রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
‘মধ্যরাত থেকে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে। খাবার এনেছিলাম, দাঁড়িয়ে সাহ্রিও করেছি। কিন্তু সকাল ৮টায় টিকিট দেওয়া শুরুর ঘণ্টাখানেক পর কাউন্টার থেকে জানানো হয় টিকিট শেষ। তাই টিকিট না পেয়ে শূন্যহাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে।’
আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য আসা ব্যাংকে চাকরিজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন (৪২)। একই কথা বলেন খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট নিতে আসা ফরিদুল ইসলাম। তাঁরা একা নন। তাঁদের মতো শতাধিক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট না পাওয়ার এই অভিযোগ করেন।
সৈয়দপুর রেলস্টেশন মাস্টার এস এম শওকত আলী বলেন, একটি টিকিটের বিপরীতে ৫০-৬০ জনের চাহিদা। স্থানীয়রা ছাড়াও রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও খানসামাসহ পাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার লোকজন এখানে টিকিট কিনতে আসেন। তাই লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। তাঁদের মধ্যে যাঁরা আগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরাই টিকিট পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট কাটার সময় জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছে, যাতে টিকিটটা বাইরে বিক্রি বা কোনো কালোবাজারির হাতে না যায়। এ ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট। টিকিট অন্য কোথাও পাওয়ার সুযোগ নেই।
রেলওয়ে সূত্রমতে, সৈয়দপুর থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে ৫টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনের মধ্যে সৈয়দপুরের জন্য আসন বরাদ্দ রয়েছে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ৫৮, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচে ১০ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথে (শয়নকক্ষে) ২টি। খুলনাগামী আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার কোচে ৭৫, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথে ৪টি ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে ৪টি এবং শোভন চেয়ার কোচে ১৫টি। এ ছাড়া রাজশাহীগামী আন্তনগর তিতুমীর ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন ৫০, শোভন চেয়ার ১৫ ও প্রথম শ্রেণির কোচে ৬টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাসহ অর্ধশতাধিক ব্যাংক ও পাঁচ শতাধিক শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ঢাকা, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চাকরি করেন। প্রতি ঈদে তাঁরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যান। রেলপথে যাওয়াটাই তাঁদের কাছে সুবিধাজনক।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারের সামনে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি। যাঁরা টিকিট হাতে পেয়েছেন, তাঁরা উৎফুল্ল। আর যাঁরা পাননি, তাঁরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবিদ হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমি রেলওয়ে কারখানায় চাকরি করি। ঈদে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল যাব। টিকিটের জন্য তারাবির নামাজ আদায় করে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। তবুও সামনে প্রায় ৫০ জনের মতো ছিল। টিকিট পাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চিত ছিলাম। টিকিট পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।’
‘মধ্যরাত থেকে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে। খাবার এনেছিলাম, দাঁড়িয়ে সাহ্রিও করেছি। কিন্তু সকাল ৮টায় টিকিট দেওয়া শুরুর ঘণ্টাখানেক পর কাউন্টার থেকে জানানো হয় টিকিট শেষ। তাই টিকিট না পেয়ে শূন্যহাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে।’
আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য আসা ব্যাংকে চাকরিজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন (৪২)। একই কথা বলেন খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট নিতে আসা ফরিদুল ইসলাম। তাঁরা একা নন। তাঁদের মতো শতাধিক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট না পাওয়ার এই অভিযোগ করেন।
সৈয়দপুর রেলস্টেশন মাস্টার এস এম শওকত আলী বলেন, একটি টিকিটের বিপরীতে ৫০-৬০ জনের চাহিদা। স্থানীয়রা ছাড়াও রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও খানসামাসহ পাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার লোকজন এখানে টিকিট কিনতে আসেন। তাই লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। তাঁদের মধ্যে যাঁরা আগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরাই টিকিট পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট কাটার সময় জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছে, যাতে টিকিটটা বাইরে বিক্রি বা কোনো কালোবাজারির হাতে না যায়। এ ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট। টিকিট অন্য কোথাও পাওয়ার সুযোগ নেই।
রেলওয়ে সূত্রমতে, সৈয়দপুর থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে ৫টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনের মধ্যে সৈয়দপুরের জন্য আসন বরাদ্দ রয়েছে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ৫৮, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচে ১০ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথে (শয়নকক্ষে) ২টি। খুলনাগামী আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার কোচে ৭৫, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথে ৪টি ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে ৪টি এবং শোভন চেয়ার কোচে ১৫টি। এ ছাড়া রাজশাহীগামী আন্তনগর তিতুমীর ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন ৫০, শোভন চেয়ার ১৫ ও প্রথম শ্রেণির কোচে ৬টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাসহ অর্ধশতাধিক ব্যাংক ও পাঁচ শতাধিক শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ঢাকা, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চাকরি করেন। প্রতি ঈদে তাঁরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যান। রেলপথে যাওয়াটাই তাঁদের কাছে সুবিধাজনক।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারের সামনে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি। যাঁরা টিকিট হাতে পেয়েছেন, তাঁরা উৎফুল্ল। আর যাঁরা পাননি, তাঁরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবিদ হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমি রেলওয়ে কারখানায় চাকরি করি। ঈদে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল যাব। টিকিটের জন্য তারাবির নামাজ আদায় করে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। তবুও সামনে প্রায় ৫০ জনের মতো ছিল। টিকিট পাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চিত ছিলাম। টিকিট পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে