সনি আজাদ, চারঘাট
খরস্রোতা নদী বড়াল যৌবনের চিহ্ন হারিয়েছে অনেক আগে। তবে এবার কার্তিক মাসেই বড়ালের উৎপত্তিস্থল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।
গত শনিবার সরেজমিন বড়ালের উৎসমুখে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদী থেকে বড়ালে কোনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। উৎসমুখে বালুচর জেগে পদ্মার সঙ্গে বড়ালের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা উৎসমুখে বড়ালের দুই পাড় সমান করে গম, আখ, মসুরসহ যাবতীয় রবিশস্য বপন শুরু করেছে। তাতে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি সংকটে বড়ালের সঙ্গে সংযুক্ত খাল-বিল ও সেচকাজে পানি সংকট দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বড়াল পদ্মার শাখা নদী। রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদী থেকে বড়ালের উৎপত্তি। আঁকাবাঁকা পথে চারঘাট, বাঘা, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম উপজেলার মধ্য দিয়ে পাবনা পেরিয়ে সিরাজগঞ্জে যমুনায় মিলিত হয়েছে।
জানা যায়, কয়েক যুগ আগেও বড়ালের যৌবন ছিল। এ নদী বর্ষা মৌসুমে বন্যায় কানায় কানায় পূর্ণ হতো। প্রখর স্রোত ছিল। কোনো কোনো সময় দুই কূল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পলিমিশ্রিত পানি বিভিন্ন মাঠে প্রবেশ করত। কৃষকেরা পলিমিশ্রিত উর্বর জমিতে দ্বিগুণ ফসল ফলাত। সারা বছর জেলেরা নদীতে ছোট-বড় মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাত।
সেই দিনগুলো ক্ষীণ হয়ে আসে ১৯৮০ সালের দিকে। স্লুইস গেট দেওয়ার পর বড়াল তার খরস্রোতা রূপ হারায়। আর এখন দখলে বড়াল হয়ে উঠেছে সরু নালা। ২০১০ সালে নদী খননের নামে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেওয়া ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প কোনো কাজে আসেনি। নদী খনন করে সেই বালু নদীতে স্তূপ করে রাখার কারণে বন্যার পানিতে তা আবার নদীতে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বড়ালে পদ্মার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বড়াল নদীকে ঘিরে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ‘নাটোরের নারদ ও মুসা খান (আংশিক) নদী ও রাজশাহীর চারঘাটের রেগুলেটরের ইনটেক চ্যানেল খনন’ নামের ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রায় ১৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদীখনন ও প্রবেশমুখে খনন করতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারঘাট বড়াল নদীর ইনটেক চ্যানেল খননকাজ শেষ হয়। ইনটেক চ্যানেল খননকাজ হলেও বড়ালের সুদিন আর ফেরেনি। এবার কার্তিক মাসেই বড়ালের উৎসমুখ পানিশূন্য হয়ে গেছে।
স্থানীয় জেলে কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন জানান, বড়াল নদীর আশপাশে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা নদী দখল করে সেখানে ধান, গম, মসুর, আখসহ বিভিন্ন শস্য চাষ করেন। প্রভাবশালীরাও আছেন এই তালিকায়। ফলে মূল পদ্মা থেকে পানি যাতে বড়ালে আসতে না পারে, সে জন্য মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
চারঘাট বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে বড়াল নদী শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। বিভিন্নভাবে দখল আর দূষণে এবার শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বড়ালের উৎসমুখ পানিশূন্য হয়েছে। এতে বড়াল নদী বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বড়াল নদী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদী পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী বড়াল নদীতে পানিপ্রবাহের কার্যক্রম নেওয়া হবে।
খরস্রোতা নদী বড়াল যৌবনের চিহ্ন হারিয়েছে অনেক আগে। তবে এবার কার্তিক মাসেই বড়ালের উৎপত্তিস্থল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।
গত শনিবার সরেজমিন বড়ালের উৎসমুখে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদী থেকে বড়ালে কোনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। উৎসমুখে বালুচর জেগে পদ্মার সঙ্গে বড়ালের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা উৎসমুখে বড়ালের দুই পাড় সমান করে গম, আখ, মসুরসহ যাবতীয় রবিশস্য বপন শুরু করেছে। তাতে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি সংকটে বড়ালের সঙ্গে সংযুক্ত খাল-বিল ও সেচকাজে পানি সংকট দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বড়াল পদ্মার শাখা নদী। রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদী থেকে বড়ালের উৎপত্তি। আঁকাবাঁকা পথে চারঘাট, বাঘা, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম উপজেলার মধ্য দিয়ে পাবনা পেরিয়ে সিরাজগঞ্জে যমুনায় মিলিত হয়েছে।
জানা যায়, কয়েক যুগ আগেও বড়ালের যৌবন ছিল। এ নদী বর্ষা মৌসুমে বন্যায় কানায় কানায় পূর্ণ হতো। প্রখর স্রোত ছিল। কোনো কোনো সময় দুই কূল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পলিমিশ্রিত পানি বিভিন্ন মাঠে প্রবেশ করত। কৃষকেরা পলিমিশ্রিত উর্বর জমিতে দ্বিগুণ ফসল ফলাত। সারা বছর জেলেরা নদীতে ছোট-বড় মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাত।
সেই দিনগুলো ক্ষীণ হয়ে আসে ১৯৮০ সালের দিকে। স্লুইস গেট দেওয়ার পর বড়াল তার খরস্রোতা রূপ হারায়। আর এখন দখলে বড়াল হয়ে উঠেছে সরু নালা। ২০১০ সালে নদী খননের নামে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেওয়া ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প কোনো কাজে আসেনি। নদী খনন করে সেই বালু নদীতে স্তূপ করে রাখার কারণে বন্যার পানিতে তা আবার নদীতে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বড়ালে পদ্মার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বড়াল নদীকে ঘিরে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ‘নাটোরের নারদ ও মুসা খান (আংশিক) নদী ও রাজশাহীর চারঘাটের রেগুলেটরের ইনটেক চ্যানেল খনন’ নামের ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রায় ১৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদীখনন ও প্রবেশমুখে খনন করতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারঘাট বড়াল নদীর ইনটেক চ্যানেল খননকাজ শেষ হয়। ইনটেক চ্যানেল খননকাজ হলেও বড়ালের সুদিন আর ফেরেনি। এবার কার্তিক মাসেই বড়ালের উৎসমুখ পানিশূন্য হয়ে গেছে।
স্থানীয় জেলে কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন জানান, বড়াল নদীর আশপাশে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা নদী দখল করে সেখানে ধান, গম, মসুর, আখসহ বিভিন্ন শস্য চাষ করেন। প্রভাবশালীরাও আছেন এই তালিকায়। ফলে মূল পদ্মা থেকে পানি যাতে বড়ালে আসতে না পারে, সে জন্য মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
চারঘাট বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে বড়াল নদী শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। বিভিন্নভাবে দখল আর দূষণে এবার শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বড়ালের উৎসমুখ পানিশূন্য হয়েছে। এতে বড়াল নদী বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বড়াল নদী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদী পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী বড়াল নদীতে পানিপ্রবাহের কার্যক্রম নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে