রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও
গফরগাঁওয়ের বারবারিয়া ইউনিয়নের নিভৃত গ্রাম উত্তর নওয়াপাড়ায় বাহারি রঙের বিদেশি মাছ চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম মিনু। মাত্র ছয়টি মাছ দিয়ে পুকুরে চাষ শুরু করে ১৫ বছরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেছেন তিনি। উৎপাদিত রঙিন মাছ বিক্রি হচ্ছে সারা দেশে। সেই সঙ্গে যাচ্ছে বিদেশেও। সফল এ উদ্যোক্তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন রঙিন মাছ চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।
উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সাইফুল ইসলাম মিনুর আল-আমিন এসোরটেড হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ নামের রঙিন মাছের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পুকুর ও চৌবাচ্চায় ব্যস্ত শ্রমিকেরা। প্রতিদিন দর্শনার্থীরাও ভিড় করেন খামারে।
সাইফুল ইসলাম মিনু জানান, বিদেশি মাছ চাষাবাদ করায় শুরুতে এলাকার লোকজন বিদ্রূপ করত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অ্যাকোয়ারিয়াম মাছের ক্রেতা মূলত শৌখিন মানুষ, দামও বেশি। সাহস নিয়ে শুরু করেছিলাম। দেশি মাছের চেয়ে মুনাফাও বেশি।’
সাইফুল ইসলাম মিনু আরও বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে গফরগাঁও এলাকার রেণু পোনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথমে জায়গা ভাড়া নিয়ে ও পরে জমি কিনে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করি।
এই খামারি জানান, ২০০৭ সালে অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ চাষ শুরু করেন। ওই সময় ক্রেতা কম থাকলেও ভালো দাম পাওয়া যেত। এমন চিন্তা থেকে জাপান থেকে ছয়টি কই কার্প মাছের পোনা সংগ্রহ করে রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে পোনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। পরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে প্রায় ২৪ প্রজাতির মাছ এনে ব্যবসার কলেবর বাড়িয়েছেন তিনি। অ্যাকোরিয়াম ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন রিসোর্ট এসব মাছের ক্রেতা। দুবাইয়েও রপ্তানি হয়েছে এই মাছ।
রঙিন মাছ বিপণন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন সাইফুল ইসলামের বড় ছেলে মাশরিকুল ইসলাম তুনানও। তিনি জানান, দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীরা অনলাইনে যোগাযোগ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রঙিন মাছ কিনে নিয়ে যান।
জানা গেছে, জাপানি কই কার্প ছোট আকারের প্রতিটি ১০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর বড় আকারের গুলো ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এখন তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের রঙিন কই কার্প রয়েছে দুই শতাধিক।
সাইফুল ইসলাম মিনু বলেন, ‘রঙিন মাছ চাষ অভিনব হওয়ায় কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য নিয়ে এগোতে হয়েছে। এখন ৪০ বিঘা জমিতে ২৫টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামের শোলের পোনা, জাপানিজ কই কার্প, ক্যান্ডি প্ল্যাটি, ফান টেইল মিল্কি, বেনি-গই, জেব্রা মেল, গোল্ড ফিশ, কই কার্প, কোহাকো জাপানিজ কই, আলবেনিও শার্ক ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির মাছ। প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন।’
একই সঙ্গে চাষ করছেন ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ বা কালো মাছির লার্ভা। পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি। এই লার্ভা মাছ ও হাঁস-মুরগির প্রিয় খাবার। এ জন্য পাশে শুরু করেছেন মুরগির খামারও। তাঁর খামার বাড়িতে রয়েছে অন্তত বিশ প্রজাতির ফলদ গাছ এবং শাকসবজি।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘রঙিন মাছ চাষ প্রথম দিকে শৌখিনভাবে হলেও এখন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বেড়েছে। তাই অনেকেই রঙিন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এসব মাছ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘রঙিন মাছের খামারি সাইফুল ইসলাম মিনুর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শৌখিনতার গণ্ডি পেরিয়ে রঙিন মাছ চাষ এখন অন্যতম আয়ের উৎস হতে পারে। সেই সঙ্গে রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।’
গফরগাঁওয়ের বারবারিয়া ইউনিয়নের নিভৃত গ্রাম উত্তর নওয়াপাড়ায় বাহারি রঙের বিদেশি মাছ চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম মিনু। মাত্র ছয়টি মাছ দিয়ে পুকুরে চাষ শুরু করে ১৫ বছরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেছেন তিনি। উৎপাদিত রঙিন মাছ বিক্রি হচ্ছে সারা দেশে। সেই সঙ্গে যাচ্ছে বিদেশেও। সফল এ উদ্যোক্তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন রঙিন মাছ চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।
উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সাইফুল ইসলাম মিনুর আল-আমিন এসোরটেড হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ নামের রঙিন মাছের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পুকুর ও চৌবাচ্চায় ব্যস্ত শ্রমিকেরা। প্রতিদিন দর্শনার্থীরাও ভিড় করেন খামারে।
সাইফুল ইসলাম মিনু জানান, বিদেশি মাছ চাষাবাদ করায় শুরুতে এলাকার লোকজন বিদ্রূপ করত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অ্যাকোয়ারিয়াম মাছের ক্রেতা মূলত শৌখিন মানুষ, দামও বেশি। সাহস নিয়ে শুরু করেছিলাম। দেশি মাছের চেয়ে মুনাফাও বেশি।’
সাইফুল ইসলাম মিনু আরও বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে গফরগাঁও এলাকার রেণু পোনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথমে জায়গা ভাড়া নিয়ে ও পরে জমি কিনে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করি।
এই খামারি জানান, ২০০৭ সালে অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ চাষ শুরু করেন। ওই সময় ক্রেতা কম থাকলেও ভালো দাম পাওয়া যেত। এমন চিন্তা থেকে জাপান থেকে ছয়টি কই কার্প মাছের পোনা সংগ্রহ করে রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে পোনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। পরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে প্রায় ২৪ প্রজাতির মাছ এনে ব্যবসার কলেবর বাড়িয়েছেন তিনি। অ্যাকোরিয়াম ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন রিসোর্ট এসব মাছের ক্রেতা। দুবাইয়েও রপ্তানি হয়েছে এই মাছ।
রঙিন মাছ বিপণন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন সাইফুল ইসলামের বড় ছেলে মাশরিকুল ইসলাম তুনানও। তিনি জানান, দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীরা অনলাইনে যোগাযোগ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রঙিন মাছ কিনে নিয়ে যান।
জানা গেছে, জাপানি কই কার্প ছোট আকারের প্রতিটি ১০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর বড় আকারের গুলো ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এখন তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের রঙিন কই কার্প রয়েছে দুই শতাধিক।
সাইফুল ইসলাম মিনু বলেন, ‘রঙিন মাছ চাষ অভিনব হওয়ায় কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য নিয়ে এগোতে হয়েছে। এখন ৪০ বিঘা জমিতে ২৫টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামের শোলের পোনা, জাপানিজ কই কার্প, ক্যান্ডি প্ল্যাটি, ফান টেইল মিল্কি, বেনি-গই, জেব্রা মেল, গোল্ড ফিশ, কই কার্প, কোহাকো জাপানিজ কই, আলবেনিও শার্ক ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির মাছ। প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন।’
একই সঙ্গে চাষ করছেন ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ বা কালো মাছির লার্ভা। পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি। এই লার্ভা মাছ ও হাঁস-মুরগির প্রিয় খাবার। এ জন্য পাশে শুরু করেছেন মুরগির খামারও। তাঁর খামার বাড়িতে রয়েছে অন্তত বিশ প্রজাতির ফলদ গাছ এবং শাকসবজি।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘রঙিন মাছ চাষ প্রথম দিকে শৌখিনভাবে হলেও এখন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বেড়েছে। তাই অনেকেই রঙিন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এসব মাছ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘রঙিন মাছের খামারি সাইফুল ইসলাম মিনুর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শৌখিনতার গণ্ডি পেরিয়ে রঙিন মাছ চাষ এখন অন্যতম আয়ের উৎস হতে পারে। সেই সঙ্গে রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে