পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
পীরগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ‘আনন্দ নগর’। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ছুটি কাটাতে এই বিনোদনকেন্দ্রে প্রতিদিন হাজারো মানুষ উপস্থিত হন। এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও এখানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ঈদের দিন থেকেই দর্শনার্থীরা দল বেঁধে আনন্দ নগরে আসতে শুরু করেন। গত কয়েক দিন কেন্দ্রটিতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। একান্তে সময় কাটাতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকে সপরিবারে আসেন। কেউ কেউ কেন্দ্রের বিলাসবহুল রিসোর্টে রাত্রিযাপনও করেছেন।
বিনোদনকেন্দ্রটির সামনে রয়েছে সুরম্য ফটক। ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই ইট-সিমেন্টের বিশালাকৃতির এক পরি আগতদের স্বাগত জানাতে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে এগোতেই একটি গাছের ডালে কয়েকটি ময়ূরের দেখা মেলে। তার পূর্ব পাশেই পুকুরপাড়ে কংক্রিটের দুজন নিরাপত্তা প্রহরী দর্শনার্থীদের হাত উঁচিয়ে পথ নির্দেশ করছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিনোদনকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থান দেখছেন। সবখানেই উপচেপড়া ভিড়। এখানে নতুন করে নির্মিত কৃত্রিম চিড়িয়াখানায় মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ডাইনোসরের বিশাল মুখ দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশের পরই পানির ফোয়ারা। এরপর দর্শনার্থীরা হাতির পাল, বাঘের হরিণ ও মহিষ শিকার, ষাঁড়ের লড়াই, জিরাফ, ঘোড়ার গাড়ি, পেঙ্গুইন জোন, ডাইনোসর, বানর, জলহস্তী, সরোবরে শাপলার সারি, দেয়ালে বিভিন্ন জলজ ও স্থলজ প্রাণীর কারু চিত্র, কুমিরের জোন, হরিণ, কচ্ছপ, সামুদ্রিক কাঁকড়ার জোন, রবীন্দ্র মঞ্চ ও কাজী নজরুল ইসলাম মঞ্চের দেখা পান। সেখানে আরও রয়েছে হাঁড়ি ভাঙা আমের বাগান।
এ ছাড়া আজব গুহা হালকা আলোয় আদিম যুগের মানুষ, ভূত, পেতনি, রাক্ষস, হরিণ, বাঘ, নারী, পুরুষের মূর্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গুহার উত্তরে রয়েছে নৌকার নাগরদোলা ‘সান্তামারিয়া’।
আনন্দ নগরে এবার মৎস্য জগৎ সংযোজন হয়েছে। সেখানে ৩৫টি অ্যাকুরিয়ামে সামুদ্রিক মাছ শোভা বর্ধন করেছে। তার পাশেই পুকুরের জলের ওপরে আছে ক্যাবল কার। আর পুকুরে আছেস্পিড বোট, প্যাডেল বোট ও ব্যাটারিচালিত নৌকা।
শিশুদের জন্য রয়েছে মিনি ট্রেন, সুপার চেয়ার, সুপার চরকি, ওয়ান্ডার হুইল, জিপ চরকি, নাগরদোলাসহ নতুন কয়েকটি রাইড। এ ছাড়া আছে প্ল্যানেটারিয়াম (সৌরজগৎ)। কেন্দ্রের রাস্তাগুলোতে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আনন্দ নগরে দর্শনার্থী মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে আধুনিক কারুকার্য খচিত ‘বায়তুর নুর শাহীন জামে মসজিদ’ নির্মাণ করা হয়েছে।
বিনোদনকেন্দ্রের ফটকের বাইরের ব্যবসায়ী রাঙ্গা মিয়া জানান, শুধু ঈদ উপলক্ষেই নয়, সারা বছরই ভিড় থাকে এখানে। তবে ঈদ উপলক্ষে এবার অনেক বেশি লোকজন এসেছেন।
কেন্দ্রটির ম্যানেজার সোহেল রানা বকুল বলেন, ‘মানুষের চিত্তবিনোদনের চাহিদার ভিত্তিতে আমরা আনন্দ নগরকে ঢেলে সাজিয়েছি। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন। এবার ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের হোটেলের উদ্বোধন করা হয়েছে।’
আনন্দ নগরের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ‘মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য প্রায় ২ যুগ আগে আনন্দ নগর প্রতিষ্ঠা করেছি। মানুষের মানসিক বিকাশে আনন্দ নগর ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এখানে বেশ কিছু নতুন ইভেন্ট সংযোজন করা হয়েছে।’
পীরগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ‘আনন্দ নগর’। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ছুটি কাটাতে এই বিনোদনকেন্দ্রে প্রতিদিন হাজারো মানুষ উপস্থিত হন। এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও এখানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ঈদের দিন থেকেই দর্শনার্থীরা দল বেঁধে আনন্দ নগরে আসতে শুরু করেন। গত কয়েক দিন কেন্দ্রটিতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। একান্তে সময় কাটাতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকে সপরিবারে আসেন। কেউ কেউ কেন্দ্রের বিলাসবহুল রিসোর্টে রাত্রিযাপনও করেছেন।
বিনোদনকেন্দ্রটির সামনে রয়েছে সুরম্য ফটক। ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই ইট-সিমেন্টের বিশালাকৃতির এক পরি আগতদের স্বাগত জানাতে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে এগোতেই একটি গাছের ডালে কয়েকটি ময়ূরের দেখা মেলে। তার পূর্ব পাশেই পুকুরপাড়ে কংক্রিটের দুজন নিরাপত্তা প্রহরী দর্শনার্থীদের হাত উঁচিয়ে পথ নির্দেশ করছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিনোদনকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থান দেখছেন। সবখানেই উপচেপড়া ভিড়। এখানে নতুন করে নির্মিত কৃত্রিম চিড়িয়াখানায় মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ডাইনোসরের বিশাল মুখ দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশের পরই পানির ফোয়ারা। এরপর দর্শনার্থীরা হাতির পাল, বাঘের হরিণ ও মহিষ শিকার, ষাঁড়ের লড়াই, জিরাফ, ঘোড়ার গাড়ি, পেঙ্গুইন জোন, ডাইনোসর, বানর, জলহস্তী, সরোবরে শাপলার সারি, দেয়ালে বিভিন্ন জলজ ও স্থলজ প্রাণীর কারু চিত্র, কুমিরের জোন, হরিণ, কচ্ছপ, সামুদ্রিক কাঁকড়ার জোন, রবীন্দ্র মঞ্চ ও কাজী নজরুল ইসলাম মঞ্চের দেখা পান। সেখানে আরও রয়েছে হাঁড়ি ভাঙা আমের বাগান।
এ ছাড়া আজব গুহা হালকা আলোয় আদিম যুগের মানুষ, ভূত, পেতনি, রাক্ষস, হরিণ, বাঘ, নারী, পুরুষের মূর্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গুহার উত্তরে রয়েছে নৌকার নাগরদোলা ‘সান্তামারিয়া’।
আনন্দ নগরে এবার মৎস্য জগৎ সংযোজন হয়েছে। সেখানে ৩৫টি অ্যাকুরিয়ামে সামুদ্রিক মাছ শোভা বর্ধন করেছে। তার পাশেই পুকুরের জলের ওপরে আছে ক্যাবল কার। আর পুকুরে আছেস্পিড বোট, প্যাডেল বোট ও ব্যাটারিচালিত নৌকা।
শিশুদের জন্য রয়েছে মিনি ট্রেন, সুপার চেয়ার, সুপার চরকি, ওয়ান্ডার হুইল, জিপ চরকি, নাগরদোলাসহ নতুন কয়েকটি রাইড। এ ছাড়া আছে প্ল্যানেটারিয়াম (সৌরজগৎ)। কেন্দ্রের রাস্তাগুলোতে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আনন্দ নগরে দর্শনার্থী মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে আধুনিক কারুকার্য খচিত ‘বায়তুর নুর শাহীন জামে মসজিদ’ নির্মাণ করা হয়েছে।
বিনোদনকেন্দ্রের ফটকের বাইরের ব্যবসায়ী রাঙ্গা মিয়া জানান, শুধু ঈদ উপলক্ষেই নয়, সারা বছরই ভিড় থাকে এখানে। তবে ঈদ উপলক্ষে এবার অনেক বেশি লোকজন এসেছেন।
কেন্দ্রটির ম্যানেজার সোহেল রানা বকুল বলেন, ‘মানুষের চিত্তবিনোদনের চাহিদার ভিত্তিতে আমরা আনন্দ নগরকে ঢেলে সাজিয়েছি। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন। এবার ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের হোটেলের উদ্বোধন করা হয়েছে।’
আনন্দ নগরের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ‘মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য প্রায় ২ যুগ আগে আনন্দ নগর প্রতিষ্ঠা করেছি। মানুষের মানসিক বিকাশে আনন্দ নগর ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এখানে বেশ কিছু নতুন ইভেন্ট সংযোজন করা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে