কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের সংযোগস্থলে অবস্থিত দেওছড়া জলাশয়। অনাবৃষ্টিতে উজানের পানি কমে যাওয়া এবং ছড়ায় দূষণ ও পাহাড়ি পলি-বালু জমাট হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
অথচ একসময় অতিথি পাখির আবাসস্থল ছিল দেওছড়া জলাশয়। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত জলাশয়টি খনন করার।
শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের কেছুলুটি ও ধূপাটিলা গ্রামের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি দেওছড়া জলাশয়টি লাঘাটা নদীতে পড়েছে। এটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩ ফুট। বর্তমানে দূষণ ও পলি-বালু জমে প্রায় ১০ ফুট প্রস্থে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছড়াটি ভরাট হয়ে সরু হয়ে গেছে। এর দুই পাশে ঝোপ-জঙ্গল ও লতাপাতায় ভরা। একসময়ের পানিতে ভরা ছড়াটি এখন মৃতপ্রায়। পলি ও বালু জমে পানির স্বচ্ছতা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে দেওছড়া খালটি বিলীনের পথে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় এ ছড়ায় ছয় থেকে সাত ফুট গভীরতা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে দু-তিন ফুট। ওই এলাকায় শতাধিক কৃষক ছড়া ও জলাশয়কে চাষাবাদের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন মৃতপ্রায় হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
ধূপাটিলা গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, দেওছড়াটি জলজ প্রাণীর একটি আবাসস্থল ছিল। এখান থেকে বিপুল পরিমাণে দেশি মাছ ধরা হতো। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম ছিল। পলি-বালু জমে ছড়াটি প্রায় ভরাট যাওয়ার কারণে অতিথি পাখিরা এখন আর আসে না।
আব্দুল মতিন বলেন, ‘দেওছড়ার বিলে প্রত্যেক বছর শীতের সময় হাজারো অতিথি পাখি আসত। ভোরে পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙত। এখন আর পাখি আসে না। একসময় প্রচুর দেশি মাছও পাওয়া যেত এ ছড়ায়। বর্তমানে লতাপাতা জমে খাল ভরাট হয়ে গেছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এই স্থানটি পাখি ও মাছের জন্য একটি অপরূপ স্থান বলে শুনেছি। দেওছড়াটির ওই স্থান সংস্কার ও খননের মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ও মাছের বিচরণভূমি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এটি খননের জন্য ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে স্থানটি সরেজমিনে ঘুরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক বলেন, ‘পূর্বে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও সেটি অনুমোদন হয়নি। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে দেওছড়ার ওই জলাশয়টি সংস্কার করে পানি সরবরাহের জন্য চেষ্টা করব।’
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের সংযোগস্থলে অবস্থিত দেওছড়া জলাশয়। অনাবৃষ্টিতে উজানের পানি কমে যাওয়া এবং ছড়ায় দূষণ ও পাহাড়ি পলি-বালু জমাট হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
অথচ একসময় অতিথি পাখির আবাসস্থল ছিল দেওছড়া জলাশয়। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত জলাশয়টি খনন করার।
শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের কেছুলুটি ও ধূপাটিলা গ্রামের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি দেওছড়া জলাশয়টি লাঘাটা নদীতে পড়েছে। এটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩ ফুট। বর্তমানে দূষণ ও পলি-বালু জমে প্রায় ১০ ফুট প্রস্থে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছড়াটি ভরাট হয়ে সরু হয়ে গেছে। এর দুই পাশে ঝোপ-জঙ্গল ও লতাপাতায় ভরা। একসময়ের পানিতে ভরা ছড়াটি এখন মৃতপ্রায়। পলি ও বালু জমে পানির স্বচ্ছতা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে দেওছড়া খালটি বিলীনের পথে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় এ ছড়ায় ছয় থেকে সাত ফুট গভীরতা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে দু-তিন ফুট। ওই এলাকায় শতাধিক কৃষক ছড়া ও জলাশয়কে চাষাবাদের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন মৃতপ্রায় হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
ধূপাটিলা গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, দেওছড়াটি জলজ প্রাণীর একটি আবাসস্থল ছিল। এখান থেকে বিপুল পরিমাণে দেশি মাছ ধরা হতো। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম ছিল। পলি-বালু জমে ছড়াটি প্রায় ভরাট যাওয়ার কারণে অতিথি পাখিরা এখন আর আসে না।
আব্দুল মতিন বলেন, ‘দেওছড়ার বিলে প্রত্যেক বছর শীতের সময় হাজারো অতিথি পাখি আসত। ভোরে পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙত। এখন আর পাখি আসে না। একসময় প্রচুর দেশি মাছও পাওয়া যেত এ ছড়ায়। বর্তমানে লতাপাতা জমে খাল ভরাট হয়ে গেছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এই স্থানটি পাখি ও মাছের জন্য একটি অপরূপ স্থান বলে শুনেছি। দেওছড়াটির ওই স্থান সংস্কার ও খননের মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ও মাছের বিচরণভূমি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এটি খননের জন্য ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে স্থানটি সরেজমিনে ঘুরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক বলেন, ‘পূর্বে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও সেটি অনুমোদন হয়নি। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে দেওছড়ার ওই জলাশয়টি সংস্কার করে পানি সরবরাহের জন্য চেষ্টা করব।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে