সাবিত আল হাসান, বন্দর (নারায়ণগঞ্জ)
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের আগের রাতে বন্দরের ধামগড়ে ভোট ডাকাতির গুঞ্জনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে। ওই ঘটনায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান চলছে জাঙ্গাল এলাকায়। আসামিদের তালিকা না জানায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো এলাকা এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়।
গত সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল এলাকা ঘুরে যে কয়টি বাড়ির সামনে নারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে, তাদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। প্রতিবেদকের উপস্থিতি দেখে বারবারই জিজ্ঞেস করেছেন ‘আপনি কি প্রশাসনের লোক?’ তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় জেনেই হতাশা প্রকাশ করে নিজেদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন। বাড়িতে পুরুষদের উপস্থিতি না থাকলেও পুলিশের বিরুদ্ধে গেট পিটিয়ে ভাঙা, অর্থ লুট, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নারীদের অপমান অপদস্থ করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
জাঙ্গাল পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, ‘শনিবার ভোরে শুনি চেয়ারম্যান বাড়িতে পুলিশ আইসে। আমার পোলা সোহেলে (৩৪) কয় পুলিশ আইসে তো আমাগো কী? এরপরে পুলিশ আমাগো গেটের তালা ভাইঙ্গা আমার পোলারে মারধর কইরা ধইরা নিয়া গেছে। আমাগো জানালার গ্লাস ভাঙছে। স্টিলের আলমারি খুলতে কইয়া ১৮ হাজার টাকার মতো নিয়া গেছে। আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তো আছেই।’
একই এলাকার বানেছা খাতুন (৭৫) বলেন, ‘আমার পোলা দ্বীন ইসলাম কোনো দিনও এসব নির্বাচনের কামে যায় নাই। অয় জাঙ্গাল স্ট্যান্ডে পুরি বানায়া বেচে। শনিবার ভোরে আইসা পুলিশ আমাগো দরজা বাইরাইয়া ভাঙছে। তারপর ভেতরে ঢুইকা ইচ্ছামতো গালাগালি করছে। আমি হেগো কথা শুইনা ভয়ে ঠান্ডা হইয়া গেসি। আমার পোলারে যে ধইরা নিল, আমি একটা টুঁ শব্দও করতে পারি নাই।’
চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বাড়ির পাশের এক বাসিন্দা জানান, তিনি শনিবার রাতের অভিজ্ঞতা আর এলাকায় পুলিশের আতঙ্কে ঘর থেকেই বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘করোনার সময়েও এত ডরাইসি না। তখনো ভালো ভালো খাইসি চলছি। এখন কয়েকটা দিন ধইরা না পারি ঠিকমতো খাইতে, না পারি ঘুমাইতে। কিস্তি নিতে আইলে হেই ট্যাকা দিমু কইত্তে? কিস্তির স্যাররে কইসি কয়েকটা দিন মাফ করতে। দেখেনই তো আমাগো এলাকার কী অবস্থা। ভোটাভুটি করে নেতারা, আর দৌড়ের ওপর থাহন লাগে আমগো।’
জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর দিবাগত রাত ছিল ইউপি নির্বাচনের আগের মুহূর্ত। সে সময় বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ভোট ডাকাতির গুঞ্জন তুলে পুরো মহাসড়কে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান) কামাল হোসেনের অনুসারীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১৫ জন। পুলিশের দুই সদস্যকে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় আহত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপসহকারী পরিদর্শক আবদুল হাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের তালিকা জানা যায়নি। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এলাকাজুড়ে এখন কেবল পুলিশ আতঙ্ক। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও তাঁর বড় ভাই আজিজুল হক এলাকায় নেই। আসামি হওয়া থেকে বাঁচতে পুরো জাঙ্গাল এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়। যাঁরা আছেন, তাঁরা হয় স্কুল শিক্ষার্থী অথবা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা।
ইজ্জত আলী দেওয়ান (৭০) নামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘এলাকায় এখন রাস্তাঘাটে মানুষ বাইর হয় না। ধইরা অত্যাচার করে, মারধর করে। ভয়ে এখন গ্রামশূন্য হইয়া গেছে, গ্রামে কোনো লোক থাকতে পারে না। কিছুক্ষণ পরপরেই পুলিশ আসে। হেরা রাতে আসে, দিনে আসে। মানুষরে ভালা মন্দ কিছু জিগায় না। যারে পায় হেরেই ধইরা নিয়া যায়। দোকানপাট সব বন্ধ, দোকান খুললেই মারে, ধইরা নিয়া যায়।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মামলার আসামি। আর যদি কারও কোনো মালামাল খোয়া যায়, তাহলে লিস্ট দিতে বলেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের আগের রাতে বন্দরের ধামগড়ে ভোট ডাকাতির গুঞ্জনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে। ওই ঘটনায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান চলছে জাঙ্গাল এলাকায়। আসামিদের তালিকা না জানায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো এলাকা এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়।
গত সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল এলাকা ঘুরে যে কয়টি বাড়ির সামনে নারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে, তাদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। প্রতিবেদকের উপস্থিতি দেখে বারবারই জিজ্ঞেস করেছেন ‘আপনি কি প্রশাসনের লোক?’ তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় জেনেই হতাশা প্রকাশ করে নিজেদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন। বাড়িতে পুরুষদের উপস্থিতি না থাকলেও পুলিশের বিরুদ্ধে গেট পিটিয়ে ভাঙা, অর্থ লুট, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নারীদের অপমান অপদস্থ করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
জাঙ্গাল পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, ‘শনিবার ভোরে শুনি চেয়ারম্যান বাড়িতে পুলিশ আইসে। আমার পোলা সোহেলে (৩৪) কয় পুলিশ আইসে তো আমাগো কী? এরপরে পুলিশ আমাগো গেটের তালা ভাইঙ্গা আমার পোলারে মারধর কইরা ধইরা নিয়া গেছে। আমাগো জানালার গ্লাস ভাঙছে। স্টিলের আলমারি খুলতে কইয়া ১৮ হাজার টাকার মতো নিয়া গেছে। আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তো আছেই।’
একই এলাকার বানেছা খাতুন (৭৫) বলেন, ‘আমার পোলা দ্বীন ইসলাম কোনো দিনও এসব নির্বাচনের কামে যায় নাই। অয় জাঙ্গাল স্ট্যান্ডে পুরি বানায়া বেচে। শনিবার ভোরে আইসা পুলিশ আমাগো দরজা বাইরাইয়া ভাঙছে। তারপর ভেতরে ঢুইকা ইচ্ছামতো গালাগালি করছে। আমি হেগো কথা শুইনা ভয়ে ঠান্ডা হইয়া গেসি। আমার পোলারে যে ধইরা নিল, আমি একটা টুঁ শব্দও করতে পারি নাই।’
চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বাড়ির পাশের এক বাসিন্দা জানান, তিনি শনিবার রাতের অভিজ্ঞতা আর এলাকায় পুলিশের আতঙ্কে ঘর থেকেই বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘করোনার সময়েও এত ডরাইসি না। তখনো ভালো ভালো খাইসি চলছি। এখন কয়েকটা দিন ধইরা না পারি ঠিকমতো খাইতে, না পারি ঘুমাইতে। কিস্তি নিতে আইলে হেই ট্যাকা দিমু কইত্তে? কিস্তির স্যাররে কইসি কয়েকটা দিন মাফ করতে। দেখেনই তো আমাগো এলাকার কী অবস্থা। ভোটাভুটি করে নেতারা, আর দৌড়ের ওপর থাহন লাগে আমগো।’
জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর দিবাগত রাত ছিল ইউপি নির্বাচনের আগের মুহূর্ত। সে সময় বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ভোট ডাকাতির গুঞ্জন তুলে পুরো মহাসড়কে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান) কামাল হোসেনের অনুসারীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১৫ জন। পুলিশের দুই সদস্যকে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় আহত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপসহকারী পরিদর্শক আবদুল হাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের তালিকা জানা যায়নি। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এলাকাজুড়ে এখন কেবল পুলিশ আতঙ্ক। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও তাঁর বড় ভাই আজিজুল হক এলাকায় নেই। আসামি হওয়া থেকে বাঁচতে পুরো জাঙ্গাল এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়। যাঁরা আছেন, তাঁরা হয় স্কুল শিক্ষার্থী অথবা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা।
ইজ্জত আলী দেওয়ান (৭০) নামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘এলাকায় এখন রাস্তাঘাটে মানুষ বাইর হয় না। ধইরা অত্যাচার করে, মারধর করে। ভয়ে এখন গ্রামশূন্য হইয়া গেছে, গ্রামে কোনো লোক থাকতে পারে না। কিছুক্ষণ পরপরেই পুলিশ আসে। হেরা রাতে আসে, দিনে আসে। মানুষরে ভালা মন্দ কিছু জিগায় না। যারে পায় হেরেই ধইরা নিয়া যায়। দোকানপাট সব বন্ধ, দোকান খুললেই মারে, ধইরা নিয়া যায়।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মামলার আসামি। আর যদি কারও কোনো মালামাল খোয়া যায়, তাহলে লিস্ট দিতে বলেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে