আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গাছ কেটে লোকালয় ও আঙিনার চুলায় পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। পরে সেই কয়লা ট্রাকে সমতলে পাচার করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ১০০ চুলায় প্রতি মাসে ৫৬ হাজার মণ কাঠ পুড়ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী ও চুলা পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানা গেছে।
সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৮০ থেকে ৮৪ মণ কয়লাসহ একটি ট্রাক জব্দ করে বন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কারও কয়লা উৎপাদন করার তথ্য নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
গাড়িটানা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী বলেন, ‘এভাবে অপ্রাপ্ত বয়সের গাছ কেটে নিলে বন্য প্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ।’
২৬৮ দশমিক ৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মানিকছড়ি উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ টিলাভূমি ব্যক্তিমালিকানাধীন। এই সুযোগে পাহাড়ি বনের গাছ বড় হওয়ার আগেই কেটে নিয়ে আসেন একশ্রেণির অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী।
উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী ও চুলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, দুই দশকের বেশি আগে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় প্রথমে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বাজারজাত শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। ওই এলাকায় কাঠের সংকট হওয়ায় এর পরিধি ডাইনছড়ির ঘনবসতিপূর্ণ বাঞ্ছারামপাড়া, মাস্টার ঘাটার কয়েকটি পাহাড়ে সম্প্রসারিত হয়। ঘন বসতি থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ির উঠানে এবং বাড়ির অদূরে ৪-৫টি করে কয়লা পোড়ানোর চুলা বানানো হয়েছে। এসব চুলায় অনায়াসে বনের গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হয়।
চুলা তৈরি, কাঠ পোড়ানো ও কয়লা তোলার কাজে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি চুলায় প্রায় দুই জিপ কাঠ (১৪০ মণ) ভর্তি করে আগুন দেওয়া হয়। একটি চুলা থেকে কয়লা হয় ১৫ থেকে ১৬ মণ। প্রতি মণ কাঁচা কাঠের দাম ৭০ টাকা। স্থানীয়ভাবে প্রতি মণ কয়লা বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ টাকা দরে।
তাঁরা জানান, মাসে একটি চুলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকার কাঠ পোড়ানো হয়। এতে কয়লা উৎপাদিত হয় প্রায় ৬০ মণ। এ ছাড়া চুলায় কাঠ দেওয়া ও পোড়ানো শেষে কয়লা তুলে বস্তায় ভরতে ব্যয় হয় ১৬ হাজার টাকা। এই কয়লা ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, মাসে চুলাপ্রতি ৫৬০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ওই জনপদে থাকা ১২০ থেকে ১৩০ চুলার মধ্যে যদি ১০০ চুলাও হিসাবে আনা হয়, তাতে মাসে ৫৬ হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে! এভাবে গত ১০ বছর অবাধে কাঠ পোড়ানো হলেও জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য নেই!
এদিকে কয়লা ব্যবসায় জড়িত এলাকার প্রভাবশালী চক্র। চক্রের কেউ রাজনৈতিক নেতা, কেউ কাঠ ও গাড়ি ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে মো. নজির আহম্মদ, আবদুর রাজ্জাক, মো. নূর ইসলাম, মো. আকতার হোসেন উল্লেখযোগ্য। তাঁরা এক দশকের বেশি সময় ধরে চুলায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা ব্যবসা করে আসছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মো. নূর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের নিজ প্রয়োজনে বিক্রি করে কাঠের পরিত্যক্ত অংশ লাকড়ি হিসেবে কিনে এনে চুলায় পুড়িয়ে কয়লা হিসেবে বাজারজাত করি।’
আরেক ব্যবসায়ী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করলেও তা বৈধ কি না, এ বিষয়ে কখনো কেউ কিছুই বলেনি। সম্প্রতি সমতলের এক ব্যবসায়ী আমাদের কাছ থেকে কয়লা ট্রাকে নেওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও বন বিভাগ তাঁকে আটক করে মামলা দিয়েছে।’ অবৈধ কাঠ থাকার কারণেই মূলত এ ঘটনা ঘটে বলে তাঁর দাবি।
সিন্ডিকেট তৈরি করে চুলায় কাঠ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন গাড়িটানা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত এই উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই, দ্বিতীয়ত সবাই বলেন, নিজ প্রয়োজনে কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। আসলে সবাই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উপজেলার ফাঁড়িপথে পাচার করে। জনবলের অভাবে বন বিভাগ নজরদারি বাড়াতে পারছে না। সবাই এগিয়ে এসে বন বিভাগকে তথ্য দিলে গাছ নিধন ও বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব।’
ইউএনও তামান্না মাহমুদ বলেন, ‘জনপদে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কেউ কয়লা উৎপাদন করছেন—এমন তথ্য আগে কেউই দেয়নি। জনপ্রতিনিধি ও সমাজের সুধীজন তথ্য দিলে অনেক আগেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত কয়লার চুলা এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এখন তথ্য পেয়েছি, ব্যবস্থা নেব।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গাছ কেটে লোকালয় ও আঙিনার চুলায় পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। পরে সেই কয়লা ট্রাকে সমতলে পাচার করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ১০০ চুলায় প্রতি মাসে ৫৬ হাজার মণ কাঠ পুড়ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী ও চুলা পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানা গেছে।
সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৮০ থেকে ৮৪ মণ কয়লাসহ একটি ট্রাক জব্দ করে বন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কারও কয়লা উৎপাদন করার তথ্য নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
গাড়িটানা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী বলেন, ‘এভাবে অপ্রাপ্ত বয়সের গাছ কেটে নিলে বন্য প্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ।’
২৬৮ দশমিক ৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মানিকছড়ি উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ টিলাভূমি ব্যক্তিমালিকানাধীন। এই সুযোগে পাহাড়ি বনের গাছ বড় হওয়ার আগেই কেটে নিয়ে আসেন একশ্রেণির অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী।
উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী ও চুলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, দুই দশকের বেশি আগে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় প্রথমে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বাজারজাত শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। ওই এলাকায় কাঠের সংকট হওয়ায় এর পরিধি ডাইনছড়ির ঘনবসতিপূর্ণ বাঞ্ছারামপাড়া, মাস্টার ঘাটার কয়েকটি পাহাড়ে সম্প্রসারিত হয়। ঘন বসতি থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ির উঠানে এবং বাড়ির অদূরে ৪-৫টি করে কয়লা পোড়ানোর চুলা বানানো হয়েছে। এসব চুলায় অনায়াসে বনের গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হয়।
চুলা তৈরি, কাঠ পোড়ানো ও কয়লা তোলার কাজে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি চুলায় প্রায় দুই জিপ কাঠ (১৪০ মণ) ভর্তি করে আগুন দেওয়া হয়। একটি চুলা থেকে কয়লা হয় ১৫ থেকে ১৬ মণ। প্রতি মণ কাঁচা কাঠের দাম ৭০ টাকা। স্থানীয়ভাবে প্রতি মণ কয়লা বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ টাকা দরে।
তাঁরা জানান, মাসে একটি চুলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকার কাঠ পোড়ানো হয়। এতে কয়লা উৎপাদিত হয় প্রায় ৬০ মণ। এ ছাড়া চুলায় কাঠ দেওয়া ও পোড়ানো শেষে কয়লা তুলে বস্তায় ভরতে ব্যয় হয় ১৬ হাজার টাকা। এই কয়লা ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, মাসে চুলাপ্রতি ৫৬০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ওই জনপদে থাকা ১২০ থেকে ১৩০ চুলার মধ্যে যদি ১০০ চুলাও হিসাবে আনা হয়, তাতে মাসে ৫৬ হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে! এভাবে গত ১০ বছর অবাধে কাঠ পোড়ানো হলেও জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য নেই!
এদিকে কয়লা ব্যবসায় জড়িত এলাকার প্রভাবশালী চক্র। চক্রের কেউ রাজনৈতিক নেতা, কেউ কাঠ ও গাড়ি ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে মো. নজির আহম্মদ, আবদুর রাজ্জাক, মো. নূর ইসলাম, মো. আকতার হোসেন উল্লেখযোগ্য। তাঁরা এক দশকের বেশি সময় ধরে চুলায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা ব্যবসা করে আসছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মো. নূর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের নিজ প্রয়োজনে বিক্রি করে কাঠের পরিত্যক্ত অংশ লাকড়ি হিসেবে কিনে এনে চুলায় পুড়িয়ে কয়লা হিসেবে বাজারজাত করি।’
আরেক ব্যবসায়ী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করলেও তা বৈধ কি না, এ বিষয়ে কখনো কেউ কিছুই বলেনি। সম্প্রতি সমতলের এক ব্যবসায়ী আমাদের কাছ থেকে কয়লা ট্রাকে নেওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও বন বিভাগ তাঁকে আটক করে মামলা দিয়েছে।’ অবৈধ কাঠ থাকার কারণেই মূলত এ ঘটনা ঘটে বলে তাঁর দাবি।
সিন্ডিকেট তৈরি করে চুলায় কাঠ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন গাড়িটানা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত এই উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই, দ্বিতীয়ত সবাই বলেন, নিজ প্রয়োজনে কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। আসলে সবাই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উপজেলার ফাঁড়িপথে পাচার করে। জনবলের অভাবে বন বিভাগ নজরদারি বাড়াতে পারছে না। সবাই এগিয়ে এসে বন বিভাগকে তথ্য দিলে গাছ নিধন ও বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব।’
ইউএনও তামান্না মাহমুদ বলেন, ‘জনপদে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কেউ কয়লা উৎপাদন করছেন—এমন তথ্য আগে কেউই দেয়নি। জনপ্রতিনিধি ও সমাজের সুধীজন তথ্য দিলে অনেক আগেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত কয়লার চুলা এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এখন তথ্য পেয়েছি, ব্যবস্থা নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে