নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকেরা। ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর এক মাস পার হলেও মাত্র ২০৫ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গুদামে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের আগ্রহী করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমেও ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে জেলার হাটবাজারগুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় সরকারি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম থমকে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের বর্তমান বাজারদরের তুলনায় সরকারের নির্ধারিত দাম অনেক কম। এ পরিস্থিতিতে গুদামে ধান বিক্রি করে কৃষকদের তেমন লাভ থাকবে না। তার ওপর অতীত অভিজ্ঞতায় কৃষকেরা দেখেছেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করা অনেক ঝামেলার। আর্দ্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক-দুই কেজি করে বেশি ধান নেওয়া হয়। অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে এসব ঝামেলা নেই।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে ৩১ আগস্ট। গত ২৮ এপ্রিল সারা দেশে একসঙ্গে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। জেলার ১১টি উপজেলার ১৯টি খাদ্যগুদামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৬ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। তবে ধান সংগ্রহ অভিযানের এক মাস ৫ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। এর মধ্যে নওগাঁ সদরে ২৯ দশমিক ৮৪০ মেট্রিক টন, আত্রাইয়ে ৭৭ দশমিক ৬০০, পোরশায় ১৮ দশমিক ৪৪০, মান্দায় ২৩ দশমিক ২৪০, বদলগাছীতে ৪ এবং নিয়ামতপুরে ৫২ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতে এখনো কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি।
সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনের দিন জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর ও রাণীনগর উপজেলায় ‘কৃষক অ্যাপ’-এর মাধ্যমে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ হবে। ধান শতভাগ সংগ্রহ নিশ্চিত করতে পুরোদমে প্রস্তুতিও নিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশই জিরা, কাটারিভোগ, বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের ধান। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ মেট্রিক টন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নওগাঁর বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতি মণ কাটারি ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। জিরা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার কয়েকজন কৃষক বলেন, গুদামে যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, তার থেকে হাটবাজারেই দাম বেশি। নানা ঝামেলার কারণে গুদামে ধান দিচ্ছেন না তাঁরা। এ ছাড়া ধান দিতে গিয়ে ধানের রং ভালো না, আর্দ্রতা কম-বেশিসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য হাটবাজারে ধান বিক্রি করছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির বলেন, ধান সংগ্রহ অভিযান চলছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ২৬ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন ধান কেনার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকারি যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকেরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে ধান সংগ্রহের এখনো বেশ সময় রয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা হবে। তিনি আশা করছেন, এ সময়ের মধ্যে কৃষকেরা গুদামে ধান দেবেন এবং সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে।
নওগাঁয় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকেরা। ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর এক মাস পার হলেও মাত্র ২০৫ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গুদামে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের আগ্রহী করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমেও ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে জেলার হাটবাজারগুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় সরকারি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম থমকে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের বর্তমান বাজারদরের তুলনায় সরকারের নির্ধারিত দাম অনেক কম। এ পরিস্থিতিতে গুদামে ধান বিক্রি করে কৃষকদের তেমন লাভ থাকবে না। তার ওপর অতীত অভিজ্ঞতায় কৃষকেরা দেখেছেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করা অনেক ঝামেলার। আর্দ্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক-দুই কেজি করে বেশি ধান নেওয়া হয়। অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে এসব ঝামেলা নেই।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে ৩১ আগস্ট। গত ২৮ এপ্রিল সারা দেশে একসঙ্গে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। জেলার ১১টি উপজেলার ১৯টি খাদ্যগুদামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৬ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। তবে ধান সংগ্রহ অভিযানের এক মাস ৫ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। এর মধ্যে নওগাঁ সদরে ২৯ দশমিক ৮৪০ মেট্রিক টন, আত্রাইয়ে ৭৭ দশমিক ৬০০, পোরশায় ১৮ দশমিক ৪৪০, মান্দায় ২৩ দশমিক ২৪০, বদলগাছীতে ৪ এবং নিয়ামতপুরে ৫২ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতে এখনো কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি।
সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনের দিন জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর ও রাণীনগর উপজেলায় ‘কৃষক অ্যাপ’-এর মাধ্যমে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ হবে। ধান শতভাগ সংগ্রহ নিশ্চিত করতে পুরোদমে প্রস্তুতিও নিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশই জিরা, কাটারিভোগ, বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের ধান। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ মেট্রিক টন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নওগাঁর বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতি মণ কাটারি ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। জিরা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার কয়েকজন কৃষক বলেন, গুদামে যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, তার থেকে হাটবাজারেই দাম বেশি। নানা ঝামেলার কারণে গুদামে ধান দিচ্ছেন না তাঁরা। এ ছাড়া ধান দিতে গিয়ে ধানের রং ভালো না, আর্দ্রতা কম-বেশিসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য হাটবাজারে ধান বিক্রি করছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির বলেন, ধান সংগ্রহ অভিযান চলছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ২৬ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন ধান কেনার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকারি যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকেরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে ধান সংগ্রহের এখনো বেশ সময় রয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা হবে। তিনি আশা করছেন, এ সময়ের মধ্যে কৃষকেরা গুদামে ধান দেবেন এবং সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে