আলম মৃধা একজন ভিখারি। তাঁর স্ত্রীও ভিক্ষা করেন। দুই দিন আগে তাঁর স্ত্রী ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকটি তাঁর মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে না। সন্তানকে দুধ কিনে দেবেন এ সামর্থ্যও নেই এই দম্পতির। তাই তাঁরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা বোরাকের বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রির চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আলম মৃধা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলখোলা বন্দরের বাসিন্দা। তবে এখন থাকেন বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামে। তাঁর প্রথম স্ত্রীর বাড়ির বারান্দায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলম মৃধা প্রায় ৪৫ বছর আগে চরহোসনাবাদ গ্রামের চন্দ্রী বিবিকে বিয়ে করেন। চন্দ্রী ২০ বছর আগে মারা যান। এ দম্পতির ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। আলম মৃধা বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ৭ বছর পর তিনি বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের হাওয়া বিবিকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী এ নিয়ে দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

আলম মৃধা বলেন, তিনি পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে বান্দরবান জেলার এক দম্পতির খোঁজ পেয়েছেন। ওই দম্পতি তাঁদের নবজাতককে নিতে চান। এর বিনিময়ে তাঁকে একটি নতুন বোরাক কিনে দেবেন। নবজাতককে অন্যের হাতে তুলে দিতে চান না তিনি। কিন্তু অভাবের কারণে তিনি এ কাজ করছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নেওয়ার পর সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।’