সম্পাদকীয়
কবরী অভিনীত অনেক সিনেমাই দর্শক টেনেছে হলে। সে রকমই একটি ছবি ক খ গ ঘ ঙ। এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল বেবী ইসলামের মামাবাড়িতে। সেটা চুয়াডাঙ্গায়। আগে কখনো এখানে শুটিং হয়নি। তাই গ্রামের মানুষ ভেঙে পড়ত শুটিং দেখতে। কখনো কখনো এত ভিড় হতো মানুষের যে শুটিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যেত। অভিনেতা আনোয়ার হোসেন তো একবার রাগ করে বলেই ফেললেন, ‘অ্যাই, শুটিং করতে দিবা? তা না হলে তোমাদের সামনে কাপড় খুইল্লা দৌড় দেব।’ এ কথা শুনে জড়ো হওয়া লোকেরা তো হেসেই কুটিকুটি।
কবরীও বিরক্ত। লোকেশনে আসার আগেই শত শত মানুষ চিড়া-মুড়ি নিয়ে উপস্থিত। তারা শুটিং দেখবে। তখন এক কাজ করা হলো। সন্ধ্যায়, রাতেও যখন লোকজন উঁকিঝুঁকি মারত, তখন বলা হতো, ‘আজ শুটিং নেই।’ লোকজন চলে গেলে গভীর রাতে শুরু হতো শুটিং। বাড়ির সবাই ঘুম। শুধু কলাকুশলীরা ছাদে গিয়ে শুরু হতো শুটিং। রাজ্জাক-কবরীর রোমান্টিক দৃশ্য ধারণ করা হতো সেখানে।
ক খ গ ঘ ঙ ছবির কাহিনি ছিল এক যৌথ পরিবারকে ঘিরে। সব বয়সের দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। শুটিং যখন শেষ হয়ে গেল, তখন এল বিদায়ের পালা। আর তখনই অভিভূত হলেন কবরী। ঢাকায় ফেরার জন্য যখন গাড়িতে উঠছেন, তখন তাঁদের বিদায় জানাতে গ্রামের মানুষেরা জড়ো হলেন। সেই মানুষদের চোখে জল। তাঁরা বলছেন, ‘আবার আসবেন।’
‘আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।’
কাজ করতে গিয়ে যাঁদের ভিড়ের কারণে অতীষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাই এভাবে কাঁদছেন! কবরীর মন স্পর্শ করল ঘটনাটা। একসময় কবরী দেখেন, তিনি নিজেও কাঁদছেন। পরে কবরী জেনেছিলেন, চুয়াডাঙ্গার একটি রাস্তার নাম হয়েছে ‘কবরী রোড’। এখনো ওই ঠিকানা লিখলে সেখানে চিঠি যায়।
সূত্র: কবরী, স্মৃতিটুকু থাক, পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭
কবরী অভিনীত অনেক সিনেমাই দর্শক টেনেছে হলে। সে রকমই একটি ছবি ক খ গ ঘ ঙ। এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল বেবী ইসলামের মামাবাড়িতে। সেটা চুয়াডাঙ্গায়। আগে কখনো এখানে শুটিং হয়নি। তাই গ্রামের মানুষ ভেঙে পড়ত শুটিং দেখতে। কখনো কখনো এত ভিড় হতো মানুষের যে শুটিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যেত। অভিনেতা আনোয়ার হোসেন তো একবার রাগ করে বলেই ফেললেন, ‘অ্যাই, শুটিং করতে দিবা? তা না হলে তোমাদের সামনে কাপড় খুইল্লা দৌড় দেব।’ এ কথা শুনে জড়ো হওয়া লোকেরা তো হেসেই কুটিকুটি।
কবরীও বিরক্ত। লোকেশনে আসার আগেই শত শত মানুষ চিড়া-মুড়ি নিয়ে উপস্থিত। তারা শুটিং দেখবে। তখন এক কাজ করা হলো। সন্ধ্যায়, রাতেও যখন লোকজন উঁকিঝুঁকি মারত, তখন বলা হতো, ‘আজ শুটিং নেই।’ লোকজন চলে গেলে গভীর রাতে শুরু হতো শুটিং। বাড়ির সবাই ঘুম। শুধু কলাকুশলীরা ছাদে গিয়ে শুরু হতো শুটিং। রাজ্জাক-কবরীর রোমান্টিক দৃশ্য ধারণ করা হতো সেখানে।
ক খ গ ঘ ঙ ছবির কাহিনি ছিল এক যৌথ পরিবারকে ঘিরে। সব বয়সের দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। শুটিং যখন শেষ হয়ে গেল, তখন এল বিদায়ের পালা। আর তখনই অভিভূত হলেন কবরী। ঢাকায় ফেরার জন্য যখন গাড়িতে উঠছেন, তখন তাঁদের বিদায় জানাতে গ্রামের মানুষেরা জড়ো হলেন। সেই মানুষদের চোখে জল। তাঁরা বলছেন, ‘আবার আসবেন।’
‘আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।’
কাজ করতে গিয়ে যাঁদের ভিড়ের কারণে অতীষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাই এভাবে কাঁদছেন! কবরীর মন স্পর্শ করল ঘটনাটা। একসময় কবরী দেখেন, তিনি নিজেও কাঁদছেন। পরে কবরী জেনেছিলেন, চুয়াডাঙ্গার একটি রাস্তার নাম হয়েছে ‘কবরী রোড’। এখনো ওই ঠিকানা লিখলে সেখানে চিঠি যায়।
সূত্র: কবরী, স্মৃতিটুকু থাক, পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে