আক্তার হোসেন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। ১৬০ জনের কাছ থেকে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ টাকা তোলা হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১৬৪ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ১৬০ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার করে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে জানায়, শিক্ষকেরা তাদের কাছ থেকে কোচিং বাবদ ২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে নিয়মিত কোচিং করানো হয় না। কোচিংয়ে ক্লাস করানোর জন্য শিক্ষকদের ডেকে আনতে হয়। মার্চের মাত্র ১০ দিন কোচিং ক্লাস করানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে টাকা দিতে না পারায় শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষেই চাপ দিচ্ছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকা দিতে না পারায় তাদের কোচিং করানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকেরা। সব মিলিয়ে অন্তত ১৬০ জনের কাছ থেকে ২ হাজার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, এর আগে স্কুলে ইউনিক আইডি বাবদ ৫০ থেকে ৭০ টাকা তোলা হয়েছে। মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য ২০০ করে টাকা দিয়েছে তারা। আগামীতে পরীক্ষার নিবন্ধন বাবদ প্রায় ২ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে বিদ্যালয়ে পানির জন্য টাকা আদায় করা হয়, অথচ নিয়মিত পানি দেওয়া হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বাবা-মায়ের পক্ষে এভাবে টাকা সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষকদের কিছু বলতে চাইলে স্কুল থেকে টিসি দিয়ে দেবে বলে ধমক দেন।’
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, বিদ্যালয় থেকে জেএসসি সার্টিফিকেট তুলতে গেলে সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা রাখা হয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র তুলতে ৫০ টাকা রাখা হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন না। পড়ালেখার ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দীঘিনালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চাকমাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ ছাড়া মেসেজ পাঠিয়ে সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিংয়ের নামে নিয়মবহির্ভূত টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের টাকা আদায়ের কথাটি শুনেছি। বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিদ্যালয় খোলা হলে অবিভাবকদের ডেকে টাকা পরিশোধে শিক্ষকদের বাধ্য করা হবে।’
দীঘিনালা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা। গতকাল শনিবার তাঁর কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কোচিংয়ের নামে টাকা তোলার বিষয়টি কিছুদিন আগে জেনেছি। আমি শিক্ষক সাধন কুমার চাকমার সঙ্গে কথা বলেছি; তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে অভিভাবক সমাবেশ করে কোচিং ক্লাস বাবদ টাকা তুলেছেন। ৪০ জন শিক্ষার্থী থেকে টাকা তুলেছেন। অতিরিক্ত টাকাগুলো মাসিক ফি বাবদ কেটে নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
প্রধান শিক্ষকের আচরণ প্রসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আচরণের বিষয়টি দুঃখজনক। যেখানে শিষ্টাচার, নৈতিকতা ও ব্যবহার শিক্ষক থেকে পাবে, সেখানে এ রকম আচরণ দুঃখজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করব।’
শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, ‘আমি ২০ বা ২২ এপ্রিল দীঘিনালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যাব। যাদের থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাদের টাকাগুলো ফিরিয়ে দিতে বলব, আমি বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও জানাব।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। ১৬০ জনের কাছ থেকে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ টাকা তোলা হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১৬৪ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ১৬০ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার করে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে জানায়, শিক্ষকেরা তাদের কাছ থেকে কোচিং বাবদ ২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে নিয়মিত কোচিং করানো হয় না। কোচিংয়ে ক্লাস করানোর জন্য শিক্ষকদের ডেকে আনতে হয়। মার্চের মাত্র ১০ দিন কোচিং ক্লাস করানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে টাকা দিতে না পারায় শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষেই চাপ দিচ্ছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকা দিতে না পারায় তাদের কোচিং করানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকেরা। সব মিলিয়ে অন্তত ১৬০ জনের কাছ থেকে ২ হাজার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, এর আগে স্কুলে ইউনিক আইডি বাবদ ৫০ থেকে ৭০ টাকা তোলা হয়েছে। মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য ২০০ করে টাকা দিয়েছে তারা। আগামীতে পরীক্ষার নিবন্ধন বাবদ প্রায় ২ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে বিদ্যালয়ে পানির জন্য টাকা আদায় করা হয়, অথচ নিয়মিত পানি দেওয়া হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বাবা-মায়ের পক্ষে এভাবে টাকা সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষকদের কিছু বলতে চাইলে স্কুল থেকে টিসি দিয়ে দেবে বলে ধমক দেন।’
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, বিদ্যালয় থেকে জেএসসি সার্টিফিকেট তুলতে গেলে সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা রাখা হয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র তুলতে ৫০ টাকা রাখা হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন না। পড়ালেখার ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দীঘিনালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চাকমাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ ছাড়া মেসেজ পাঠিয়ে সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিংয়ের নামে নিয়মবহির্ভূত টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের টাকা আদায়ের কথাটি শুনেছি। বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিদ্যালয় খোলা হলে অবিভাবকদের ডেকে টাকা পরিশোধে শিক্ষকদের বাধ্য করা হবে।’
দীঘিনালা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা। গতকাল শনিবার তাঁর কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কোচিংয়ের নামে টাকা তোলার বিষয়টি কিছুদিন আগে জেনেছি। আমি শিক্ষক সাধন কুমার চাকমার সঙ্গে কথা বলেছি; তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে অভিভাবক সমাবেশ করে কোচিং ক্লাস বাবদ টাকা তুলেছেন। ৪০ জন শিক্ষার্থী থেকে টাকা তুলেছেন। অতিরিক্ত টাকাগুলো মাসিক ফি বাবদ কেটে নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
প্রধান শিক্ষকের আচরণ প্রসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আচরণের বিষয়টি দুঃখজনক। যেখানে শিষ্টাচার, নৈতিকতা ও ব্যবহার শিক্ষক থেকে পাবে, সেখানে এ রকম আচরণ দুঃখজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করব।’
শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, ‘আমি ২০ বা ২২ এপ্রিল দীঘিনালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যাব। যাদের থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাদের টাকাগুলো ফিরিয়ে দিতে বলব, আমি বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও জানাব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে