কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
‘ভাওয়াইয়া গানের ধাম, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম’—এ প্রতিপাদ্যই কুড়িগ্রাম জেলার পরিচিতি তুলে ধরে। বৃহত্তম নদ ব্রহ্মপুত্রসহ দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। বর্ষা মৌসুমে এসব নদীর পানিতে প্লাবিত চরাঞ্চল শুষ্ক মৌসুমে ধু ধু মরুভূমি সদৃশ হয়। এ অবস্থায় চর অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন হয়ে ওঠে ঘোড়ার গাড়ি। আর এ কাজে জীবিকা নির্বাহ করছেন চরাঞ্চলের কয়েক শ মানুষ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের চরাঞ্চল, উলিপুর, নাগেশ্বরী, চিলমারী, ভূরুঙ্গামারীসহ সব কটি উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে বালুচর ও গ্রামীণ মেঠোপথে নির্ভরযোগ্য বাহন ঘোড়ার গাড়ি। এসব চরাঞ্চলে পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার এখন নিত্যদিনের চিত্র।
ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা জানান, সুস্থ-সবল ঘোড়া দিয়ে একটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ পণ্য পরিবহন করা যায়। পাশাপাশি বালুচর পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করতেও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। আর এসব গাড়িতে পণ্য পরিবহন করে দৈনিক ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা উপার্জন করছেন গাড়িয়ালেরা। তা দিয়েই ঘোড়ার খাবারসহ পরিবারের ব্যয়ভার মেটাচ্ছেন তাঁরা।
ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সদরের যাত্রাপুর ইউপির জলিল মিয়া। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে চর যাত্রাপুর এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি চালান তিনি। সদর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার প্রায় ৪০টিরও বেশি চরের মানুষ যাত্রাপুর হাটে কেনাবেচা করতে আসেন। চরাঞ্চলের বালুময় পথে এসব পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি অনেকের উপার্জনের পথও তৈরি হয়েছে।
জেলা সদরের যাত্রাপুর হাটে ঘোড়ার গাড়ি তৈরির কারিগর ইব্রাহীম জানান, প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। মান ভেদে একটি ঘোড়া কিনতে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাগে। ঘোড়ার খাবার ছাড়া এসব গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে আর তেমন খরচ প্রয়োজন হয় না। বালুচর ও অসমতল সড়কে অনায়াসে ঘোড়ার গাড়িতে পণ্য পরিবহন করা যায় বলে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
যাত্রাপুর হাটের কৃষিপণ্য মজুত ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, সাহেবের আলগা, জাহাজের আলগা, ঝুনকার চর, কালির আলগা, রলাকাটাসহ বিভিন্ন চরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ধান, গমসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছেন। বালুচরে যাতায়াতে সুবিধা ও সুলভ মূল্য হওয়ায় ঘোড়ার গাড়িতে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ‘চরাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের একমাত্র বাহন এখন ঘোড়ার গাড়ি। শুধু পণ্য পরিবহন নয়, এটি এখন চরাঞ্চলের কয়েক শ মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটের মতো ঘোড়া এখন চরের জাহাজ হয়ে উঠেছে।’
‘ভাওয়াইয়া গানের ধাম, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম’—এ প্রতিপাদ্যই কুড়িগ্রাম জেলার পরিচিতি তুলে ধরে। বৃহত্তম নদ ব্রহ্মপুত্রসহ দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। বর্ষা মৌসুমে এসব নদীর পানিতে প্লাবিত চরাঞ্চল শুষ্ক মৌসুমে ধু ধু মরুভূমি সদৃশ হয়। এ অবস্থায় চর অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন হয়ে ওঠে ঘোড়ার গাড়ি। আর এ কাজে জীবিকা নির্বাহ করছেন চরাঞ্চলের কয়েক শ মানুষ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের চরাঞ্চল, উলিপুর, নাগেশ্বরী, চিলমারী, ভূরুঙ্গামারীসহ সব কটি উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে বালুচর ও গ্রামীণ মেঠোপথে নির্ভরযোগ্য বাহন ঘোড়ার গাড়ি। এসব চরাঞ্চলে পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার এখন নিত্যদিনের চিত্র।
ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা জানান, সুস্থ-সবল ঘোড়া দিয়ে একটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ পণ্য পরিবহন করা যায়। পাশাপাশি বালুচর পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করতেও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। আর এসব গাড়িতে পণ্য পরিবহন করে দৈনিক ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা উপার্জন করছেন গাড়িয়ালেরা। তা দিয়েই ঘোড়ার খাবারসহ পরিবারের ব্যয়ভার মেটাচ্ছেন তাঁরা।
ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সদরের যাত্রাপুর ইউপির জলিল মিয়া। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে চর যাত্রাপুর এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি চালান তিনি। সদর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার প্রায় ৪০টিরও বেশি চরের মানুষ যাত্রাপুর হাটে কেনাবেচা করতে আসেন। চরাঞ্চলের বালুময় পথে এসব পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি অনেকের উপার্জনের পথও তৈরি হয়েছে।
জেলা সদরের যাত্রাপুর হাটে ঘোড়ার গাড়ি তৈরির কারিগর ইব্রাহীম জানান, প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। মান ভেদে একটি ঘোড়া কিনতে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাগে। ঘোড়ার খাবার ছাড়া এসব গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে আর তেমন খরচ প্রয়োজন হয় না। বালুচর ও অসমতল সড়কে অনায়াসে ঘোড়ার গাড়িতে পণ্য পরিবহন করা যায় বলে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
যাত্রাপুর হাটের কৃষিপণ্য মজুত ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, সাহেবের আলগা, জাহাজের আলগা, ঝুনকার চর, কালির আলগা, রলাকাটাসহ বিভিন্ন চরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ধান, গমসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছেন। বালুচরে যাতায়াতে সুবিধা ও সুলভ মূল্য হওয়ায় ঘোড়ার গাড়িতে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ‘চরাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের একমাত্র বাহন এখন ঘোড়ার গাড়ি। শুধু পণ্য পরিবহন নয়, এটি এখন চরাঞ্চলের কয়েক শ মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটের মতো ঘোড়া এখন চরের জাহাজ হয়ে উঠেছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে