মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়া ইউনিয়নে ছাত্তার সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের নলবুনিয়াকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরোধের জেরে ছাত্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত সাত্তার চরকেওয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া কান্দি গ্রামের সুরুজ সরকারের ছেলে। তার স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, তৃতীয় দফায় চর কেওয়ার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আক্তারুজ্জামান ও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (চাপকল) ইমরান কবিরের সমর্থক ছিলেন। গতকাল সকালে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুস সাত্তারের ছেলে সাগর সর্দার জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। এরপর তিনি রাতে বাসায় ফেরেননি। সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, পাশের একটি বাগানে তাঁর বাবার লাশ ঝুলছে। তাঁর বাবাকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আবদুস সাত্তারের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আনারস ও চাপকলের প্রার্থীর সমর্থক ছিল। স্বামীকে ইউপি সদস্য প্রার্থী (আপেল) বজলুর রহমানের লোকজন অনেক দিন ধরে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন, যেন তিনি আনারস ও চাপকলকে সমর্থন না করেন। এ নিয়ে আমার স্বামী খুব আতঙ্কে ছিলেন। প্রায় সময় আমাকে বলতেন, শত্রুপক্ষের লোকজন তাঁকে মেরে ফেলবে। এ ভয়ে সে বাড়ি থেকেও বের হতেন না।’
বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, আফসার উদ্দিনের লোকজন তিন-চারটা মাইক্রোবাস নিয়ে প্রতিদিন নলবুনিয়াকান্দি এলাকায় গিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেন। তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্যই সাত্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বজলুর রহমান বলেন, ‘আমরাও চাই, সত্য উদ্ঘাটন হোক। ইমরানের লোকজন আমার ক্যাম্প, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার জন্য ঘটনাটি অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমার অপরাধ—আমি নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এম এ কালাম বলেন, ‘হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে থাকার চিহ্ন দেখা গেছে। তবে শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, ‘শুনেছি, সকালে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সুমন দেব আরও বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এলাকায় সহিংসতার চেষ্টা করছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার সুযোগ নেই। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে একই ওয়ার্ডের খাসকান্দি এলাকায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ওই গ্রামের এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়া ইউনিয়নে ছাত্তার সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের নলবুনিয়াকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরোধের জেরে ছাত্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত সাত্তার চরকেওয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া কান্দি গ্রামের সুরুজ সরকারের ছেলে। তার স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, তৃতীয় দফায় চর কেওয়ার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আক্তারুজ্জামান ও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (চাপকল) ইমরান কবিরের সমর্থক ছিলেন। গতকাল সকালে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুস সাত্তারের ছেলে সাগর সর্দার জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। এরপর তিনি রাতে বাসায় ফেরেননি। সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, পাশের একটি বাগানে তাঁর বাবার লাশ ঝুলছে। তাঁর বাবাকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আবদুস সাত্তারের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আনারস ও চাপকলের প্রার্থীর সমর্থক ছিল। স্বামীকে ইউপি সদস্য প্রার্থী (আপেল) বজলুর রহমানের লোকজন অনেক দিন ধরে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন, যেন তিনি আনারস ও চাপকলকে সমর্থন না করেন। এ নিয়ে আমার স্বামী খুব আতঙ্কে ছিলেন। প্রায় সময় আমাকে বলতেন, শত্রুপক্ষের লোকজন তাঁকে মেরে ফেলবে। এ ভয়ে সে বাড়ি থেকেও বের হতেন না।’
বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, আফসার উদ্দিনের লোকজন তিন-চারটা মাইক্রোবাস নিয়ে প্রতিদিন নলবুনিয়াকান্দি এলাকায় গিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেন। তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্যই সাত্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বজলুর রহমান বলেন, ‘আমরাও চাই, সত্য উদ্ঘাটন হোক। ইমরানের লোকজন আমার ক্যাম্প, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার জন্য ঘটনাটি অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমার অপরাধ—আমি নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এম এ কালাম বলেন, ‘হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে থাকার চিহ্ন দেখা গেছে। তবে শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, ‘শুনেছি, সকালে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সুমন দেব আরও বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এলাকায় সহিংসতার চেষ্টা করছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার সুযোগ নেই। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে একই ওয়ার্ডের খাসকান্দি এলাকায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ওই গ্রামের এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে