খান রফিক, বরিশাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে তৎপর নয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এমনকি শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনে নিজেদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই নেমেছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা মনে করছেন, ভেতরে-ভেতরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাতাস দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত হওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা। এ চিত্র জেলার ছয়টি আসনের চারটির মধ্যেই।
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর)। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ভোটের প্রচার শুরু হলেও মহানগর ও জেলার পদধারী শীর্ষ নেতারা তাঁর পাশে নেই; বরং ওই সব নেতার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
জাহিদ ফারুকের অনুসারী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, যাঁরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাতাস দেন, তাঁদের বিশ্বাস করা যায় না। নেতা-কর্মীরা জাহিদ ফারুকের সঙ্গে আছেন। শোনা যাচ্ছে, মনোনয়ন হারিয়ে ঈগল ট্রাকে উঠে বাতাস দিচ্ছে। আবার এই ট্রাক বিএনপির গুনগান গেয়ে বেড়াচ্ছে।
এই আসনে ঈগল প্রতীক পেলেও আইনি প্যাঁচে মনোনয়ন হারিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে এখন একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাঠে ছুটছেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দাবি করলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজনের সঙ্গে সখ্যের অভিযোগ রয়েছে। গত বুধবার সায়েস্তাবাদে এক পথসভায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম বিশ্বাস এবং তাঁর বাবা ও বিএনপি আমলের রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আবদুর রহমান বিশ্বাসের প্রশংসা করতে দেখা গেছে রিপনকে।
এ প্রসঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হয়েও দলীয় প্রোগ্রামে থাকতেন না। মনোনয়ন পেয়েও তাঁদের ডাকেন না। তাই তাঁর নির্বাচনে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা নেই।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করার অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ট্রাক কোন হিসাবের যে তাঁকে বিজয়ী করতে তাঁরা বাতাস দেবেন?
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মল্লিক দলীয় প্রার্থী। কিন্তু তাঁর পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামশুল আলম চুন্নুর হয়ে কাজ করছেন অধিকাংশ দলীয় নেতা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে লেখেন, ‘নিজের খেয়ে নৌকায় ছোটা। পাওয়া না পাওয়ার হিসাব না করেই চলছে যুগের পর যুগ।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টিকে। এই আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি মাঠে রয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা টিপুর পাশে নেই। অধিকাংশই উঠেছেন ট্রাকে। অর্থাৎ এই আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি টিপুর সঙ্গে লড়াই করেছেন। এবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন পেলেও আসন ভাগাভাগিতে এটি ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা আতিকুর রহমান বলেন, নৌকা জাপাকে সমর্থন দিলেও দলীয় নেতারা তাঁর সঙ্গেই আছেন। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনেও একই চিত্র। এই আসনটিও আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে। কিন্তু রাশেদ খান মেননের পাশে নেই দুই উপজেলার তৃণমূল নেতারা। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল ইসলাম রাজু।
তবে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বহিরাগত প্রার্থীকে জনগণ কেন ভোট দেবে? মেনন তো এ এলাকার বাসিন্দা নন। তাই আমার পক্ষে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে গেছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে তৎপর নয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এমনকি শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনে নিজেদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই নেমেছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা মনে করছেন, ভেতরে-ভেতরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাতাস দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত হওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা। এ চিত্র জেলার ছয়টি আসনের চারটির মধ্যেই।
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর)। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ভোটের প্রচার শুরু হলেও মহানগর ও জেলার পদধারী শীর্ষ নেতারা তাঁর পাশে নেই; বরং ওই সব নেতার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
জাহিদ ফারুকের অনুসারী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, যাঁরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাতাস দেন, তাঁদের বিশ্বাস করা যায় না। নেতা-কর্মীরা জাহিদ ফারুকের সঙ্গে আছেন। শোনা যাচ্ছে, মনোনয়ন হারিয়ে ঈগল ট্রাকে উঠে বাতাস দিচ্ছে। আবার এই ট্রাক বিএনপির গুনগান গেয়ে বেড়াচ্ছে।
এই আসনে ঈগল প্রতীক পেলেও আইনি প্যাঁচে মনোনয়ন হারিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে এখন একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাঠে ছুটছেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দাবি করলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজনের সঙ্গে সখ্যের অভিযোগ রয়েছে। গত বুধবার সায়েস্তাবাদে এক পথসভায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম বিশ্বাস এবং তাঁর বাবা ও বিএনপি আমলের রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আবদুর রহমান বিশ্বাসের প্রশংসা করতে দেখা গেছে রিপনকে।
এ প্রসঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হয়েও দলীয় প্রোগ্রামে থাকতেন না। মনোনয়ন পেয়েও তাঁদের ডাকেন না। তাই তাঁর নির্বাচনে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা নেই।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করার অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ট্রাক কোন হিসাবের যে তাঁকে বিজয়ী করতে তাঁরা বাতাস দেবেন?
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মল্লিক দলীয় প্রার্থী। কিন্তু তাঁর পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামশুল আলম চুন্নুর হয়ে কাজ করছেন অধিকাংশ দলীয় নেতা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে লেখেন, ‘নিজের খেয়ে নৌকায় ছোটা। পাওয়া না পাওয়ার হিসাব না করেই চলছে যুগের পর যুগ।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টিকে। এই আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি মাঠে রয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা টিপুর পাশে নেই। অধিকাংশই উঠেছেন ট্রাকে। অর্থাৎ এই আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি টিপুর সঙ্গে লড়াই করেছেন। এবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন পেলেও আসন ভাগাভাগিতে এটি ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা আতিকুর রহমান বলেন, নৌকা জাপাকে সমর্থন দিলেও দলীয় নেতারা তাঁর সঙ্গেই আছেন। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনেও একই চিত্র। এই আসনটিও আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে। কিন্তু রাশেদ খান মেননের পাশে নেই দুই উপজেলার তৃণমূল নেতারা। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল ইসলাম রাজু।
তবে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বহিরাগত প্রার্থীকে জনগণ কেন ভোট দেবে? মেনন তো এ এলাকার বাসিন্দা নন। তাই আমার পক্ষে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে গেছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে