মাদারীপুর প্রতিনিধি
‘ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেন দালালেরা। পরে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম বলে দেন। তাদের ক্লিনিকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই পরীক্ষাটা শুধু সেখানেই করা হয়।’ এই অভিযোগ করেন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী। এভাবেই প্রতিনিয়ত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এখানে কর্মরত দক্ষ লোকের অভাব। এখানে কর্মরত চিকিৎসকের সবাই যেন অনভিজ্ঞ। ক্লিনিকে গেলে এরাই স্বনামধন্য ডাক্তার বনে যান। তাঁরা ক্লিনিকে গেলে সিজার থেকে শুরু করে সব ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা দেন। কিন্তু শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার হয় না প্রায় ১০ বছর ধরে। অথচ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাংক চন্দ্র ঘোষ নিজেই অফিস সময়ে ক্লিনিকে রোগী দেখেন। তিনি প্রায়ই শিবচর বাজারের ‘মা ও শিশু হাসপাতালে’ নিয়মিত রোগী দেখেন। সেখানে সিজার থেকে শুরু করে সকল রোগের চিকিৎসা দেন একমাত্র তিনিই। ওই হাসপাতালের মালিক শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার পার্টনারশিপের ক্লিনিক ব্যবসা রয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপকভাবে মুখোরোচক গল্প শোনা যাচ্ছে। তাই যিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী মাহবুবুল আলম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালেরা সব সময় হাসপাতালের অভ্যন্তরেই ঘোরাঘুরি করে। অনেকে আবার হাসপাতালের ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে অবস্থান করে। চিকিৎসকেরা সাধারণ রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিলেই দালালেরা নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। এতে তাদের হাতে রোগী ও স্বজনদের নাজেহাল হতে হয়।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আয়শা সিদ্দিকা জানান, উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটি কিছুদিন আগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও রোগীর সেবার মান একেবারে কমে গেছে। হাসপাতালটি নিজেই রুগ্ণ হয়ে গেছে। কোনো রোগী নিয়ে এলে পাঠিয়ে দেন তাদের পছন্দমতো ক্লিনিকে।
শিরুয়াইল থেকে রোগী বজলুর রহমান জানান, প্রায় প্রতিদিনই শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান নেওয়া থাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দালাল সিন্ডিকেট। তাঁদের সঙ্গে চিকিৎসকদের যোগসাজশ রয়েছে। কারণ প্রায় সকল চিকিৎসকই বাজারের কোনো না কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখেন। বিনিময়ে এসব দালালদের পকেটে পুরে দেন কমিশনের টাকা। প্রতিদিনই তাদের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ রোগীদের।
অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২৭ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এ ছাড়া নার্স ২৪ জন, অফিস সহকারী ৩ জন, ইপিআই ২ জন, সুইপার ১ জন, এমএলএস ২ ও ঝাড়ুদার ২ জন। এ হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রতিদিনই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং চক্রের ১০-১৫ জন সদস্য সক্রিয় থাকে। শিবচরের প্রায় ১৮ থেকে ২০টি ক্লিনিক রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওই সব ক্লিনিকে সেবা দেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালের অভ্যন্তরে অনেক সময় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করে এমন ছেলে-মেয়েদের প্রায়ই দেখা যায়। ক্লিনিকের দালালদের দৌরাত্ম্য চরম আকার ধারণ করেছে। আমরা কয়েকবার এর সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ক্লিনিকে মালিকদের কোনোভাবে দমানো যায় না। আর ক্লিনিক চালিয়ে রাখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। এখানকার চিকিৎসকেরা আবার ক্লিনিকে গেলেই অভিজ্ঞ হয়ে যান। অনেক সময় দালালেরা এলে আমার সঙ্গে চেম্বারে চোখাচোখি হলেই কেটে পড়েন।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য রয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জড়িত দালালদের প্রবেশ নিষেধ করা হবে। তবে দালাল নির্মূল করা আমার একার দায়িত্ব না।’
‘ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেন দালালেরা। পরে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম বলে দেন। তাদের ক্লিনিকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই পরীক্ষাটা শুধু সেখানেই করা হয়।’ এই অভিযোগ করেন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী। এভাবেই প্রতিনিয়ত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এখানে কর্মরত দক্ষ লোকের অভাব। এখানে কর্মরত চিকিৎসকের সবাই যেন অনভিজ্ঞ। ক্লিনিকে গেলে এরাই স্বনামধন্য ডাক্তার বনে যান। তাঁরা ক্লিনিকে গেলে সিজার থেকে শুরু করে সব ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা দেন। কিন্তু শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার হয় না প্রায় ১০ বছর ধরে। অথচ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাংক চন্দ্র ঘোষ নিজেই অফিস সময়ে ক্লিনিকে রোগী দেখেন। তিনি প্রায়ই শিবচর বাজারের ‘মা ও শিশু হাসপাতালে’ নিয়মিত রোগী দেখেন। সেখানে সিজার থেকে শুরু করে সকল রোগের চিকিৎসা দেন একমাত্র তিনিই। ওই হাসপাতালের মালিক শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার পার্টনারশিপের ক্লিনিক ব্যবসা রয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপকভাবে মুখোরোচক গল্প শোনা যাচ্ছে। তাই যিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী মাহবুবুল আলম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালেরা সব সময় হাসপাতালের অভ্যন্তরেই ঘোরাঘুরি করে। অনেকে আবার হাসপাতালের ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে অবস্থান করে। চিকিৎসকেরা সাধারণ রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিলেই দালালেরা নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। এতে তাদের হাতে রোগী ও স্বজনদের নাজেহাল হতে হয়।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আয়শা সিদ্দিকা জানান, উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটি কিছুদিন আগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও রোগীর সেবার মান একেবারে কমে গেছে। হাসপাতালটি নিজেই রুগ্ণ হয়ে গেছে। কোনো রোগী নিয়ে এলে পাঠিয়ে দেন তাদের পছন্দমতো ক্লিনিকে।
শিরুয়াইল থেকে রোগী বজলুর রহমান জানান, প্রায় প্রতিদিনই শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান নেওয়া থাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দালাল সিন্ডিকেট। তাঁদের সঙ্গে চিকিৎসকদের যোগসাজশ রয়েছে। কারণ প্রায় সকল চিকিৎসকই বাজারের কোনো না কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখেন। বিনিময়ে এসব দালালদের পকেটে পুরে দেন কমিশনের টাকা। প্রতিদিনই তাদের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ রোগীদের।
অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২৭ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এ ছাড়া নার্স ২৪ জন, অফিস সহকারী ৩ জন, ইপিআই ২ জন, সুইপার ১ জন, এমএলএস ২ ও ঝাড়ুদার ২ জন। এ হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রতিদিনই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং চক্রের ১০-১৫ জন সদস্য সক্রিয় থাকে। শিবচরের প্রায় ১৮ থেকে ২০টি ক্লিনিক রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওই সব ক্লিনিকে সেবা দেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালের অভ্যন্তরে অনেক সময় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করে এমন ছেলে-মেয়েদের প্রায়ই দেখা যায়। ক্লিনিকের দালালদের দৌরাত্ম্য চরম আকার ধারণ করেছে। আমরা কয়েকবার এর সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ক্লিনিকে মালিকদের কোনোভাবে দমানো যায় না। আর ক্লিনিক চালিয়ে রাখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। এখানকার চিকিৎসকেরা আবার ক্লিনিকে গেলেই অভিজ্ঞ হয়ে যান। অনেক সময় দালালেরা এলে আমার সঙ্গে চেম্বারে চোখাচোখি হলেই কেটে পড়েন।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য রয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জড়িত দালালদের প্রবেশ নিষেধ করা হবে। তবে দালাল নির্মূল করা আমার একার দায়িত্ব না।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে