জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপিতে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। আগামীকাল (৬ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)। এরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করার কথা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। তবে জগন্নাথপুরে ৭টি ইউপিতেই প্রচারের নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে লঙ্ঘন করা হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
ইউপি নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। তবে এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নেমে পড়েন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে তাঁদের অনেকে প্রকাশ্যে বিপুলসংখ্যক লোকজন নিয়ে গণসংযোগ, সভাসমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে বিজয়ী হতে চাইছেন ভোট ও সমর্থন। এভাবে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন তাঁরা।
জগন্নাথপুরের যেসব ইউপিতে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে, কলকলিয়া, পাটলী, চিলাউড়া-হলদিপুর, রানীগঞ্জ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও পাইলগাঁও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ‘সব প্রার্থীই প্রচার চালাচ্ছেন। আমি যদি প্রতীকের আশায় বসে থেকে সময় নষ্ট করি তাহলে ভোটের মাঠে পিছিয়ে পড়ব। এ কারণে তাদের দেখাদেখি আমিও প্রচারে নেমেছি।’
আশারকান্দির একজন ভোটার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরপরই অনেকে প্রচার শুরু করে দেন। প্রতীক বরাদ্দে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজনও মনে করেননি। নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেই প্রার্থীর নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁরা যে কি করবেন সেটি একমাত্র আল্লাহই জানে।’
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে জগন্নাথপুরের সাতটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ৩৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন নির্বাচনের মাঠে। তাঁরা হলেন, কলকলিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাল হোসেন রানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক আহমদ ও আব্দুস সোবহান।
পাটলী ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাই আজাদ, এনামুল ইসলাম ও আতিকুর রহমান আতিক।
চিলাউড়-হলদিপুর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আরশ মিয়া, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গফুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল, আব্দুল মোমিন, ইলিয়াস মিয়া, মুজিবুর রহমান।
রানীগঞ্জ ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম রানা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছদরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমান উল্লাহ লেছু, এম সিরাজুল ইসলাম আশিক ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ছালিক মিয়া।
সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুকিতুর রহমান, মকসুদ কোরেশী, আজহার কামালী, তানভীর আহমদ কামালী ও আজাদ হোসেন চৌধুরী।
আশারকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুস সত্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব খান, সৈয়দ জমিরুল হক, আহমেদ হোসাইন, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী পারভেজ, লেবু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, আবু বক্কর খান ও জাতীয় পাটি মনোনীত প্রার্থী শাহ তারেক রহমান।
পাইলগাঁও ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুখলিছ মিয়া, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুন্দর উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক মিয়া ও দবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া সাতটি ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে ২৪০ এবং সংরক্ষিত নারী পদে ৮৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচার শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আমরা সব প্রার্থীকে বলে দিয়েছি। আচরণবিধি লঙ্ঘনে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপিতে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। আগামীকাল (৬ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)। এরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করার কথা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। তবে জগন্নাথপুরে ৭টি ইউপিতেই প্রচারের নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে লঙ্ঘন করা হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
ইউপি নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। তবে এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নেমে পড়েন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে তাঁদের অনেকে প্রকাশ্যে বিপুলসংখ্যক লোকজন নিয়ে গণসংযোগ, সভাসমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে বিজয়ী হতে চাইছেন ভোট ও সমর্থন। এভাবে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন তাঁরা।
জগন্নাথপুরের যেসব ইউপিতে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে, কলকলিয়া, পাটলী, চিলাউড়া-হলদিপুর, রানীগঞ্জ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও পাইলগাঁও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ‘সব প্রার্থীই প্রচার চালাচ্ছেন। আমি যদি প্রতীকের আশায় বসে থেকে সময় নষ্ট করি তাহলে ভোটের মাঠে পিছিয়ে পড়ব। এ কারণে তাদের দেখাদেখি আমিও প্রচারে নেমেছি।’
আশারকান্দির একজন ভোটার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরপরই অনেকে প্রচার শুরু করে দেন। প্রতীক বরাদ্দে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজনও মনে করেননি। নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেই প্রার্থীর নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁরা যে কি করবেন সেটি একমাত্র আল্লাহই জানে।’
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে জগন্নাথপুরের সাতটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ৩৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন নির্বাচনের মাঠে। তাঁরা হলেন, কলকলিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাল হোসেন রানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক আহমদ ও আব্দুস সোবহান।
পাটলী ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাই আজাদ, এনামুল ইসলাম ও আতিকুর রহমান আতিক।
চিলাউড়-হলদিপুর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আরশ মিয়া, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গফুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল, আব্দুল মোমিন, ইলিয়াস মিয়া, মুজিবুর রহমান।
রানীগঞ্জ ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম রানা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছদরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমান উল্লাহ লেছু, এম সিরাজুল ইসলাম আশিক ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ছালিক মিয়া।
সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুকিতুর রহমান, মকসুদ কোরেশী, আজহার কামালী, তানভীর আহমদ কামালী ও আজাদ হোসেন চৌধুরী।
আশারকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুস সত্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব খান, সৈয়দ জমিরুল হক, আহমেদ হোসাইন, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী পারভেজ, লেবু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, আবু বক্কর খান ও জাতীয় পাটি মনোনীত প্রার্থী শাহ তারেক রহমান।
পাইলগাঁও ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুখলিছ মিয়া, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুন্দর উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক মিয়া ও দবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া সাতটি ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে ২৪০ এবং সংরক্ষিত নারী পদে ৮৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচার শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আমরা সব প্রার্থীকে বলে দিয়েছি। আচরণবিধি লঙ্ঘনে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে