রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
লালগালিচায় মোড়ানো কাঠের ছয়টি কামরা। চমৎকার রং আর বৈচিত্র্যপূর্ণ নকশা সেই কাঠজুড়ে। ভেতরে আছে রাজকীয় শয়নকক্ষ ও একটি কনফারেন্স রুম। এটি কোনো রাজপ্রাসাদ নয়, একটি রেলওয়ে কোচ। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের ভারতবর্ষ ভ্রমণের জন্য ১৯২৭ সালে তৈরি করা হয় বিলাসবহুল এই কোচ। নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় গেলেই দেখা যাবে কোচটি। মেরামতের জন্য এটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপে রাখা হয়েছে।
কোচটির ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে এটি কোনো আধুনিক বাসভবন। প্রবেশদ্বারেই রয়েছে কোচটির ইতিহাসসংবলিত একটি ওয়ালবোর্ড। এক পা এগোতেই চোখে পড়বে নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা একটি কামরা। রয়েছে রানির সঙ্গে আসা পাইক-পেয়াদা ও তাঁর স্টাফদের জন্য থাকার আলাদা কক্ষ।
এরপর দেখা মিলবে বেশ বড় একটি সভাকক্ষের। সেগুন কাঠের তৈরি বড় দুটি সোফা রাখা আছে সেখানে, সেই সোফার সামনে আছে ৮ থেকে ১০টি চেয়ার। নান্দনিক কারুকার্য দেয়ালজুড়ে। লালগালিচা আর সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো পুরো সভাকক্ষ। সেখানে আলমারিতে আছে ড্রিংকস কেস ও ছাইদানি। রয়েছে এসি, নান্দনিক ডিজাইনের লাইটিং, ফ্যান, উন্নত কাঠের আসবাব আর দামি ঝাড়বাতি।
এরপরেই আছে খাট, ফোল্ডিং বেসিনযুক্ত রানির জন্য বরাদ্দ করা দুই বিছানার একটি শয়নকক্ষ। দোতলা আলমারি, জিনিসপত্র রাখার জন্য তামার তৈরি ছোট দুটি পাত্র ও ঝাড়বাতি। এরপর এক কক্ষজুড়ে বাথরুম। তার পুরো দেয়াল উন্নতমানের ছোট ছোট টাইলসে বাঁধানো। স্ক্রু দিয়ে আটকানো প্রতিটি টাইলস। সিলিংও সবুজাভ টাইলসে মোড়ানো। মেঝেতে কাঠের ওপর মোজাইক। সেখানকার ঝাড়বাতিগুলো নকশাদার ও রঙিন। দেয়ালজুড়ে তামা-পিতলের আলপনা। সাবান-শ্যাম্পু আর ব্রাশ রাখার জন্য আছে তামার তৈরি নান্দনিক ঝুড়ি। আছে বিশাল সবুজ মার্বেলের বাথটাব ও পিতলের ঝরনা।
এরপরের কক্ষটি বাবুর্চিদের থাকার জন্য। তারপরের কক্ষটি রান্নাঘর। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এই কোচের ভেতরের অবস্থা। লাইটগুলো অচল হওয়ায় আলোর জন্য নতুন করে লাইট লাগানো হয়েছে।
ছয় কামরাবিশিষ্ট এই পুরো কোচ লাল মখমলে কার্পেটিং করা। প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে একটি করে অ্যাটাচ বাথরুম ও বেলজিয়ামের উন্নত স্যানিটারি ফিটিংস। বোঝাই যায় না, এগুলো শত বছর আগের তৈরি।
সাধারণ কোচে ৮টি চাকা থাকলেও সেলুনটিতে রয়েছে ১২টি চাকা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রানি এলিজাবেথ এই কোচে ভ্রমণ করেন। পরে এটি পরিবর্তিত হয়ে প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে এটি মেরামতের জন্য আনা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। বর্তমানে ব্যবহার না হলেও, আমরা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে রেখে দিয়েছি এটি।’
রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, এটি ১৯২৭ সালে ব্রিটিশদের বানানো বিশেষায়িত একটি কোচ। দেশভাগের পর ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়েকে এই সেলুন কোচটি উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। এর পর থেকে এটি শুধু রাষ্ট্রপতির ভ্রমণের জন্য জন্য সংরক্ষিত থাকায় এর নাম হয় রেলওয়ে প্রেসিডেন্ট সেলুন। একমাত্র প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এই সেলুন ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৮১ সালে কোচটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে মেরামতের জন্য আনা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়।
কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সেলুন কোচটি কারখানার ক্যারেজ শপে থাকলেও কিছু জিনিস মেরামত করে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হবে নবনির্মিত রেলওয়ে জাদুঘরে।’
লালগালিচায় মোড়ানো কাঠের ছয়টি কামরা। চমৎকার রং আর বৈচিত্র্যপূর্ণ নকশা সেই কাঠজুড়ে। ভেতরে আছে রাজকীয় শয়নকক্ষ ও একটি কনফারেন্স রুম। এটি কোনো রাজপ্রাসাদ নয়, একটি রেলওয়ে কোচ। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের ভারতবর্ষ ভ্রমণের জন্য ১৯২৭ সালে তৈরি করা হয় বিলাসবহুল এই কোচ। নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় গেলেই দেখা যাবে কোচটি। মেরামতের জন্য এটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপে রাখা হয়েছে।
কোচটির ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে এটি কোনো আধুনিক বাসভবন। প্রবেশদ্বারেই রয়েছে কোচটির ইতিহাসসংবলিত একটি ওয়ালবোর্ড। এক পা এগোতেই চোখে পড়বে নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা একটি কামরা। রয়েছে রানির সঙ্গে আসা পাইক-পেয়াদা ও তাঁর স্টাফদের জন্য থাকার আলাদা কক্ষ।
এরপর দেখা মিলবে বেশ বড় একটি সভাকক্ষের। সেগুন কাঠের তৈরি বড় দুটি সোফা রাখা আছে সেখানে, সেই সোফার সামনে আছে ৮ থেকে ১০টি চেয়ার। নান্দনিক কারুকার্য দেয়ালজুড়ে। লালগালিচা আর সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো পুরো সভাকক্ষ। সেখানে আলমারিতে আছে ড্রিংকস কেস ও ছাইদানি। রয়েছে এসি, নান্দনিক ডিজাইনের লাইটিং, ফ্যান, উন্নত কাঠের আসবাব আর দামি ঝাড়বাতি।
এরপরেই আছে খাট, ফোল্ডিং বেসিনযুক্ত রানির জন্য বরাদ্দ করা দুই বিছানার একটি শয়নকক্ষ। দোতলা আলমারি, জিনিসপত্র রাখার জন্য তামার তৈরি ছোট দুটি পাত্র ও ঝাড়বাতি। এরপর এক কক্ষজুড়ে বাথরুম। তার পুরো দেয়াল উন্নতমানের ছোট ছোট টাইলসে বাঁধানো। স্ক্রু দিয়ে আটকানো প্রতিটি টাইলস। সিলিংও সবুজাভ টাইলসে মোড়ানো। মেঝেতে কাঠের ওপর মোজাইক। সেখানকার ঝাড়বাতিগুলো নকশাদার ও রঙিন। দেয়ালজুড়ে তামা-পিতলের আলপনা। সাবান-শ্যাম্পু আর ব্রাশ রাখার জন্য আছে তামার তৈরি নান্দনিক ঝুড়ি। আছে বিশাল সবুজ মার্বেলের বাথটাব ও পিতলের ঝরনা।
এরপরের কক্ষটি বাবুর্চিদের থাকার জন্য। তারপরের কক্ষটি রান্নাঘর। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এই কোচের ভেতরের অবস্থা। লাইটগুলো অচল হওয়ায় আলোর জন্য নতুন করে লাইট লাগানো হয়েছে।
ছয় কামরাবিশিষ্ট এই পুরো কোচ লাল মখমলে কার্পেটিং করা। প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে একটি করে অ্যাটাচ বাথরুম ও বেলজিয়ামের উন্নত স্যানিটারি ফিটিংস। বোঝাই যায় না, এগুলো শত বছর আগের তৈরি।
সাধারণ কোচে ৮টি চাকা থাকলেও সেলুনটিতে রয়েছে ১২টি চাকা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রানি এলিজাবেথ এই কোচে ভ্রমণ করেন। পরে এটি পরিবর্তিত হয়ে প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে এটি মেরামতের জন্য আনা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। বর্তমানে ব্যবহার না হলেও, আমরা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে রেখে দিয়েছি এটি।’
রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, এটি ১৯২৭ সালে ব্রিটিশদের বানানো বিশেষায়িত একটি কোচ। দেশভাগের পর ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়েকে এই সেলুন কোচটি উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। এর পর থেকে এটি শুধু রাষ্ট্রপতির ভ্রমণের জন্য জন্য সংরক্ষিত থাকায় এর নাম হয় রেলওয়ে প্রেসিডেন্ট সেলুন। একমাত্র প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এই সেলুন ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৮১ সালে কোচটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে মেরামতের জন্য আনা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়।
কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সেলুন কোচটি কারখানার ক্যারেজ শপে থাকলেও কিছু জিনিস মেরামত করে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হবে নবনির্মিত রেলওয়ে জাদুঘরে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে