চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
সময়ের আগে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায়। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে মুকুল। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের ভালো ফলন হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার গত বছরের চেয়ে ৯৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতিমধ্যে ব্যাপারীরা বাগানের দরদাম হাঁকছেন। আর বাগান মালিকেরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সদর উপজেলায় ৮২৫ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন, আলমডাঙ্গায় ২৮০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন, জীবননগরে ৪০০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার মেট্রিক টন ও দামুড়হুদায় ৩১০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর সদর উপজেলায় ৮২৬ হেক্টর, আলমডাঙ্গায় ২৮০ হেক্টর, জীবননগরে ৪১০ হেক্টর ও দামুড়হুদায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৯৩ হেক্টর বেশি জমিতে আম আবাদ হয়েছে। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার মেট্রিক টন। অনুকূল আবহাওয়া ও আম লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই আমের আবাদ বাড়ছে। জেলায় আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, হাঁড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি-১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ জাতের আম আবাদ হয়। এর মধ্যে সিংহভাগই আম্রপালি।
দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আমচাষি শাকিল হোসেন বলেন, ‘এ বছর আমার আমগাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মুকুলে কোনো রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি, আবহাওয়াও ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে আশা করছি, প্রতিটি আম গাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে।’ উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের আমবাগানের মালিক জামিরুল বলেন, ‘বাগানের অধিকাংশ গাছেই এরই মধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। গত বছর সাড়ে ১৫ বিঘা জমিতে আমের বাগান ছিল। যা বিক্রি করেছিলাম ৭ লাখ টাকায়। এ বছর ২০ বিঘা আমের বাগান আছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘এ বছর একটু আগে আমগাছে মুকুল আসছে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা দেয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমগাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে, ছত্রাকজনিত রোগে আমের মুকুল ও গুটি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাগানে দুই দফা ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।’
আব্দুল মাজেদ আরও বলেন, ‘আম চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। যার কারণে অনেকই এ পেশায় এগিয়ে আসছেন। বর্তমানে জেলাতে আবাদি জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। আমের ভালো ফলন পেতে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছি। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের অফিসাররা কাজ করছেন। আশা করছি, গত বছরের থেকে এ বছর আমের উৎপাদন বেশি হবে।’
সময়ের আগে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায়। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে মুকুল। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের ভালো ফলন হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার গত বছরের চেয়ে ৯৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতিমধ্যে ব্যাপারীরা বাগানের দরদাম হাঁকছেন। আর বাগান মালিকেরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সদর উপজেলায় ৮২৫ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন, আলমডাঙ্গায় ২৮০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন, জীবননগরে ৪০০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার মেট্রিক টন ও দামুড়হুদায় ৩১০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর সদর উপজেলায় ৮২৬ হেক্টর, আলমডাঙ্গায় ২৮০ হেক্টর, জীবননগরে ৪১০ হেক্টর ও দামুড়হুদায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৯৩ হেক্টর বেশি জমিতে আম আবাদ হয়েছে। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার মেট্রিক টন। অনুকূল আবহাওয়া ও আম লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই আমের আবাদ বাড়ছে। জেলায় আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, হাঁড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি-১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ জাতের আম আবাদ হয়। এর মধ্যে সিংহভাগই আম্রপালি।
দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আমচাষি শাকিল হোসেন বলেন, ‘এ বছর আমার আমগাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মুকুলে কোনো রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি, আবহাওয়াও ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে আশা করছি, প্রতিটি আম গাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে।’ উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের আমবাগানের মালিক জামিরুল বলেন, ‘বাগানের অধিকাংশ গাছেই এরই মধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। গত বছর সাড়ে ১৫ বিঘা জমিতে আমের বাগান ছিল। যা বিক্রি করেছিলাম ৭ লাখ টাকায়। এ বছর ২০ বিঘা আমের বাগান আছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘এ বছর একটু আগে আমগাছে মুকুল আসছে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা দেয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমগাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে, ছত্রাকজনিত রোগে আমের মুকুল ও গুটি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাগানে দুই দফা ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।’
আব্দুল মাজেদ আরও বলেন, ‘আম চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। যার কারণে অনেকই এ পেশায় এগিয়ে আসছেন। বর্তমানে জেলাতে আবাদি জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। আমের ভালো ফলন পেতে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছি। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের অফিসাররা কাজ করছেন। আশা করছি, গত বছরের থেকে এ বছর আমের উৎপাদন বেশি হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে