মির্জাপুর প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত নাম লেখায় বোঝা যাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠাতার পরিচয়। নানামুখী সমালোচনার মুখে প্রায় ৩০ বছর পর সম্প্রতি সংশোধন করে লেখা হয়েছে প্রতিষ্ঠাতার পূর্ণ নাম। উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়’-এ এমন ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৫ সালে প্রায় চার একর জমির ওপর নিজ নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন মির্জাপুর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি সদয় কৃষ্ণ পোদ্দার। সেই থেকে ওই নামেই বিদ্যালয়টি চলে আসছিল। এর প্রায় আট দশক পর ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে সদয় কৃষ্ণ নামের পরিবর্তে ‘এস কে উচ্চবিদ্যালয়’ লেখা হয়। এর পর থেকে কাগজপত্রসহ সব ক্ষেত্রে এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় লেখা হয়ে আসছে। কিন্তু কেন হঠাৎ ‘সদয় কৃষ্ণ’ থেকে ‘এস কে’ হলো তা কেউ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তবে একটি সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় বিদ্যালয়টি সরকারীকরণের ঘোষণা দেন। সে সময়ে কয়েকজন শিক্ষকের উদ্যোগে কাগজপত্রে বিদ্যালয়টির নাম সংক্ষেপ করে সদয় কৃষ্ণ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিবর্তে এস কে উচ্চবিদ্যালয় লেখা হয়। এতে স্থানীয় জনগণ ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টির শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার বোস ও সম্পাদক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়টির প্রকৃত নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। কিন্তু গত প্রায় ৭ বছরেও সেই দাবি পূরণ হচ্ছিল না। অবশেষে ২০২১ সালের শুরুতে সে সময়ের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল মালেকের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের লেখা নাম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুনরায় লেখার অনুমতি চান।
সূত্র জানায়, সেখানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের ঘটনা তুলে ধরেন। এ সময় ইউএনও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফটকে প্রতিষ্ঠাতার পুরো নাম লেখার নির্দেশ দেন। কিন্তু বোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করা কঠিন হবে বিধায় তিনি প্রধান ফটকে ব্র্যাকেটে প্রতিষ্ঠাতার পুরো নাম লেখার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী গত সপ্তাহে প্রধান ফটকে প্রতিষ্ঠাতার নাম ব্র্যাকেটবন্দি করে লেখা হয়।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার বোস ও সম্পাদক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ব্র্যাকেটবন্দী হলেও দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠাতার নাম লেখায় তাঁরা সন্তুষ্ট। একই অনুভূতির কথা জানান প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক ও দুর্লভ বিশ্বাস।
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত নাম লেখায় বোঝা যাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠাতার পরিচয়। নানামুখী সমালোচনার মুখে প্রায় ৩০ বছর পর সম্প্রতি সংশোধন করে লেখা হয়েছে প্রতিষ্ঠাতার পূর্ণ নাম। উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়’-এ এমন ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৫ সালে প্রায় চার একর জমির ওপর নিজ নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন মির্জাপুর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি সদয় কৃষ্ণ পোদ্দার। সেই থেকে ওই নামেই বিদ্যালয়টি চলে আসছিল। এর প্রায় আট দশক পর ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে সদয় কৃষ্ণ নামের পরিবর্তে ‘এস কে উচ্চবিদ্যালয়’ লেখা হয়। এর পর থেকে কাগজপত্রসহ সব ক্ষেত্রে এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় লেখা হয়ে আসছে। কিন্তু কেন হঠাৎ ‘সদয় কৃষ্ণ’ থেকে ‘এস কে’ হলো তা কেউ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তবে একটি সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় বিদ্যালয়টি সরকারীকরণের ঘোষণা দেন। সে সময়ে কয়েকজন শিক্ষকের উদ্যোগে কাগজপত্রে বিদ্যালয়টির নাম সংক্ষেপ করে সদয় কৃষ্ণ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিবর্তে এস কে উচ্চবিদ্যালয় লেখা হয়। এতে স্থানীয় জনগণ ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টির শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার বোস ও সম্পাদক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়টির প্রকৃত নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। কিন্তু গত প্রায় ৭ বছরেও সেই দাবি পূরণ হচ্ছিল না। অবশেষে ২০২১ সালের শুরুতে সে সময়ের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল মালেকের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের লেখা নাম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুনরায় লেখার অনুমতি চান।
সূত্র জানায়, সেখানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের ঘটনা তুলে ধরেন। এ সময় ইউএনও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফটকে প্রতিষ্ঠাতার পুরো নাম লেখার নির্দেশ দেন। কিন্তু বোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করা কঠিন হবে বিধায় তিনি প্রধান ফটকে ব্র্যাকেটে প্রতিষ্ঠাতার পুরো নাম লেখার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী গত সপ্তাহে প্রধান ফটকে প্রতিষ্ঠাতার নাম ব্র্যাকেটবন্দি করে লেখা হয়।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার বোস ও সম্পাদক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ব্র্যাকেটবন্দী হলেও দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠাতার নাম লেখায় তাঁরা সন্তুষ্ট। একই অনুভূতির কথা জানান প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক ও দুর্লভ বিশ্বাস।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে