মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
কাউনিয়ায় ফসলি জমির পাশাপাশি অনাবাদি জায়গায় কৃষকদের মধ্যে তেজপাতার বাগান করার আগ্রহ বাড়ছে। ব্যাপক চাহিদা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে মসলাটির চাষ হচ্ছে।
উপজেলার বাজেমজকুর, চৈতারমোড়, রাজিবসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রচলিত ফসলের জমির পাশাপাশি তেজপাতার বাগান।
বাজেমজকুরের নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, তিনি ২০১০ সালে ২৫ শতাংশ জমিতে ৫০টি গাছ লাগানোর মাধ্যমে তেজপাতার বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর ৯০ শতাংশ জমিতে ৩০০ গাছ রয়েছে। মাত্র ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকার তেজপাতা বিক্রি করেন তিনি।
নিবারণ তেজপাতার চাষ অপেক্ষাকৃত ভালো চাষযোগ্য জমিতেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর সফলতা দেখে বিভিন্ন গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক এখন বাণিজ্যিকভাবে এই পাতার বাগান করেছেন।
রাজিব গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আগে যে জমিতে ধান, পাটসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করতেন, এখন সেখানে তেজপাতার বাগান করেছেন।
আশরাফুল জানান, ধান, পাট আবাদের চেয়ে তেজপাতা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম। এ ছাড়া এটি লাভজনক। একবার চারা রোপণ করলে জীবনের বেশির ভাগ সময় ফলন পাওয়া যায়। তিনি প্রথম বছর ৩ মণ পাতা বিক্রি করতে পারলেও বর্তমানে ১৬ মণ পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আগামী মৌসুমে ২৫ মণ পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশায় আছেন।
চৈতারমোড়ের লুৎফর রহমান ৯ বছর আগে তিন বিঘা জমিতে ৩০০ চারা রোপণ প্রথম তেজপাতার চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকে কেজিপ্রতি কাঁচা পাতা ৮০ থেকে ৯০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যান। এ ছাড়া চুক্তিতে পুরো বাগানের পাতাও বিক্রি করা যায়।
ভায়ারহাট গ্রামের রমজান আলী জানান, তেজপাতা বাগান করতে হলে জমিতে নামমাত্র চাষ দিতে হয়। সেখানে জৈব সার ছিটিয়ে এবং সামান্য পরিমাণে রাসায়নিক সার দিয়ে চারা লাগাতে হয়। এই গাছের পাতা ছাগল-গরু খায় না। একটি চারা রোপণের চার বছর পর থেকে পাতা পাওয়া যায়। ৫০ বছর পর্যন্ত পাতা পাওয়া যাবে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে বছরে ২০ থেকে ৩০ কেজি করে পাতা পাওয়া যায়। রমজান আলীর ২০০ গাছ থেকে বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকার পাতা বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভিন বলেন, কাউনিয়ার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে তেজপাতার বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে কৃষকেরা প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার পাতা বিক্রি করে থাকেন।
শাহানাজ পারভিন জানান, অর্থকারী ও মসলাজাতীয় উদ্ভিদ তেজপাতার অনেক ভেষজ গুণ আছে। ভেষজ ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এ অঞ্চলের আবহাওয়া তেজপাতা চাষের জন্য উপযোগী। কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের অনাবাদি জমি ফেলে না রেখে ধান, পাট, আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি তেজপাতা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অনেক কৃষক প্রচলিত বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি তেজপাতার বাগান করছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চাষিরা এখন তেজপাতার চাষে ঝুঁকছেন।
কাউনিয়ায় ফসলি জমির পাশাপাশি অনাবাদি জায়গায় কৃষকদের মধ্যে তেজপাতার বাগান করার আগ্রহ বাড়ছে। ব্যাপক চাহিদা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে মসলাটির চাষ হচ্ছে।
উপজেলার বাজেমজকুর, চৈতারমোড়, রাজিবসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রচলিত ফসলের জমির পাশাপাশি তেজপাতার বাগান।
বাজেমজকুরের নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, তিনি ২০১০ সালে ২৫ শতাংশ জমিতে ৫০টি গাছ লাগানোর মাধ্যমে তেজপাতার বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর ৯০ শতাংশ জমিতে ৩০০ গাছ রয়েছে। মাত্র ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকার তেজপাতা বিক্রি করেন তিনি।
নিবারণ তেজপাতার চাষ অপেক্ষাকৃত ভালো চাষযোগ্য জমিতেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর সফলতা দেখে বিভিন্ন গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক এখন বাণিজ্যিকভাবে এই পাতার বাগান করেছেন।
রাজিব গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আগে যে জমিতে ধান, পাটসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করতেন, এখন সেখানে তেজপাতার বাগান করেছেন।
আশরাফুল জানান, ধান, পাট আবাদের চেয়ে তেজপাতা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম। এ ছাড়া এটি লাভজনক। একবার চারা রোপণ করলে জীবনের বেশির ভাগ সময় ফলন পাওয়া যায়। তিনি প্রথম বছর ৩ মণ পাতা বিক্রি করতে পারলেও বর্তমানে ১৬ মণ পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আগামী মৌসুমে ২৫ মণ পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশায় আছেন।
চৈতারমোড়ের লুৎফর রহমান ৯ বছর আগে তিন বিঘা জমিতে ৩০০ চারা রোপণ প্রথম তেজপাতার চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকে কেজিপ্রতি কাঁচা পাতা ৮০ থেকে ৯০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যান। এ ছাড়া চুক্তিতে পুরো বাগানের পাতাও বিক্রি করা যায়।
ভায়ারহাট গ্রামের রমজান আলী জানান, তেজপাতা বাগান করতে হলে জমিতে নামমাত্র চাষ দিতে হয়। সেখানে জৈব সার ছিটিয়ে এবং সামান্য পরিমাণে রাসায়নিক সার দিয়ে চারা লাগাতে হয়। এই গাছের পাতা ছাগল-গরু খায় না। একটি চারা রোপণের চার বছর পর থেকে পাতা পাওয়া যায়। ৫০ বছর পর্যন্ত পাতা পাওয়া যাবে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে বছরে ২০ থেকে ৩০ কেজি করে পাতা পাওয়া যায়। রমজান আলীর ২০০ গাছ থেকে বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকার পাতা বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভিন বলেন, কাউনিয়ার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে তেজপাতার বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে কৃষকেরা প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার পাতা বিক্রি করে থাকেন।
শাহানাজ পারভিন জানান, অর্থকারী ও মসলাজাতীয় উদ্ভিদ তেজপাতার অনেক ভেষজ গুণ আছে। ভেষজ ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এ অঞ্চলের আবহাওয়া তেজপাতা চাষের জন্য উপযোগী। কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের অনাবাদি জমি ফেলে না রেখে ধান, পাট, আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি তেজপাতা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অনেক কৃষক প্রচলিত বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি তেজপাতার বাগান করছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চাষিরা এখন তেজপাতার চাষে ঝুঁকছেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৬ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে