পরশুরাম উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান দুর্বৃত্তদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের আটজন আহত হয়েছেন বলে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ঘিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-সংলগ্ন কোলাপাড়ায় একটি খালি মাঠে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল ঢাকা মহানগর যুদবলের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর। তিনি উপজেলার বক্সমাহমুদ বাজার পর্যন্ত পৌঁছলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি আর অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।

বুধবার সকালে ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে হামলায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

হামলায় আহতরা হলেন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন চক্রবর্তী, যুবদলের সদস্য মো. স্বপন, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মাসুদ, চিথলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের মো শরীফ, চিথলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মাহবুব, রিয়াদসহ আটজন।

পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক জানান, তাঁরা প্রথমে আরিফ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করেন। প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ গতকাল সকালে নিষেধ করায় কোলাপাড়ায় অনুষ্ঠান শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে প্রায় আটজন আহত হন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম জানান, বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত। তাঁরা নিজেরা মারামারি করে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পণ্ড করেছে।