ঘরোয়া লিগে দারুণ ছন্দে থাকা দুই দল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে। সান সিরোর উত্তেজনাপূর্ণ এই দ্বৈরথে লিভারপুলকে আতিথ্য দেবে ইন্টার মিলান। আজ রাতে যারা জিতবে, শেষ আটের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। একই রাতে সালজবুর্গের মাঠে খেলতে যাবে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখ।

গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে লিভারপুলের চেয়ে কিছুটা পিছিয়েই থাকবে ইন্টার। ‘অল রেড’রা গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে। আর ইন্টার নিজেদের গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে। তবে ঘরের মাঠে খেলা বলে পরিচিত পরিবেশে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে ইন্টার। আর গত এক দশকে এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে খেলতে যাচ্ছে ইন্টার। নিশ্চিতভাবে এটি অনুপ্রাণিত করবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। তবে লিভারপুলের দাপুটে ছন্দ থামাতে হলে বাড়তি কিছুই করে দেখাতে হবে নেরাজ্জুরিদের।

লিগে দারুণ ছন্দে এগিয়ে গেলেও ইন্টার কোচ ইনজাগির কপালের ভাঁজ বাড়াতে পারে শেষ দুই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্স। একটিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ইন্টার। আর অন্যটিতে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। এই দুই ম্যাচের পর শীর্ষ স্থানও হারিয়েছে তারা। এটা ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে নামার আগে কিছুটা হলেও ধাক্কা দেবে ইন্টারের আত্মবিশ্বাসে।

অন্য দিকে প্রিমিয়ার লিগে দারুণ গতিতে এগোচ্ছে লিভারপুল। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে তারা। ইতিবাচক ফল পাওয়ার পাশাপাশি লিভারপুলের খেলার ধরনও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। অ্যানফিল্ডের দলটির হয়ে দারুণ ছন্দে আছেন মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে, দিয়েগো জোতারা। সালাহ ও মানে দুজনই আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের ফাইনালে খেলে এসেছেন। আর ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছেন জোতা। এই ত্রয়ীকে থামানোই আসল চ্যালেঞ্জ হবে ইন্টারের জন্য।

বায়ার্নের সালজবুর্গ চ্যালেঞ্জ

লিভারপুলের মতো গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে নকআউটে গেছে বায়ার্ন মিউনিখে। দারুণ ছন্দে থাকা বাভারিয়ান পরাশক্তিরা ৬ ম্যাচে গোলই করেছে ২২টি। রবার্ট লেভানডফস্কি-থমাস মুলাররাও আছেন নিজেদের সেরা ছন্দে। সালজবুর্গের বিপক্ষে আজ রাতে ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামবে তারা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে কোনো দলকেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। সালজবুর্গ গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় হলেও নিজেদের মাঠে বায়ার্নের মতো ফেবারিট দলকে চমকে দিতে পারে তারাও।