কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
দৌলতপুরে আওয়ামী লীগের সাংসদের বিরুদ্ধে ‘টাকা ও ফ্ল্যাট’ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে হারানোর অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আ কা ম সরওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে। উপজেলার ফিলিপনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে দৌলতপুরের ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। মাত্র ৪টিতে জয় পান দলটির মনোনীত। এই নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা বিতর্কের। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢেলে দিলেন ফিলিপনগর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ফজলুল হক।
ফজলুল হকের অভিযোগ, দামি ফ্ল্যাট এবং নগদ টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করতে সাহায্য করেছেন স্থানীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশা। ইতিমধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ করে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ফজলুল হক অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সাংসদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেন। সাংসদ সরওয়ার দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি ফিলিপনগর ইউনিয়নে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ফজলুল হক চেয়েছিলেন আমরা তাকে ভোট কেটে জিতিয়ে দেব। এমনটা হয়নি বলে তিনি মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
তৃতীয় ধাপে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ফিলিপনগরে বিজয়ী হন আরমা গ্রুপের কর্ণধার আবদুর রাজ্জাকের ছোট ভাই ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বহিষ্কৃত নঈম উদ্দিন সেন্টু।
লিখিত অভিযোগে ফজলুল হক উল্লেখ করেন, স্থানীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। ভোট মেরে নঈম উদ্দিনকে জয়ী করেন সাংসদের লোকজন। সাংসদের লোকজন নৌকার ভোট না করে তাঁর সমর্থিত উপজেলা ও ইউনিয়নের সব নেতাকে সাবেক ওই বিএনপি নেতা নঈম উদ্দিনের পক্ষে ভোট করার নির্দেশ দেন। সাংসদের নির্দেশে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র থেকে সাংসদের লোকজন তাঁর সমর্থকদের বের করে দেন।
ফজলুল উল্লেখ করেন, ‘আরমা গ্রুপের কর্ণধার আবদুর রাজ্জাকের থেকে সাংসদ ফ্ল্যাট উপহার নেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিজের আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে নৌকাকে সুপরিকল্পিতভাবে পরাজিত করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন,‘ অনেক কিছুই শোনা যাচ্ছে। নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন এক রকম আর ভেতরে–ভেতরে গেম খেলেছেন অন্য রকম। বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
অভিযুক্ত সরওয়ার জাহান বাদশা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার একটিও সত্য নয়। কোথায় ফ্ল্যাট নিয়েছি, সেটা প্রমাণ দেখাতে হবে। ফজলুল ভোট কেটে জোর খাঁটিয়ে তাঁকে জিতিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন, এমনটা হয়নি বলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। ফজলুলের এলাকায় কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ আছে।’ বিতর্কিত লোককে কেন মনোনয়ন দেওয়া হলো এমন প্রশ্নে সরওয়ার জাহান বলেন, ‘এ দায় আমার একার নয়, সবার। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। জনগণ তাঁদের ইচ্ছামতো মত প্রকাশ করেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে নৌকা হারেনি, হেরেছেন প্রার্থী।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেন, ‘সাংসদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দলীয় সভায় আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেউ যদি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আর তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৌলতপুরে আওয়ামী লীগের সাংসদের বিরুদ্ধে ‘টাকা ও ফ্ল্যাট’ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে হারানোর অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আ কা ম সরওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে। উপজেলার ফিলিপনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে দৌলতপুরের ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। মাত্র ৪টিতে জয় পান দলটির মনোনীত। এই নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা বিতর্কের। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢেলে দিলেন ফিলিপনগর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ফজলুল হক।
ফজলুল হকের অভিযোগ, দামি ফ্ল্যাট এবং নগদ টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করতে সাহায্য করেছেন স্থানীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশা। ইতিমধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ করে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ফজলুল হক অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সাংসদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেন। সাংসদ সরওয়ার দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি ফিলিপনগর ইউনিয়নে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ফজলুল হক চেয়েছিলেন আমরা তাকে ভোট কেটে জিতিয়ে দেব। এমনটা হয়নি বলে তিনি মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
তৃতীয় ধাপে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ফিলিপনগরে বিজয়ী হন আরমা গ্রুপের কর্ণধার আবদুর রাজ্জাকের ছোট ভাই ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বহিষ্কৃত নঈম উদ্দিন সেন্টু।
লিখিত অভিযোগে ফজলুল হক উল্লেখ করেন, স্থানীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। ভোট মেরে নঈম উদ্দিনকে জয়ী করেন সাংসদের লোকজন। সাংসদের লোকজন নৌকার ভোট না করে তাঁর সমর্থিত উপজেলা ও ইউনিয়নের সব নেতাকে সাবেক ওই বিএনপি নেতা নঈম উদ্দিনের পক্ষে ভোট করার নির্দেশ দেন। সাংসদের নির্দেশে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র থেকে সাংসদের লোকজন তাঁর সমর্থকদের বের করে দেন।
ফজলুল উল্লেখ করেন, ‘আরমা গ্রুপের কর্ণধার আবদুর রাজ্জাকের থেকে সাংসদ ফ্ল্যাট উপহার নেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিজের আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে নৌকাকে সুপরিকল্পিতভাবে পরাজিত করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন,‘ অনেক কিছুই শোনা যাচ্ছে। নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন এক রকম আর ভেতরে–ভেতরে গেম খেলেছেন অন্য রকম। বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
অভিযুক্ত সরওয়ার জাহান বাদশা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার একটিও সত্য নয়। কোথায় ফ্ল্যাট নিয়েছি, সেটা প্রমাণ দেখাতে হবে। ফজলুল ভোট কেটে জোর খাঁটিয়ে তাঁকে জিতিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন, এমনটা হয়নি বলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। ফজলুলের এলাকায় কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ আছে।’ বিতর্কিত লোককে কেন মনোনয়ন দেওয়া হলো এমন প্রশ্নে সরওয়ার জাহান বলেন, ‘এ দায় আমার একার নয়, সবার। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। জনগণ তাঁদের ইচ্ছামতো মত প্রকাশ করেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে নৌকা হারেনি, হেরেছেন প্রার্থী।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেন, ‘সাংসদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দলীয় সভায় আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেউ যদি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আর তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৬ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে