জিয়াউল হক, যশোর
‘কনেজপুর খালের কাছে ৬ জন পাকিস্তানি আর্মির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। তারা এলএমজিসহ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। আর আমাদের কাছে ছিল মাত্র একটি বন্দুক। এ সময় আমরা একটু ভড়কে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে আমি গুলি শুরু করি। সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে সাপোর্টিং ফায়ারের শব্দও শুনতে পাই। তখন মনা নামে ছাত্রলীগ করা আমাদেরই এক ছোট ভাই ডাক দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন আরও সাহস পাই। দুজনে মিলে গুলি শুরু করি।’ এভাবেই যশোর শহর শত্রুমুক্ত হওয়ার স্মৃতিচারণা করছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ।
দৈনিক আজকের পত্রিকা’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘একপর্যায়ে দেখতে পাই তিনজন মাঠের আইলের সঙ্গে মিশে আছে। তখন তাদের আমরা আত্মসমর্পণ করতে বলি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় পাকিস্তানি তিন আর্মিকে বন্দী করে গাড়িতে উঠিয়ে শহরে নিয়ে আসি।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় শেল্টার ছিল। ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমরা সেই শেল্টার থেকে বের হয়ে শহরতলির শেখহাটিতে অবস্থান নেই। যশোর শিক্ষা বোর্ডের উত্তর দিকে অবস্থিত গ্রামটিতে আমরা রাতে অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত হামলার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। সকালে বড় ভাই প্রয়াত সাংসদ আলী রেজা রাজুর পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আমাদের দলবল নিয়ে শহরে ঢুকে পড়ি। আমাদের দলটি শহরের মূল কেন্দ্র দড়াটানাসংলগ্ন তৎকালীন ৫০ শয্যা হাসপাতালের (বর্তমান যশোর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল) সীমানা প্রাচীরের ভেতর অবস্থান নেই।’
৫০ বছর আগের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ বলেন, ‘মিত্রবাহিনীর আক্রমণের মুখে সে সময় যশোর সেনানিবাস থেকে পাকিস্তানি আর্মি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পিছু হটছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ওই দলের ওপর হামলা চালানো। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে আমরা তখনই হামলা চালাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। ফলে নিকটস্থ একাধিক দলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ শুরু করি। একপর্যায়ে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া একটি গাড়ি (৫ ডিসেম্বর গাড়ি নেওয়া হয়েছিল) নিয়ে আমি ও গাড়ি চালক সিদ্দিক মধুগ্রামের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে রওনা দিই। সেখানে রবিউলদের নেতৃত্বে আরেকটি দল অবস্থান করছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই দলটি মধুগ্রাম ছেড়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন নওদাগা গ্রামে চলে গেছে। সেখানকার উদ্দেশে রওনা দিই।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘যাওয়ার পথে কনেজপুর খালের কাছে ৬ জন পাকিস্তানি আর্মির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। তারা এলএমজিসহ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। আর আমাদের কাছে ছিল মাত্র একটি বন্দুক। এ সময় আমরা একটু ভড়কে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে আমি গুলি শুরু করি। সঙ্গেসঙ্গে পাশ থেকে সাপোর্টিং ফায়ারের শব্দও শুনতে পাই। তখন মনা নামে ছাত্রলীগ করা আমাদেরই এক ছোট ভাই ডাক দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন আরও সাহস পাই। দুজনে মিলে গুলি শুরু করি। একপর্যায়ে দেখি পাকিস্তানি আর্মির কেউই সেখানে নেই। াঅনেক সময় পর দেখতে পাই তিনজন মাঠের আইলের সঙ্গে মিশে আছে। তখন তাদের আমরা আত্মসমর্পণ করতে বলি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে শহরে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে তাদের দড়াটানা ব্রিজের ঢালে নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে মারার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন মুজিব বাহিনীর এ অঞ্চলের কমান্ডার আলী হোসেন ভাই তাদের মারতে নিষেধ করেন।’
বিজয়ের মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর বিকেলের মধ্যে পুরো যশোর শহর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। তখন মুক্তিযোদ্ধারা যশোর কালেক্টরেটে প্রথম বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।’
‘কনেজপুর খালের কাছে ৬ জন পাকিস্তানি আর্মির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। তারা এলএমজিসহ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। আর আমাদের কাছে ছিল মাত্র একটি বন্দুক। এ সময় আমরা একটু ভড়কে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে আমি গুলি শুরু করি। সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে সাপোর্টিং ফায়ারের শব্দও শুনতে পাই। তখন মনা নামে ছাত্রলীগ করা আমাদেরই এক ছোট ভাই ডাক দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন আরও সাহস পাই। দুজনে মিলে গুলি শুরু করি।’ এভাবেই যশোর শহর শত্রুমুক্ত হওয়ার স্মৃতিচারণা করছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ।
দৈনিক আজকের পত্রিকা’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘একপর্যায়ে দেখতে পাই তিনজন মাঠের আইলের সঙ্গে মিশে আছে। তখন তাদের আমরা আত্মসমর্পণ করতে বলি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় পাকিস্তানি তিন আর্মিকে বন্দী করে গাড়িতে উঠিয়ে শহরে নিয়ে আসি।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় শেল্টার ছিল। ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমরা সেই শেল্টার থেকে বের হয়ে শহরতলির শেখহাটিতে অবস্থান নেই। যশোর শিক্ষা বোর্ডের উত্তর দিকে অবস্থিত গ্রামটিতে আমরা রাতে অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত হামলার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। সকালে বড় ভাই প্রয়াত সাংসদ আলী রেজা রাজুর পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আমাদের দলবল নিয়ে শহরে ঢুকে পড়ি। আমাদের দলটি শহরের মূল কেন্দ্র দড়াটানাসংলগ্ন তৎকালীন ৫০ শয্যা হাসপাতালের (বর্তমান যশোর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল) সীমানা প্রাচীরের ভেতর অবস্থান নেই।’
৫০ বছর আগের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ বলেন, ‘মিত্রবাহিনীর আক্রমণের মুখে সে সময় যশোর সেনানিবাস থেকে পাকিস্তানি আর্মি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পিছু হটছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ওই দলের ওপর হামলা চালানো। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে আমরা তখনই হামলা চালাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। ফলে নিকটস্থ একাধিক দলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ শুরু করি। একপর্যায়ে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া একটি গাড়ি (৫ ডিসেম্বর গাড়ি নেওয়া হয়েছিল) নিয়ে আমি ও গাড়ি চালক সিদ্দিক মধুগ্রামের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে রওনা দিই। সেখানে রবিউলদের নেতৃত্বে আরেকটি দল অবস্থান করছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই দলটি মধুগ্রাম ছেড়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন নওদাগা গ্রামে চলে গেছে। সেখানকার উদ্দেশে রওনা দিই।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘যাওয়ার পথে কনেজপুর খালের কাছে ৬ জন পাকিস্তানি আর্মির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। তারা এলএমজিসহ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। আর আমাদের কাছে ছিল মাত্র একটি বন্দুক। এ সময় আমরা একটু ভড়কে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে আমি গুলি শুরু করি। সঙ্গেসঙ্গে পাশ থেকে সাপোর্টিং ফায়ারের শব্দও শুনতে পাই। তখন মনা নামে ছাত্রলীগ করা আমাদেরই এক ছোট ভাই ডাক দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন আরও সাহস পাই। দুজনে মিলে গুলি শুরু করি। একপর্যায়ে দেখি পাকিস্তানি আর্মির কেউই সেখানে নেই। াঅনেক সময় পর দেখতে পাই তিনজন মাঠের আইলের সঙ্গে মিশে আছে। তখন তাদের আমরা আত্মসমর্পণ করতে বলি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে শহরে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে তাদের দড়াটানা ব্রিজের ঢালে নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে মারার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন মুজিব বাহিনীর এ অঞ্চলের কমান্ডার আলী হোসেন ভাই তাদের মারতে নিষেধ করেন।’
বিজয়ের মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর বিকেলের মধ্যে পুরো যশোর শহর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। তখন মুক্তিযোদ্ধারা যশোর কালেক্টরেটে প্রথম বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে