খান রফিক, বরিশাল
কেরামত আলীর পাঁচ একর জমি এক যুগ আগেও তিন ফসলি ছিল। কিন্তু সেই জমি এখন জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। বরিশাল নগরঘেঁষা কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব প্রান্তে চরকাউয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ একর বিলের জমিতে কেরামতের মতো বহু কৃষক এখন ফসল উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ারে কীর্তনখোলা নদীর পানি ওই বিলে প্রবেশ করলেও আর বের হয় না। যে কারণে সেখানে এখন ফসলের পরিবর্তে কচুরিপানা দখল করে নিয়েছে। এই বিশাল ফসলি জমিকে আবাদি হিসেবে ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হলেও হুঁশ ফেরেনি কারোরই। অবশ্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকেরা গত ৩০ অক্টোবর এক চিঠিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে জানান, চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২০০ থেকে ২৫০ একর জমির বিলে ১২ বছর আগেও তিন ফসল (আমন, ইরি, ধুলাট) উৎপাদন হতো। অথচ এখন একটি ফসলও হয় না। এর কারণ কীর্তনখোলা নদী সন্নিকটে হওয়ায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে বিলের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। কিন্তু খাল ভরাট হওয়ায় ওই পানি না নেমে ধীরে ধীরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। তার ওপর বিলভর্তি কচুরিপানায় পানি নামতে বিলম্ব হয়। তাই ফসল নষ্ট হতে হতে এখন অনাবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে।
কৃষকেরা দাবি করেছেন, খাল সংস্কার করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, কচুরিপানা অপসারণ এবং নির্ধারিত স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করলে বিস্তীর্ণ এই অনাবাদি জমিতে আবার ফসল ফলানো সম্ভব।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চরকাউয়ার স্থানীয় কৃষকদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি অফিসের সঙ্গে এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত আলী হাওলাদার জানান, তাঁদের বিল স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঘুরে গেছেন। ভাইস চেয়ারম্যানও পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ বিলে ফসল উৎপাদন না করতে পারায় চরকাউয়ায় এখন আর কৃষক নেই। অথচ এই বিলের ধান দিয়ে তাঁদের খোরাকি হতো।
চরকাউয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক সাগর বলেন, খাল খনন না হওয়ায় কচুরিপানায় বিলটি ভরে গেছে। যে কারণে পানি প্রবাহ না হওয়ায় ওই বিলে ফসল হচ্ছে না। অনেকেই কীর্তনখোলা শাখার এই খাল দখল করছে। অথচ আজীবন এই বিলে ফসল হতো। তাঁরা ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তাকে বলেছেন, কিন্তু বিশাল অনাবাদি ফসলি জমি আবাদি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি পরিদর্শন করে দেখেছেন চরকাউয়ার বিলের খাল মরে গেছে। আটকে আছে দুই পাশের নালা। এর আশপাশে কেউ কাঁচাঘর কেউ পাকাঘর তৈরি করেছে। খাল দিয়ে পানিনিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিস্তীর্ণ জমিতে এখন আর ফসল হচ্ছে না। তিনি অনাবাদি এই জমিকে আবাদি করতে সব মহলে কথা বলেছেন। গতকাল বুধবার কৃষিবিষয়ক এক সভায় বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তা ও ইউএনওকে অবহিত করেছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা বলেন, গতকাল প্রণোদনাবিষয়ক সভায় পতিত জমি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কৃষকের এমন অভিযোগ সত্য হলে খতিয়ে দেখা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশালের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ অবশ্য বলেছেন, তিনি এ বিষয়টি জানেন না। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলবেন। পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের সদস্যসচিব মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ ফসল হয়েছে এই চরকাউয়ার বিলে। ওই বিলের ধান দিয়ে চরকাউয়াবাসী বছরের চাহিদা মেটাতেন। এখন এই বিলই হয়েছে আপদ। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাদি জমি আবাদি করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
কেরামত আলীর পাঁচ একর জমি এক যুগ আগেও তিন ফসলি ছিল। কিন্তু সেই জমি এখন জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। বরিশাল নগরঘেঁষা কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব প্রান্তে চরকাউয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ একর বিলের জমিতে কেরামতের মতো বহু কৃষক এখন ফসল উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ারে কীর্তনখোলা নদীর পানি ওই বিলে প্রবেশ করলেও আর বের হয় না। যে কারণে সেখানে এখন ফসলের পরিবর্তে কচুরিপানা দখল করে নিয়েছে। এই বিশাল ফসলি জমিকে আবাদি হিসেবে ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হলেও হুঁশ ফেরেনি কারোরই। অবশ্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকেরা গত ৩০ অক্টোবর এক চিঠিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে জানান, চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২০০ থেকে ২৫০ একর জমির বিলে ১২ বছর আগেও তিন ফসল (আমন, ইরি, ধুলাট) উৎপাদন হতো। অথচ এখন একটি ফসলও হয় না। এর কারণ কীর্তনখোলা নদী সন্নিকটে হওয়ায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে বিলের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। কিন্তু খাল ভরাট হওয়ায় ওই পানি না নেমে ধীরে ধীরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। তার ওপর বিলভর্তি কচুরিপানায় পানি নামতে বিলম্ব হয়। তাই ফসল নষ্ট হতে হতে এখন অনাবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে।
কৃষকেরা দাবি করেছেন, খাল সংস্কার করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, কচুরিপানা অপসারণ এবং নির্ধারিত স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করলে বিস্তীর্ণ এই অনাবাদি জমিতে আবার ফসল ফলানো সম্ভব।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চরকাউয়ার স্থানীয় কৃষকদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি অফিসের সঙ্গে এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত আলী হাওলাদার জানান, তাঁদের বিল স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঘুরে গেছেন। ভাইস চেয়ারম্যানও পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ বিলে ফসল উৎপাদন না করতে পারায় চরকাউয়ায় এখন আর কৃষক নেই। অথচ এই বিলের ধান দিয়ে তাঁদের খোরাকি হতো।
চরকাউয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক সাগর বলেন, খাল খনন না হওয়ায় কচুরিপানায় বিলটি ভরে গেছে। যে কারণে পানি প্রবাহ না হওয়ায় ওই বিলে ফসল হচ্ছে না। অনেকেই কীর্তনখোলা শাখার এই খাল দখল করছে। অথচ আজীবন এই বিলে ফসল হতো। তাঁরা ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তাকে বলেছেন, কিন্তু বিশাল অনাবাদি ফসলি জমি আবাদি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি পরিদর্শন করে দেখেছেন চরকাউয়ার বিলের খাল মরে গেছে। আটকে আছে দুই পাশের নালা। এর আশপাশে কেউ কাঁচাঘর কেউ পাকাঘর তৈরি করেছে। খাল দিয়ে পানিনিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিস্তীর্ণ জমিতে এখন আর ফসল হচ্ছে না। তিনি অনাবাদি এই জমিকে আবাদি করতে সব মহলে কথা বলেছেন। গতকাল বুধবার কৃষিবিষয়ক এক সভায় বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তা ও ইউএনওকে অবহিত করেছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা বলেন, গতকাল প্রণোদনাবিষয়ক সভায় পতিত জমি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কৃষকের এমন অভিযোগ সত্য হলে খতিয়ে দেখা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশালের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ অবশ্য বলেছেন, তিনি এ বিষয়টি জানেন না। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলবেন। পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের সদস্যসচিব মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ ফসল হয়েছে এই চরকাউয়ার বিলে। ওই বিলের ধান দিয়ে চরকাউয়াবাসী বছরের চাহিদা মেটাতেন। এখন এই বিলই হয়েছে আপদ। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাদি জমি আবাদি করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে