কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। হাটবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি বসতবাড়ি থেকেও তোলা হচ্ছে চাঁদা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আদমপুর এলাকার একটি হাতির সঙ্গে বাচ্চা হাতি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার, সড়ক অবরোধ করে ও বাড়িতে চাঁদাবাজি করছেন। এসব চাঁদাবাজি করছেন হাতির পিঠে বসে জহির মিয়া নামে এক মাহুত।
স্থানীয়রা জানান, জহির মিয়া নানা রকমের শব্দ করে হাতিটি পরিচালিত করেন। আর হাতি তার শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানদারের দিকে। কেউ স্বেচ্ছায় আবার কেউ ভয়ে টাকা দিচ্ছেন। আশানুরূপ টাকার পরিমাণ না হলে হাতি তার শুঁড় ফিরিয়ে নেয়। তখন আবার ভয়ে অনেকেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। পরে চাঁদার টাকা হাতি শুঁড় দিয়ে তার মাহুতকে দেয়।
এদিকে বন বিভাগ বলছে, যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য। নির্বাক প্রাণী দিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকের অভিযোগ, কয়েকজন হাতির মালিক সবসময় জেলাৎব্যাপী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি নিয়ে নিয়মিত একেকদিন একেক এলাকায় ঘুরে চাঁদাবাজি চালায়।
কমলগঞ্জের শহীদনগর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। একটি হাতির সঙ্গে একটা বাচ্চা ও পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করে। টাকা চাইলে ভয়ে টাকা দিই। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন এক সহযোগী।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
শহীদনগর বাজারের ব্যবসায়ী সিপন মিয়া বলেন, বাজার ও সড়কের গাড়ি আটকিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। হাতির ভয়ে বাধ্য হয়ে চাঁদা দেয় মানুষ।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবুল কাশেম বলেন, ‘এই হাতিকে এক দিনে তিন জায়গায় চাঁদা দিয়েছি। এভাবে প্রতিদিন কোনো-না কোনো হাতিকে চাঁদা দিতে হয়। নয়তো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাতি পরিচালনাকারী বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই আমরা নিই। বছরের কয়েক মাস বসে দিন কাটাতে হয়; এ জন্য মাঝেমধ্যে হাতি নিয়ে বের হয়ে মানুষদের বিনোদন দিই।’
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতি দিয়ে টাকা তোলা অবৈধ। যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করবে, সেই জায়গার সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে জানালে তারা ব্যবস্থা নেবে। টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। হাটবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি বসতবাড়ি থেকেও তোলা হচ্ছে চাঁদা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আদমপুর এলাকার একটি হাতির সঙ্গে বাচ্চা হাতি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার, সড়ক অবরোধ করে ও বাড়িতে চাঁদাবাজি করছেন। এসব চাঁদাবাজি করছেন হাতির পিঠে বসে জহির মিয়া নামে এক মাহুত।
স্থানীয়রা জানান, জহির মিয়া নানা রকমের শব্দ করে হাতিটি পরিচালিত করেন। আর হাতি তার শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানদারের দিকে। কেউ স্বেচ্ছায় আবার কেউ ভয়ে টাকা দিচ্ছেন। আশানুরূপ টাকার পরিমাণ না হলে হাতি তার শুঁড় ফিরিয়ে নেয়। তখন আবার ভয়ে অনেকেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। পরে চাঁদার টাকা হাতি শুঁড় দিয়ে তার মাহুতকে দেয়।
এদিকে বন বিভাগ বলছে, যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য। নির্বাক প্রাণী দিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকের অভিযোগ, কয়েকজন হাতির মালিক সবসময় জেলাৎব্যাপী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি নিয়ে নিয়মিত একেকদিন একেক এলাকায় ঘুরে চাঁদাবাজি চালায়।
কমলগঞ্জের শহীদনগর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। একটি হাতির সঙ্গে একটা বাচ্চা ও পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করে। টাকা চাইলে ভয়ে টাকা দিই। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন এক সহযোগী।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
শহীদনগর বাজারের ব্যবসায়ী সিপন মিয়া বলেন, বাজার ও সড়কের গাড়ি আটকিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। হাতির ভয়ে বাধ্য হয়ে চাঁদা দেয় মানুষ।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবুল কাশেম বলেন, ‘এই হাতিকে এক দিনে তিন জায়গায় চাঁদা দিয়েছি। এভাবে প্রতিদিন কোনো-না কোনো হাতিকে চাঁদা দিতে হয়। নয়তো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাতি পরিচালনাকারী বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই আমরা নিই। বছরের কয়েক মাস বসে দিন কাটাতে হয়; এ জন্য মাঝেমধ্যে হাতি নিয়ে বের হয়ে মানুষদের বিনোদন দিই।’
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতি দিয়ে টাকা তোলা অবৈধ। যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করবে, সেই জায়গার সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে জানালে তারা ব্যবস্থা নেবে। টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে