সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
গণপরিবহনের অভাব ও যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মোটরসাইকেলের ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে দিন দিন। গত এক দশকে দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়া মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও এই দুই চাকার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
মোটরসাইকেলস ডেটার তথ্যমতে, এক দশক আগেও বাংলাদেশে প্রতি বছর মোটরসাইকেল বিক্রির গড় হার ছিল ১০ হাজার ইউনিট। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছে, সরকারের ‘মোটরসাইকেল ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০১৮’-এর কারণে মোটরসাইকেল শিল্প এখন হয়েছে ৬ লাখ ইউনিটের বাজার।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০১৪ সাল থেকে মোটরসাইকেল শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। দেশে প্রতিদিন ১ হাজার ইউনিট মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে এবং গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে।
এই নীতি ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রেখে মোটরসাইকেল উৎপাদনের সক্ষমতা ১০ লাখে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্প্রতি মোটরসাইকেলকে কেন্দ্র করে জারি করা সরকারের কিছু বিধিনিষেধ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় একদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে; অন্যদিকে মোটরসাইকেল বিক্রি ও চলাচলে সরকারের বিধিনিষেধ বিনিয়োগকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে আছে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা, গত কোরবানির ঈদে মহাসড়ক দিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি করা ও নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অব ফাইন্যান্স ও কমার্শিয়াল শাহ মোহাম্মদ আশেক রহমান বলেন, ‘এত দিন আমরা মোটরসাইকেল বিক্রির সময় অন-টেস্টের আবেদন করে গাড়ি বিক্রি করতাম। এখন নিবন্ধন ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রি করার মতো সিদ্ধান্ত আরোপ হলে মোটরসাইকেল শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। হোন্ডা মোটরসাইকেল শিল্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ বছর ৭ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আগস্ট পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার। শুধু আগস্ট মাসেই ৩০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে।’
অন্যদিকে রানার অটোমোবাইলসের হেড অব কমার্শিয়াল রেজাউল করিম বলেন, ‘২০১৮ সালে মোটরসাইকেল শিল্প নিয়ে সহায়ক পলিসির পর আমরা এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করি। এই খাতে এখন পর্যন্ত আমাদের বিনিয়োগ ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বিনিয়োগ আমরা করেছি দীর্ঘ মেয়াদে লাভের আশায়। কিন্তু এখন আমাদের বিনিয়োগ করিয়ে সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করছে।’
এ বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক চিঠির বরাতে জানা যায়, মোটরসাইকেল শিল্প খাতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২ লাখ মানুষের। বিএমএএমএর মতে, এই শিল্প বর্তমানে জিডিপিতে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অবদান রাখলেও ২০২৫ সাল নাগাদ জিডিপিতে এই খাতের অবদান দাঁড়াবে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল খাত থেকে সরকার প্রতিবছর ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আয় করে ২ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বাবদ সরকারের আয় ১ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে মোটরসাইকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার।
দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে ৯টির মতো কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানা স্থাপনের তালিকায় আছে বিদেশি ব্র্যান্ড জাপানের হোন্ডা, ইয়ামাহা ও সুজুকি এবং ভারতের উত্তরা মোটরস, টিভিএস অটো ও হিরো এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান রানার, ওয়ালটন ও যমুনা।
গণপরিবহনের অভাব ও যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মোটরসাইকেলের ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে দিন দিন। গত এক দশকে দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়া মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও এই দুই চাকার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
মোটরসাইকেলস ডেটার তথ্যমতে, এক দশক আগেও বাংলাদেশে প্রতি বছর মোটরসাইকেল বিক্রির গড় হার ছিল ১০ হাজার ইউনিট। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছে, সরকারের ‘মোটরসাইকেল ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০১৮’-এর কারণে মোটরসাইকেল শিল্প এখন হয়েছে ৬ লাখ ইউনিটের বাজার।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০১৪ সাল থেকে মোটরসাইকেল শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। দেশে প্রতিদিন ১ হাজার ইউনিট মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে এবং গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে।
এই নীতি ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রেখে মোটরসাইকেল উৎপাদনের সক্ষমতা ১০ লাখে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্প্রতি মোটরসাইকেলকে কেন্দ্র করে জারি করা সরকারের কিছু বিধিনিষেধ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় একদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে; অন্যদিকে মোটরসাইকেল বিক্রি ও চলাচলে সরকারের বিধিনিষেধ বিনিয়োগকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে আছে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা, গত কোরবানির ঈদে মহাসড়ক দিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি করা ও নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অব ফাইন্যান্স ও কমার্শিয়াল শাহ মোহাম্মদ আশেক রহমান বলেন, ‘এত দিন আমরা মোটরসাইকেল বিক্রির সময় অন-টেস্টের আবেদন করে গাড়ি বিক্রি করতাম। এখন নিবন্ধন ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রি করার মতো সিদ্ধান্ত আরোপ হলে মোটরসাইকেল শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। হোন্ডা মোটরসাইকেল শিল্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ বছর ৭ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আগস্ট পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার। শুধু আগস্ট মাসেই ৩০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে।’
অন্যদিকে রানার অটোমোবাইলসের হেড অব কমার্শিয়াল রেজাউল করিম বলেন, ‘২০১৮ সালে মোটরসাইকেল শিল্প নিয়ে সহায়ক পলিসির পর আমরা এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করি। এই খাতে এখন পর্যন্ত আমাদের বিনিয়োগ ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বিনিয়োগ আমরা করেছি দীর্ঘ মেয়াদে লাভের আশায়। কিন্তু এখন আমাদের বিনিয়োগ করিয়ে সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করছে।’
এ বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক চিঠির বরাতে জানা যায়, মোটরসাইকেল শিল্প খাতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২ লাখ মানুষের। বিএমএএমএর মতে, এই শিল্প বর্তমানে জিডিপিতে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অবদান রাখলেও ২০২৫ সাল নাগাদ জিডিপিতে এই খাতের অবদান দাঁড়াবে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল খাত থেকে সরকার প্রতিবছর ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আয় করে ২ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বাবদ সরকারের আয় ১ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে মোটরসাইকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার।
দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে ৯টির মতো কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানা স্থাপনের তালিকায় আছে বিদেশি ব্র্যান্ড জাপানের হোন্ডা, ইয়ামাহা ও সুজুকি এবং ভারতের উত্তরা মোটরস, টিভিএস অটো ও হিরো এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান রানার, ওয়ালটন ও যমুনা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে