পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে কলাপাড়া-আমতলী সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা।

জানা যায়, ২ নম্বর টিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. মাহামুদুল হাসান সুজন মোল্লা নির্বাচন করছেন। শনিবার বেলা দুইটার দিকে কলাপাড়া-আমতলী সীমান্ত এলাকায় উঠান বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান শিমু মিরার সমর্থকেরা হামলা চালান।

স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী মো. মাহামুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, সাধারণ জনগণের কথায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। হামলা, মামলা চাই না, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। নৌকা প্রার্থী নিজে এবং তাঁর সমর্থকেরা হাতুড়ি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া দেয়। ভোট চাইতে দেয় না আমার সমর্থকদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের শুরু থেকে। শনিবার কলাপাড়া-আমতলী সীমান্ত এলাকায় আমাদের উঠান বৈঠকের প্রস্তুতির চলছে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান শিমু মিরার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামিম, শামিম, কলাম মৃধা, জুলহাস, জুয়েল, দেলোয়ার, শিপনসহ ৪০ থেকে ৫০ জন হামলা করেন। এতে মধু ও সুমন নামের দুজন কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় তাঁরা আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন।

নৌকা মার্কার প্রার্থী মশিউর রহমান শিমু মিরা বলেন, ভোটের মাঠে ভোট নাই তা দেখে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বলেন, ‘উভয় পক্ষের কর্মীরা সামনাসামনি হওয়ায় তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলায় মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’