শাহীন রহমান, পাবনা
‘চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তাণ্ডব চালানো হয় সেটি হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে মাদ্রাসাছাত্ররা ঘটায়। এ হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
হামলা ঠেকাতে পুলিশের কোনো কার্যকরী ভূমিকা ছিল না। পুলিশ নিজেদের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলেন। এমনকি সাদা পোশাক পরে পালিয়ে যান তাঁরা। তাণ্ডব থামাতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সন্ত্রাস সম্পর্কে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণ কমিশন’-এর তদন্ত ও গণশুনানিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাক্ষ্যে এসব বিষয় উঠে আসে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস এর উদ্যোগে গতকাল রোববার দিনব্যাপী এ তদন্ত ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সার্কিট হাউসে রোববার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ জন লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রায় ৫০ মিনিট সময় দেওয়া সাক্ষ্যে তাণ্ডবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্য নেন গণ কমিশনের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ নূরুল আনোয়ার, গণ কমিশনের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মাওলানা জিয়াউদ্দিন।
সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ তারিখ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওষুধ নিতে বের হয়ে দেখা গেছে দলে দলে লোকজন ট্রাকে করে আসছেন। অনেকে হেলমেট পড়া ছিল।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা দিলীপ নাগ বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি এলাকায় হামলা হলে ইউএনও, ওসিকে ফোনে জানালে তাঁরা নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি তাঁরা নিজেরাই বিপদগ্রস্ত আছেন বলে জানান।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘ওই সময় পুলিশ প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও সাহায্য করতে তারা এগিয়ে আসেননি। অদৃশ্য হয়ে যান তারা। হরতালের নামে মৌলবাদীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তাঁর সাক্ষ্যে বলেন, ‘২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার খবরে আমি হেফাজত নেতা মোবারক উল্লাহর সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে জানায় বাধা দিলেও কেউ কথা শুনছে না। ওই দিনই দল ভারী করে রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করা হয়।’
‘চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তাণ্ডব চালানো হয় সেটি হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে মাদ্রাসাছাত্ররা ঘটায়। এ হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
হামলা ঠেকাতে পুলিশের কোনো কার্যকরী ভূমিকা ছিল না। পুলিশ নিজেদের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলেন। এমনকি সাদা পোশাক পরে পালিয়ে যান তাঁরা। তাণ্ডব থামাতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সন্ত্রাস সম্পর্কে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণ কমিশন’-এর তদন্ত ও গণশুনানিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাক্ষ্যে এসব বিষয় উঠে আসে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস এর উদ্যোগে গতকাল রোববার দিনব্যাপী এ তদন্ত ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সার্কিট হাউসে রোববার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ জন লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রায় ৫০ মিনিট সময় দেওয়া সাক্ষ্যে তাণ্ডবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্য নেন গণ কমিশনের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ নূরুল আনোয়ার, গণ কমিশনের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মাওলানা জিয়াউদ্দিন।
সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ তারিখ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওষুধ নিতে বের হয়ে দেখা গেছে দলে দলে লোকজন ট্রাকে করে আসছেন। অনেকে হেলমেট পড়া ছিল।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা দিলীপ নাগ বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি এলাকায় হামলা হলে ইউএনও, ওসিকে ফোনে জানালে তাঁরা নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি তাঁরা নিজেরাই বিপদগ্রস্ত আছেন বলে জানান।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘ওই সময় পুলিশ প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও সাহায্য করতে তারা এগিয়ে আসেননি। অদৃশ্য হয়ে যান তারা। হরতালের নামে মৌলবাদীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তাঁর সাক্ষ্যে বলেন, ‘২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার খবরে আমি হেফাজত নেতা মোবারক উল্লাহর সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে জানায় বাধা দিলেও কেউ কথা শুনছে না। ওই দিনই দল ভারী করে রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করা হয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে