মতিয়ার রহমান
বাংলা প্রথম পত্র: ১০০ নম্বর
১. ব্যাকরণ অংশ (৩০ নম্বর)
এখানে ৫টি প্রশ্নে ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকে। ব্যাকরণ অংশে মোটামুটি ভালো প্রস্তুতি নিলে খুব সহজেই ভালো নম্বর তোলা যায়। ব্যাকরণ অংশের ৫টি পার্টের সেগমেন্ট অনুযায়ী প্রস্ততি নেওয়া উত্তম।
ক. শব্দ গঠন
নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই থেকে শব্দের সংজ্ঞা, শব্দের উৎপত্তি, বিভিন্ন প্রকারের শব্দ গঠন ও শব্দের অর্থ ইত্যাদি পড়ার পর গাইড বই (প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা) থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
খ. বানান, বানানের নিয়ম ও বাক্য শুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ
ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই থেকে বাংলা বানানগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে। এ ছাড়া তৎসম ও অর্ধতৎসম বানানের নিয়মাবলি, ণত্ব ও ষত্ব বিধানের নিয়মাবলি দেখে যেতে হবে। সর্বোপরি প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা গাইড বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বারবার খাতায় লিখে নিজের দখলে আনতে হবে।
গ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ
সমর পাল স্যারের ‘প্রবাদের উৎস সন্ধান’ বইটি থেকে প্রবাদের অর্থগুলো খাতায় লিখে প্রস্তুতি নিলে ভালো। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বইয়ের বাগধারাগুলো নিজের আয়ত্তে রেখে প্রস্তুতি নিলে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ. বাক্যগঠন
নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই ও ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই থেকে বাক্যের সংজ্ঞা, বাক্যের প্রকারভেদ, বাক্য রূপান্তর (সরল, জটিল/মিশ্র, যৌগিক, প্রশ্নবোধক, অনুজ্ঞাসূচক, বিবৃতিমূলক, হ্যাঁ-সূচক, না-সূচক, বিস্ময়সূচক) ইত্যাদি পড়ার পর গাইড বই (প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা) থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো হাতে লিখে অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে খুব সহজেই প্রশ্নগুলোর উত্তর করে আসা যায়।
২. ভাবসম্প্রসারণ (২০ নম্বর)
সম্প্রতি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আমরা যে ভাবসম্প্রসারণগুলো পড়ি, সেগুলোই বিসিএস পরীক্ষায় আসে। তাই কমন ভাবসম্প্রসারণগুলো বিভিন্ন বই থেকে একবার করে রিডিং পড়ে নিজের দখলে রাখতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরে আসা ভাবসম্প্রসারণগুলোও একবার করে পড়ে রাখতে হবে। কারণ অনেক সময়ই বিগত প্রশ্ন রিপিট করা হয়। এরপর কিছু বিখ্যাত উদ্ধৃতি, কোটেশন নোট করে রাখা যেতে পারে, যেগুলো সম্প্রসারিত ভাবের মধ্যে নীল কালি দিয়ে লিখে দেওয়া যায়।
৩. সারমর্ম (২০ নম্বর)
এই অংশের জন্য প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই থেকে বিগত ও অন্যান্য কিছু সারমর্ম পড়বে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নটি তিন-চারবার মনোযোগসহকারে পড়ার পর নিজের মনের মধ্যে ছোট করে একটা মূলভাব তৈরি করে রাফ পেজে এটাকে লিখে ফেলবেন। তারপর সেখানে নিজস্ব কিছু সুন্দর সাহিত্যিক শব্দ যোগ-বিয়োগ করে মূল প্রশ্ন উত্তরে লিখলে লেখাটা অনেক সুন্দর হয়।
৪. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩০ নম্বর)
এই অংশের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পড়ার বাংলা সাহিত্য অংশ অনেক কাজে দেবে। প্রথমে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির বাংলা সাহিত্য অংশ একবার রিভিশন দিয়ে নিবে। এমপি থ্রি-জর্জের বাংলা সাহিত্য বা অগ্রদূত যেকোনো বই থেকে। এরপর প্রফেসরস লিখিত বাংলা থেকে বাংলা সাহিত্যে আসা বিগত বছরের বিসিএস ও নন-ক্যাডার লিখিত প্রশ্নগুলো সুন্দর করে পড়ে ফেলতে হবে। এখানে উল্লেখ করার বিষয় হলো: কিছু প্রশ্নের উত্তরে সাহিত্যিক ও কবিদের উক্তি দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রশ্নটি যদি ব্যাখ্যামূলক হয়, যেমন কবি নজরুলকে কেন বিদ্রোহী কবি বলা হয়? জীবনানন্দ দাশকে কেন রূপসী বাংলার কবি বলা হয়? জসীমউদদীনকে কেন পল্লী কবি বলা হয়? এসব প্রশ্নের ক্ষেত্রে উক্তি দেওয়া উত্তম। আবার সব প্রশ্নের উত্তরে উক্তি দিতে গিয়ে অন্য প্রশ্ন ছেড়ে আসলে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
লেখক: ৪০ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে (হিসাববিজ্ঞান) ২য় স্থান অর্জনকারী।
বাংলা প্রথম পত্র: ১০০ নম্বর
১. ব্যাকরণ অংশ (৩০ নম্বর)
এখানে ৫টি প্রশ্নে ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকে। ব্যাকরণ অংশে মোটামুটি ভালো প্রস্তুতি নিলে খুব সহজেই ভালো নম্বর তোলা যায়। ব্যাকরণ অংশের ৫টি পার্টের সেগমেন্ট অনুযায়ী প্রস্ততি নেওয়া উত্তম।
ক. শব্দ গঠন
নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই থেকে শব্দের সংজ্ঞা, শব্দের উৎপত্তি, বিভিন্ন প্রকারের শব্দ গঠন ও শব্দের অর্থ ইত্যাদি পড়ার পর গাইড বই (প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা) থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
খ. বানান, বানানের নিয়ম ও বাক্য শুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ
ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই থেকে বাংলা বানানগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে। এ ছাড়া তৎসম ও অর্ধতৎসম বানানের নিয়মাবলি, ণত্ব ও ষত্ব বিধানের নিয়মাবলি দেখে যেতে হবে। সর্বোপরি প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা গাইড বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বারবার খাতায় লিখে নিজের দখলে আনতে হবে।
গ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ
সমর পাল স্যারের ‘প্রবাদের উৎস সন্ধান’ বইটি থেকে প্রবাদের অর্থগুলো খাতায় লিখে প্রস্তুতি নিলে ভালো। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বইয়ের বাগধারাগুলো নিজের আয়ত্তে রেখে প্রস্তুতি নিলে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ. বাক্যগঠন
নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই ও ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই থেকে বাক্যের সংজ্ঞা, বাক্যের প্রকারভেদ, বাক্য রূপান্তর (সরল, জটিল/মিশ্র, যৌগিক, প্রশ্নবোধক, অনুজ্ঞাসূচক, বিবৃতিমূলক, হ্যাঁ-সূচক, না-সূচক, বিস্ময়সূচক) ইত্যাদি পড়ার পর গাইড বই (প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স-লিখিত বাংলা) থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো হাতে লিখে অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে খুব সহজেই প্রশ্নগুলোর উত্তর করে আসা যায়।
২. ভাবসম্প্রসারণ (২০ নম্বর)
সম্প্রতি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আমরা যে ভাবসম্প্রসারণগুলো পড়ি, সেগুলোই বিসিএস পরীক্ষায় আসে। তাই কমন ভাবসম্প্রসারণগুলো বিভিন্ন বই থেকে একবার করে রিডিং পড়ে নিজের দখলে রাখতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরে আসা ভাবসম্প্রসারণগুলোও একবার করে পড়ে রাখতে হবে। কারণ অনেক সময়ই বিগত প্রশ্ন রিপিট করা হয়। এরপর কিছু বিখ্যাত উদ্ধৃতি, কোটেশন নোট করে রাখা যেতে পারে, যেগুলো সম্প্রসারিত ভাবের মধ্যে নীল কালি দিয়ে লিখে দেওয়া যায়।
৩. সারমর্ম (২০ নম্বর)
এই অংশের জন্য প্রফেসরস বা অ্যাসিওরেন্স লিখিত বাংলা গাইড বই থেকে বিগত ও অন্যান্য কিছু সারমর্ম পড়বে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নটি তিন-চারবার মনোযোগসহকারে পড়ার পর নিজের মনের মধ্যে ছোট করে একটা মূলভাব তৈরি করে রাফ পেজে এটাকে লিখে ফেলবেন। তারপর সেখানে নিজস্ব কিছু সুন্দর সাহিত্যিক শব্দ যোগ-বিয়োগ করে মূল প্রশ্ন উত্তরে লিখলে লেখাটা অনেক সুন্দর হয়।
৪. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩০ নম্বর)
এই অংশের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পড়ার বাংলা সাহিত্য অংশ অনেক কাজে দেবে। প্রথমে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির বাংলা সাহিত্য অংশ একবার রিভিশন দিয়ে নিবে। এমপি থ্রি-জর্জের বাংলা সাহিত্য বা অগ্রদূত যেকোনো বই থেকে। এরপর প্রফেসরস লিখিত বাংলা থেকে বাংলা সাহিত্যে আসা বিগত বছরের বিসিএস ও নন-ক্যাডার লিখিত প্রশ্নগুলো সুন্দর করে পড়ে ফেলতে হবে। এখানে উল্লেখ করার বিষয় হলো: কিছু প্রশ্নের উত্তরে সাহিত্যিক ও কবিদের উক্তি দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রশ্নটি যদি ব্যাখ্যামূলক হয়, যেমন কবি নজরুলকে কেন বিদ্রোহী কবি বলা হয়? জীবনানন্দ দাশকে কেন রূপসী বাংলার কবি বলা হয়? জসীমউদদীনকে কেন পল্লী কবি বলা হয়? এসব প্রশ্নের ক্ষেত্রে উক্তি দেওয়া উত্তম। আবার সব প্রশ্নের উত্তরে উক্তি দিতে গিয়ে অন্য প্রশ্ন ছেড়ে আসলে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
লেখক: ৪০ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে (হিসাববিজ্ঞান) ২য় স্থান অর্জনকারী।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে