২০০৩ সালের ৭ আগস্ট তিন বছর মেয়াদি ৬৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয় মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর কেটে গেলেও হয়নি নতুন কমিটি। ইতিমধ্যে কমিটির ১৭ জন মারা গেছেন। নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় মৃত্যু ব্যক্তিরা রয়ে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। যদিও কমিটির নেতারা বলছেন, বারবার নতুন কমিটি গঠন করার চেষ্টা করেও তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।

বর্তমান কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। তিনি এখন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। আর সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী। আক্কাস জানান, এ পর্যন্ত ১৭ নেতা মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারী নেতারা হলেন সহসভাপতি ডা. ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক খোকন মিয়া, সদস্য খাদেমুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ হারু, পন্টু মিয়া, জহির রাইহান সেন্টু, মোশারফ মন্ডল, সলিম মিয়া। উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে আব্দুল মজিদ মাস্টার, মাহাবুবুর রহমান মধু, আব্দুল গণি, আব্দুল মহিত লাল্টু, আমজাদ হোসেন, বাবুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম রফিক, শ্রী মহিমা রনজন পাল বাটুল, আব্দুর রশিদ মারা গেছেন।

আক্কাস আলী আরও জানান, ২০০৩ সালে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি ও ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেকবারই নতুন কমিটি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘দলের কেউ কেউ চান না বলেই নতুন কমিটি করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতারাও একাধিকবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি গঠন না হওয়ায় সংগঠন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। নেই দলের কোনো কার্যালয়। ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’

পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর কমিটি গঠন করার নিয়ম। অথচ ১৮ বছর পেরোলেও নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এতে নেতৃত্বের জট তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় গঠনতন্ত্রের মর্যাদা রাখতে পারেননি এ কমিটির নেতারা। এ দায় এড়াতে পারেন না জেলার নেতারাও।’ দ্রুত তিনি এ কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল বলেন, ‘নতুন কমিটি করার কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি।’ দ্রুত নতুন কমিটি করার আশ্বাস দেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পরই করোনা জটিলতার কারণে পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে।