যশোরের অভয়নগরে নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য উত্তম সরকার হত্যা মামলায় প্রজিত বিশ্বাস নামের এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রজিত বিশ্বাস উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ছোট সুন্দলী গ্রামের নিতাই বিশ্বাসের ছেলে।

আটক প্রজিত বিশ্বাসের প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দলী ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট সুন্দলী গ্রামে অভয়নগর থানা ও যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় প্রজিতের ঘর থেকে তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে গুলি উদ্ধার ও প্রজিত বিশ্বাসকে আটকের বিষয়সহ বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানান অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিলন কুমার মণ্ডল। মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তেই তাঁরা বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ।

গত সোমবার রাতে সুন্দলী বাজার থেকে হরিশপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁর গতিরোধ করে বুকে গুলি করে।

গুলিটি তাঁর বুক ভেদ করে বেরিয়ে গেলে উত্তম সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে যশোর মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী মিলে বিকেলেই স্থানীয় শুড়িরডাঙ্গা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। পরে ওই রাতে উত্তমের স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এর আগে বুধবার অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান জানিয়েছেন, ‘উত্তম সরকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিকসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।’

ঘটনার পরদিন উত্তমের মা শেফালী সরকার বলেন, ‘নির্বাচন করায় আমার ছেলের কাল হয়েছে।’

স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’