রাজীব কুমার সাহা
আমাদের দৈনন্দিন ভাষিক ব্যবহারে একটি প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো ‘গাঁটছড়া’। যদিও শব্দটির আর্থক্ষেত্র নির্ধারিত। শব্দটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের প্রসঙ্গেই সুস্পষ্টরূপে ব্যবহৃত হয়। এ শব্দবন্ধটি নিয়ে যে বাগধারা রয়েছে, সেটি হলো ‘গাঁটছড়া বাঁধা’।
এর অর্থ কী? এর আক্ষরিক এবং আলংকারিক অর্থের মধ্যে কোন অর্থটি বাংলা ভাষায় অধিক ব্যবহৃত? আজ জানব ‘গাঁটছড়া বাঁধা’র আদ্যোপান্ত।
বাংলা ‘গাঁইট’ শব্দ থেকে ‘গাঁট’ এবং ‘ছড়া’ শব্দ সহযোগে তৈরি হয়েছে ‘গাঁটছড়া’ শব্দটি। গাঁটছড়া শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে সংস্কৃত ‘গ্রন্থিছড়া’ শব্দ থেকে। এটি বিশেষ্য পদ। যদিও ‘গাঁটছড়া বাঁধা’ বাগধারাটি ক্রিয়া বিশেষ্য পদ। গাঁটছড়া বাঁধার আক্ষরিক অর্থ হলো গিঁট দিয়ে বেঁধে দেওয়া। আর এর আলংকারিক অর্থ হলো হিন্দু বিয়েতে কনের আঁচলের সঙ্গে বরের উত্তরীয়ের গ্রন্থি বাঁধার সংস্কার পালন করা।এর মধ্য দিয়ে বর-কনের বন্ধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি ও অভিবাদন জ্ঞাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়েতে গাঁটছড়া বাঁধার বিধানটি একটি প্রাচীন প্রথাবিশেষ। সচরাচর বিয়েতে দুটো মনের সঙ্গে প্রাধান্য দেওয়া হয় দুটো পরিবার এবং তাদের সংস্কৃতিকেও। বৈদিক যুগের আগে থেকেই বিয়ের নানাবিধ প্রথার সঙ্গে এ প্রথাটির প্রচলন ছিল। বিয়েতে আচরিত বিধিবিধানগুলোর মধ্যে প্রধানতম সাতটি বিধান হলো মালাবদল, আংটিবদল, ব্রহ্মার উদ্দেশ্যে পুজো ও মন্ত্রপাঠ, গাঁটছড়া বাঁধা, হস্তবন্ধন, খই পোড়ানো এবং সিঁদুরদান। এই বিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম বিধানটি হলো গাঁটছড়া বাঁধা।
যেখানে কনের শাড়ির আঁচলের সঙ্গে বরের ধুতির খুঁট বা প্রান্ত বেঁধে দিয়ে দুজনের বন্ধন যেন সারা জীবন অটুট থাকে তার জন্য প্রার্থনা করা হয়। গাঁটছড়া বাঁধার পরই বিবাহকুঞ্জে বর-কনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। প্রকৃতপক্ষে এই প্রথার মধ্য দিয়ে বর-কনের পারস্পরিক দায়িত্ববোধ এবং ভালোবাসার বিষয়টি পরিস্ফুট হয়। গাঁট শব্দের সঙ্গে ছড়া শব্দটির যুক্ত হওয়ার একটি কারণ হলো, ছড়া শব্দটি এখানে গুচ্ছ অর্থটিকে ইঙ্গিত করছে। কেননা, বর-কনের বিয়ের মধ্য দিয়েই সন্তানসন্ততির সংখ্যা গুচ্ছাকারে ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানেও গাঁটছড়া বাঁধা বিবাহকার্যের অন্যতম অনুষঙ্গ, যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবশ্যপালনীয় বিধান। আর এই আচরিত বিধানের মধ্য দিয়েই গাঁট বাঁধার পর বংশ ছড়িয়ে পড়ে।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
আমাদের দৈনন্দিন ভাষিক ব্যবহারে একটি প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো ‘গাঁটছড়া’। যদিও শব্দটির আর্থক্ষেত্র নির্ধারিত। শব্দটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের প্রসঙ্গেই সুস্পষ্টরূপে ব্যবহৃত হয়। এ শব্দবন্ধটি নিয়ে যে বাগধারা রয়েছে, সেটি হলো ‘গাঁটছড়া বাঁধা’।
এর অর্থ কী? এর আক্ষরিক এবং আলংকারিক অর্থের মধ্যে কোন অর্থটি বাংলা ভাষায় অধিক ব্যবহৃত? আজ জানব ‘গাঁটছড়া বাঁধা’র আদ্যোপান্ত।
বাংলা ‘গাঁইট’ শব্দ থেকে ‘গাঁট’ এবং ‘ছড়া’ শব্দ সহযোগে তৈরি হয়েছে ‘গাঁটছড়া’ শব্দটি। গাঁটছড়া শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে সংস্কৃত ‘গ্রন্থিছড়া’ শব্দ থেকে। এটি বিশেষ্য পদ। যদিও ‘গাঁটছড়া বাঁধা’ বাগধারাটি ক্রিয়া বিশেষ্য পদ। গাঁটছড়া বাঁধার আক্ষরিক অর্থ হলো গিঁট দিয়ে বেঁধে দেওয়া। আর এর আলংকারিক অর্থ হলো হিন্দু বিয়েতে কনের আঁচলের সঙ্গে বরের উত্তরীয়ের গ্রন্থি বাঁধার সংস্কার পালন করা।এর মধ্য দিয়ে বর-কনের বন্ধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি ও অভিবাদন জ্ঞাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়েতে গাঁটছড়া বাঁধার বিধানটি একটি প্রাচীন প্রথাবিশেষ। সচরাচর বিয়েতে দুটো মনের সঙ্গে প্রাধান্য দেওয়া হয় দুটো পরিবার এবং তাদের সংস্কৃতিকেও। বৈদিক যুগের আগে থেকেই বিয়ের নানাবিধ প্রথার সঙ্গে এ প্রথাটির প্রচলন ছিল। বিয়েতে আচরিত বিধিবিধানগুলোর মধ্যে প্রধানতম সাতটি বিধান হলো মালাবদল, আংটিবদল, ব্রহ্মার উদ্দেশ্যে পুজো ও মন্ত্রপাঠ, গাঁটছড়া বাঁধা, হস্তবন্ধন, খই পোড়ানো এবং সিঁদুরদান। এই বিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম বিধানটি হলো গাঁটছড়া বাঁধা।
যেখানে কনের শাড়ির আঁচলের সঙ্গে বরের ধুতির খুঁট বা প্রান্ত বেঁধে দিয়ে দুজনের বন্ধন যেন সারা জীবন অটুট থাকে তার জন্য প্রার্থনা করা হয়। গাঁটছড়া বাঁধার পরই বিবাহকুঞ্জে বর-কনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। প্রকৃতপক্ষে এই প্রথার মধ্য দিয়ে বর-কনের পারস্পরিক দায়িত্ববোধ এবং ভালোবাসার বিষয়টি পরিস্ফুট হয়। গাঁট শব্দের সঙ্গে ছড়া শব্দটির যুক্ত হওয়ার একটি কারণ হলো, ছড়া শব্দটি এখানে গুচ্ছ অর্থটিকে ইঙ্গিত করছে। কেননা, বর-কনের বিয়ের মধ্য দিয়েই সন্তানসন্ততির সংখ্যা গুচ্ছাকারে ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানেও গাঁটছড়া বাঁধা বিবাহকার্যের অন্যতম অনুষঙ্গ, যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবশ্যপালনীয় বিধান। আর এই আচরিত বিধানের মধ্য দিয়েই গাঁট বাঁধার পর বংশ ছড়িয়ে পড়ে।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে