সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
‘সুন্দর ঘর পাইছি, জমি পাইছি। অহন কইতে পারি আমরা ভূমিহীন না। যা কোনো দিন স্বপ্নেও দেহি নাই। এর থাইক্যা আনন্দের আর কি আছে? এত দিন আমরা মাইনষের বাড়িতে, অন্যের জমিতে খুপরি বানাইয়্যা থাকতাম। আইজ এহানে তো কাল অন্যহানে। কতজনে কত কথা কইছে।’ এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘর পাওয়া বৃদ্ধা আছিয়া বেগম।
পেয়ারপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে সারি সারি ঘর। সুন্দর এবং মজবুত এসব ঘরের পেছনে-সামনে নানা জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের সামনে রয়েছে খোলা জায়গা। কেউ সেই জায়গায় বাগান করেছেন, কেউ সবজি চাষ করেছেন, কেউ আবার নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন তোরণ। আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ-সুবিধা। বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে প্রতি ১০ পরিবারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি করে গভীর নলকূপ।
সুবিধাভোগী আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার বলেন, ‘এখানের ঘরগুলো বেশ টেকসই। অন্য জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে যে কথা শুনেছি, তাতে চিন্তায় ছিলাম। সে তুলনায় এখানের ঘরগুলো টেকসই ও সুন্দর।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আজ সুখে আছি। ঘরের সামনের গেট বানিয়ে রং করেছি; যাতে আরও সুন্দর দেখায়।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই দফায় ১৭৫টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে ১০০টি ঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৭৫টি ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হলে তা হস্তান্তর করা হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। আরও পরিকল্পনা আছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারের সন্তানেরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে, সে জন্য প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। এ জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। মাটি দিয়ে জায়গা ভরাটের কাজ চলছে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মাণ করায় এর গুণগতমান ভালো হয়েছে। দেশের কয়েকটি জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এরপরে সরকার কিছুটা বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আশা করি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলো আরও উন্নতমানের হবে।’
‘সুন্দর ঘর পাইছি, জমি পাইছি। অহন কইতে পারি আমরা ভূমিহীন না। যা কোনো দিন স্বপ্নেও দেহি নাই। এর থাইক্যা আনন্দের আর কি আছে? এত দিন আমরা মাইনষের বাড়িতে, অন্যের জমিতে খুপরি বানাইয়্যা থাকতাম। আইজ এহানে তো কাল অন্যহানে। কতজনে কত কথা কইছে।’ এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘর পাওয়া বৃদ্ধা আছিয়া বেগম।
পেয়ারপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে সারি সারি ঘর। সুন্দর এবং মজবুত এসব ঘরের পেছনে-সামনে নানা জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের সামনে রয়েছে খোলা জায়গা। কেউ সেই জায়গায় বাগান করেছেন, কেউ সবজি চাষ করেছেন, কেউ আবার নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন তোরণ। আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ-সুবিধা। বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে প্রতি ১০ পরিবারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি করে গভীর নলকূপ।
সুবিধাভোগী আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার বলেন, ‘এখানের ঘরগুলো বেশ টেকসই। অন্য জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে যে কথা শুনেছি, তাতে চিন্তায় ছিলাম। সে তুলনায় এখানের ঘরগুলো টেকসই ও সুন্দর।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আজ সুখে আছি। ঘরের সামনের গেট বানিয়ে রং করেছি; যাতে আরও সুন্দর দেখায়।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই দফায় ১৭৫টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে ১০০টি ঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৭৫টি ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হলে তা হস্তান্তর করা হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। আরও পরিকল্পনা আছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারের সন্তানেরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে, সে জন্য প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। এ জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। মাটি দিয়ে জায়গা ভরাটের কাজ চলছে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মাণ করায় এর গুণগতমান ভালো হয়েছে। দেশের কয়েকটি জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এরপরে সরকার কিছুটা বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আশা করি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলো আরও উন্নতমানের হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে