মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাতির শাবককে প্রশিক্ষণের নামে নির্যাতনের সংবাদ মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান এ নির্দেশ দেন।
কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী, মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উভয় তদন্তকারী কর্মকর্তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হাতি নির্যাতনের ওই ঘটনায় যাঁরা জড়িত; তাঁদের নাম-ঠিকানা, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের নামে নির্দয় নির্যাতনে কয়টি হাতি মারা গেছে, তার সংখ্যা, হাতি কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে (তার মধ্যে কয়টি পালিত ও কয়টি বন থেকে সংগৃহীত), মৌলভীবাজার জেলায় হাতি লালন-পালন ও প্রশিক্ষণে কয়জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এবং হাতির প্রতি এ ধরনের নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের জন্য আইনানুযায়ী কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে ওসি, জুড়ী থানা, মৌলভীবাজার এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজারের নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি গণ্য করে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৫ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের তারিখ ধার্য করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণের নামে হাতির ওপর চালানো অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ অবিলম্বে বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
‘প্রশিক্ষণের নামে বর্বরতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর (মুহম্মদ আলী আহসান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব দ্য পিস, মৌলভীবাজার) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিবেদনে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানাধীন গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের গহিন জঙ্গলে কথিত একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ঘটনা উল্লেখ করা হয়; যা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর এখতিয়ারাধীন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘হাদানি’ নামের প্রাচীন পদ্ধতিতে বন্য হাতিকে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পোষ মানানো হয়। এ পদ্ধতিতে হাতির শাবককে দড়ি দিয়ে গাছের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়। এ সময় বাচ্চা হাতির মাকে দূরে রাখা হয় এবং শাবকটির ওপর নির্দয়ভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পর্যাপ্ত খাদ্যও দেওয়া হয় না। এভাবে দুই মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সার্কাসে বিভিন্ন কসরত এবং গাছপালা পরিবহনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
হাতি সুরক্ষার জন্য দেশে আইন থাকলেও তা কেউ মানছেন না। হাতিকে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ফলে অনেক হাতি শিশু অবস্থায় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। বশ্যতার নামে তাদের সঙ্গে বর্বরতা করা হয় বিধায় অনেক হাতি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র কর্তৃক জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা বিধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ প্রণীত হয়। ওই আইনের ২ (৩৭) (গ) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো বন্যপ্রাণীকে আহত বা ক্ষতি করা শিকারের অন্তর্ভুক্ত। ওই আইনের ৫ ধারায় বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন সংরক্ষক এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা পদাধিকার বলে যথাক্রমে প্রধান ওয়ার্ডেন, অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন এবং ওয়ার্ডেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তাঁরা দেশের জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, নিরাপত্তার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।’
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাতির শাবককে প্রশিক্ষণের নামে নির্যাতনের সংবাদ মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান এ নির্দেশ দেন।
কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী, মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উভয় তদন্তকারী কর্মকর্তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হাতি নির্যাতনের ওই ঘটনায় যাঁরা জড়িত; তাঁদের নাম-ঠিকানা, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের নামে নির্দয় নির্যাতনে কয়টি হাতি মারা গেছে, তার সংখ্যা, হাতি কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে (তার মধ্যে কয়টি পালিত ও কয়টি বন থেকে সংগৃহীত), মৌলভীবাজার জেলায় হাতি লালন-পালন ও প্রশিক্ষণে কয়জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এবং হাতির প্রতি এ ধরনের নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের জন্য আইনানুযায়ী কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে ওসি, জুড়ী থানা, মৌলভীবাজার এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজারের নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি গণ্য করে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৫ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের তারিখ ধার্য করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণের নামে হাতির ওপর চালানো অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ অবিলম্বে বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
‘প্রশিক্ষণের নামে বর্বরতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর (মুহম্মদ আলী আহসান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব দ্য পিস, মৌলভীবাজার) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিবেদনে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানাধীন গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের গহিন জঙ্গলে কথিত একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ঘটনা উল্লেখ করা হয়; যা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর এখতিয়ারাধীন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘হাদানি’ নামের প্রাচীন পদ্ধতিতে বন্য হাতিকে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পোষ মানানো হয়। এ পদ্ধতিতে হাতির শাবককে দড়ি দিয়ে গাছের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়। এ সময় বাচ্চা হাতির মাকে দূরে রাখা হয় এবং শাবকটির ওপর নির্দয়ভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পর্যাপ্ত খাদ্যও দেওয়া হয় না। এভাবে দুই মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সার্কাসে বিভিন্ন কসরত এবং গাছপালা পরিবহনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
হাতি সুরক্ষার জন্য দেশে আইন থাকলেও তা কেউ মানছেন না। হাতিকে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ফলে অনেক হাতি শিশু অবস্থায় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। বশ্যতার নামে তাদের সঙ্গে বর্বরতা করা হয় বিধায় অনেক হাতি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র কর্তৃক জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা বিধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ প্রণীত হয়। ওই আইনের ২ (৩৭) (গ) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো বন্যপ্রাণীকে আহত বা ক্ষতি করা শিকারের অন্তর্ভুক্ত। ওই আইনের ৫ ধারায় বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন সংরক্ষক এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা পদাধিকার বলে যথাক্রমে প্রধান ওয়ার্ডেন, অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন এবং ওয়ার্ডেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তাঁরা দেশের জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, নিরাপত্তার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে