জড়িয়ে পড়ছেন কেন? হামলা-হানাহানিতে প্রাণহানিও ঘটছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ২৬ ও ২৭ জুন দুই দিনে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন।
নিহত তিনজনই দলের পদ-পদবিধারী। গত পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। এই সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ক্রমাগত ম্লানই হবে। আদর্শের জায়গায় আপস করার প্রবণতাও দলটিকে পরিহার করতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে