মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলা, মাদক ও অস্ত্র মামলার কয়েকজন আসামি। তা ছাড়া রয়েছেন বিবাহিত ও অছাত্ররা।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অনেককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। কমিটি থেকে বিতর্কিত নেতাদের নাম বাদ দিতে এক সপ্তাহ বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে নাসিরনগরের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার মামলার আসামি ফারদিন তাহের রাহুল পেয়েছেন উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। তখন মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রাহুল। পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন।
কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে আসিফুল ইসলাম অন্তুকে। তিনি গত বছরের ১১ এপ্রিল আখাউড়া থানা-পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন। একই বছরের ৩১ আগস্ট আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁর নাম রয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের জুন মাসে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হন রবিউল আলম। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। বিবাহিত মেহেদী মিশু পেয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের চা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল পেয়েছেন উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।
অভিযোগ ওঠে এই কমিটি ঘোষণায় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মও মানা হয়নি। গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়েও বড় ৩৪৯ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়ী, ছাত্রদল নেতা বিবাহিত, প্রবাসী, সহোদর, ফটোকপির দোকানের কর্মচারী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ত্রিশের অধিক বয়সী, এসএসসি ফেল করা ছাত্র এবং মাদক, চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামি।
এই কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলটি বের করা হয়।
সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জুয়েল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু চৌধুরী বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, ‘যারা এসএসসি পাস করেনি, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলা-হামলার সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি-ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিল এমন নেতা-কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি সংশোধন না করা হলে আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
এই ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে এত বড় কমিটি জমা দেয়নি। কমিটিতে পদ পাওয়া যেকোনো ছাত্রলীগ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলা, মাদক ও অস্ত্র মামলার কয়েকজন আসামি। তা ছাড়া রয়েছেন বিবাহিত ও অছাত্ররা।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অনেককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। কমিটি থেকে বিতর্কিত নেতাদের নাম বাদ দিতে এক সপ্তাহ বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে নাসিরনগরের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার মামলার আসামি ফারদিন তাহের রাহুল পেয়েছেন উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। তখন মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রাহুল। পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন।
কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে আসিফুল ইসলাম অন্তুকে। তিনি গত বছরের ১১ এপ্রিল আখাউড়া থানা-পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন। একই বছরের ৩১ আগস্ট আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁর নাম রয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের জুন মাসে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হন রবিউল আলম। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। বিবাহিত মেহেদী মিশু পেয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের চা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল পেয়েছেন উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।
অভিযোগ ওঠে এই কমিটি ঘোষণায় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মও মানা হয়নি। গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়েও বড় ৩৪৯ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়ী, ছাত্রদল নেতা বিবাহিত, প্রবাসী, সহোদর, ফটোকপির দোকানের কর্মচারী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ত্রিশের অধিক বয়সী, এসএসসি ফেল করা ছাত্র এবং মাদক, চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামি।
এই কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলটি বের করা হয়।
সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জুয়েল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু চৌধুরী বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, ‘যারা এসএসসি পাস করেনি, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলা-হামলার সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি-ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিল এমন নেতা-কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি সংশোধন না করা হলে আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
এই ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে এত বড় কমিটি জমা দেয়নি। কমিটিতে পদ পাওয়া যেকোনো ছাত্রলীগ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে