কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুস্থদের মধ্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ এবং ওএমএসের ৩০ টাকা দরের পচা, গন্ধ, ছত্রাকযুক্ত ও নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগীরা চাল উত্তোলনের পর এ অভিযোগ করেছেন।
চাল উত্তোলনকারী কুমারখালীর কলেজপাড়ার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৪৫) বলেন, ‘সরকারিভাবে যে চাল দিচ্ছে তা কোনোভাবেই খাওয়ার উপযোগী নয়। রান্নার সময় ভালো চাল মিশাতে হয়।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, পচা, ছত্রাকযুক্ত, পোকামাকড় ও দুর্গন্ধ চাল দেওয়া হচ্ছে। গরিব মানুষ আমরা। বাধ্য হয়ে এখান থেকে কার্ডের মাধ্যমে কম টাকায় চাল কিনি। কিন্তু তা খাওয়া যায় না।
জানা গেছে, কুমারখালী পৌরসভার দুটি পয়েন্টে সরকারি চাল বিক্রয় করা হয়। গত সোমবার পৌর এলাকার দুটি ওএমএসের চালের ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চালের মধ্যে বেশ কয়েক বস্তা পচা, ছত্রাকযুক্ত, দুর্গন্ধযুক্ত।
এ বিষয়ে ওএমএসের চালের ডিলার মিজানুর রহমান বলেন, ‘খাদ্য গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করি। মাঝে মধ্যেই ভালো চালের মধ্যে খারাপ চাল পাওয়া যায়। সব বস্তা তো আর দেখে নেওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য গুদাম যা দেয়, তাই বিতরণ করি। কিন্তু জনগণ নিতে চায় না।’
আরেক ডিলার মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ডিলাররা অসহায়। ডিলারশিপ বাতিলের ভয়ে কিছু বলতে পারি না। খাদ্য গুদাম সার্চ করলে এ রকম বহু বস্তা নষ্ট চাল পাওয়া যাবে।’
চাল নিতে আসা মালিয়াট গ্রামের আকলিমা খাতুন (৪০) বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে এই সরকারি চাল কিনে খাই। মাঝে মধ্যেই পচা লাল চাল দেয়, কিন্তু কিছু বলতে পারি না। কারণ গরিবের কথা শুনবে কে?’ আরেক ভুক্তভোগী উপজেলার বাটিকামারা এলাকার শাহনাজ বেগম। তিনি বলেন, ‘ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যখন পচা চাল পাই, তখন আর মনে চায় না সরকারি চাল নিতে আসি। বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে আসি।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এরশাদ আলী বলেন, ‘খাদ্যগুদামের চালের অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে নিম্নমানের চাল যাতে গুদামে না আসে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবাল বলেন, ‘চাল ডিলাররা দেখে নেন। চালের মান নিয়ে কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে অভিযোগ শুনেছিলাম। চালের মান নিয়ে ডিলারদের প্রত্যয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কোনো ডিলার প্রত্যয়ন দেননি। আগের মতোই সব চলতে থাকলে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুস্থদের মধ্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ এবং ওএমএসের ৩০ টাকা দরের পচা, গন্ধ, ছত্রাকযুক্ত ও নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগীরা চাল উত্তোলনের পর এ অভিযোগ করেছেন।
চাল উত্তোলনকারী কুমারখালীর কলেজপাড়ার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৪৫) বলেন, ‘সরকারিভাবে যে চাল দিচ্ছে তা কোনোভাবেই খাওয়ার উপযোগী নয়। রান্নার সময় ভালো চাল মিশাতে হয়।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, পচা, ছত্রাকযুক্ত, পোকামাকড় ও দুর্গন্ধ চাল দেওয়া হচ্ছে। গরিব মানুষ আমরা। বাধ্য হয়ে এখান থেকে কার্ডের মাধ্যমে কম টাকায় চাল কিনি। কিন্তু তা খাওয়া যায় না।
জানা গেছে, কুমারখালী পৌরসভার দুটি পয়েন্টে সরকারি চাল বিক্রয় করা হয়। গত সোমবার পৌর এলাকার দুটি ওএমএসের চালের ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চালের মধ্যে বেশ কয়েক বস্তা পচা, ছত্রাকযুক্ত, দুর্গন্ধযুক্ত।
এ বিষয়ে ওএমএসের চালের ডিলার মিজানুর রহমান বলেন, ‘খাদ্য গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করি। মাঝে মধ্যেই ভালো চালের মধ্যে খারাপ চাল পাওয়া যায়। সব বস্তা তো আর দেখে নেওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য গুদাম যা দেয়, তাই বিতরণ করি। কিন্তু জনগণ নিতে চায় না।’
আরেক ডিলার মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ডিলাররা অসহায়। ডিলারশিপ বাতিলের ভয়ে কিছু বলতে পারি না। খাদ্য গুদাম সার্চ করলে এ রকম বহু বস্তা নষ্ট চাল পাওয়া যাবে।’
চাল নিতে আসা মালিয়াট গ্রামের আকলিমা খাতুন (৪০) বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে এই সরকারি চাল কিনে খাই। মাঝে মধ্যেই পচা লাল চাল দেয়, কিন্তু কিছু বলতে পারি না। কারণ গরিবের কথা শুনবে কে?’ আরেক ভুক্তভোগী উপজেলার বাটিকামারা এলাকার শাহনাজ বেগম। তিনি বলেন, ‘ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যখন পচা চাল পাই, তখন আর মনে চায় না সরকারি চাল নিতে আসি। বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে আসি।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এরশাদ আলী বলেন, ‘খাদ্যগুদামের চালের অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে নিম্নমানের চাল যাতে গুদামে না আসে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবাল বলেন, ‘চাল ডিলাররা দেখে নেন। চালের মান নিয়ে কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে অভিযোগ শুনেছিলাম। চালের মান নিয়ে ডিলারদের প্রত্যয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কোনো ডিলার প্রত্যয়ন দেননি। আগের মতোই সব চলতে থাকলে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে