তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শীতে গোলগাছিদের কর্মযজ্ঞে বদলে গেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বেহেলা গ্রামের চিত্র। গোলের গুড়ে গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবিকার সংস্থান হয়েছে। গোল গুড় বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁরা। তবে গাছিদের দাবি, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও গুড় সরকারিভাবে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করলে গ্রামটি হবে অর্থনীতির মডেল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে গোলগাছের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এসব গোলগাছের বাহর থেকে সংগৃহীত রস জ্বালিয়ে প্রতি শীতে প্রায় ১০ হাজার টনের বেশি গুড় উৎপাদিত হয়। সবচেয়ে বেশি গাছ আছে বেহেলা গ্রামে। গ্রামটিতে গোলগাছের সংখ্যা ১৫ হাজার। এরপরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাছ রয়েছে গেন্ডামারা গ্রামে। এটিসহ উপজেলার অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে রয়েছে হাজার পাঁচেক গাছ।
জানা যায়, নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ সময় পর্যন্ত রস সংগ্রহের উপযোগী থাকে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গোলগাছের রস ঝরা শুরু হলে সেই রস সংগ্রহ করেন। শীত যত তীব্র হয় এই রসের চাহিদাও তত বেড়ে যায়। শীতকালীন এ কয়েক মাসে গোল রস ও গুড় বিক্রি করে লাখ টাকাও আয় করেন চাষিরা। গোলের রস প্রতি কলস ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও গুড় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এক কলস রস দিয়ে ৩ কেজি গুড় তৈরি হয়।
তালতলীর বেহেলা গ্রামের দীলিপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘আমার ৩০০ গাছ আছে, এগুলো নিজেই কেটে রস সংগ্রহ করে তারপর গুড় তৈরি করে গ্রামে বিক্রি করি। ৩০০ গাছ থেকে প্রায় ৮ কলস রস হয়, এতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার গুড় আসে।’
নারী গাছি চামেলী বলেন, ‘এই মৌসুমে যে গোলের রস পাই তাতে ধান চাষের চেয়ে গোলের রস ও গুড়ে আয় বেশি। ৩৩ শতাংশ জমিতে যে পরিমাণ ধান চাষ হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হয় গোলের গুড়ে। এ জন্য আমরা ধান চাষ রেখে গোল চাষে আগ্রহী হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোল পাতাও বিক্রি করা যায়। আর গোলের পরিত্যক্ত ঠগা জ্বালানি হিসেবেও বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে গোল চাষে আমার লাভ বেশি হয়।’
তালতলী কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘গোলের গুড়ের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণার মাধ্যমে গোলগাছচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এটা খুব কাজে লাগবে। এ জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। এ বিষয়ে আমার দপ্তর থেকে দ্রুত প্রস্তাব পাঠানো হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ে।’
শীতে গোলগাছিদের কর্মযজ্ঞে বদলে গেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বেহেলা গ্রামের চিত্র। গোলের গুড়ে গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবিকার সংস্থান হয়েছে। গোল গুড় বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁরা। তবে গাছিদের দাবি, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও গুড় সরকারিভাবে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করলে গ্রামটি হবে অর্থনীতির মডেল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে গোলগাছের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এসব গোলগাছের বাহর থেকে সংগৃহীত রস জ্বালিয়ে প্রতি শীতে প্রায় ১০ হাজার টনের বেশি গুড় উৎপাদিত হয়। সবচেয়ে বেশি গাছ আছে বেহেলা গ্রামে। গ্রামটিতে গোলগাছের সংখ্যা ১৫ হাজার। এরপরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাছ রয়েছে গেন্ডামারা গ্রামে। এটিসহ উপজেলার অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে রয়েছে হাজার পাঁচেক গাছ।
জানা যায়, নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ সময় পর্যন্ত রস সংগ্রহের উপযোগী থাকে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গোলগাছের রস ঝরা শুরু হলে সেই রস সংগ্রহ করেন। শীত যত তীব্র হয় এই রসের চাহিদাও তত বেড়ে যায়। শীতকালীন এ কয়েক মাসে গোল রস ও গুড় বিক্রি করে লাখ টাকাও আয় করেন চাষিরা। গোলের রস প্রতি কলস ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও গুড় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এক কলস রস দিয়ে ৩ কেজি গুড় তৈরি হয়।
তালতলীর বেহেলা গ্রামের দীলিপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘আমার ৩০০ গাছ আছে, এগুলো নিজেই কেটে রস সংগ্রহ করে তারপর গুড় তৈরি করে গ্রামে বিক্রি করি। ৩০০ গাছ থেকে প্রায় ৮ কলস রস হয়, এতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার গুড় আসে।’
নারী গাছি চামেলী বলেন, ‘এই মৌসুমে যে গোলের রস পাই তাতে ধান চাষের চেয়ে গোলের রস ও গুড়ে আয় বেশি। ৩৩ শতাংশ জমিতে যে পরিমাণ ধান চাষ হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হয় গোলের গুড়ে। এ জন্য আমরা ধান চাষ রেখে গোল চাষে আগ্রহী হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোল পাতাও বিক্রি করা যায়। আর গোলের পরিত্যক্ত ঠগা জ্বালানি হিসেবেও বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে গোল চাষে আমার লাভ বেশি হয়।’
তালতলী কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘গোলের গুড়ের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণার মাধ্যমে গোলগাছচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এটা খুব কাজে লাগবে। এ জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। এ বিষয়ে আমার দপ্তর থেকে দ্রুত প্রস্তাব পাঠানো হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে