জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
টার্মিনালজুড়ে বড় বড় গর্ত। খানাখন্দের কারণে হাঁটাও দায়। জায়গায় জায়গায় জমে আছে বৃষ্টির পানি। টার্মিনালের আবর্জনা নিয়মিত অপসারণ না করায় তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই এলোমেলোভাবে বাসগুলো রাখা। কাদাপানি, ময়লা-আবর্জনা মাড়িয়েই বাসে উঠতে হয় যাত্রীদের। মূল রাস্তায় বাস থামিয়েও চলে যাত্রী ওঠানামা। এতে তীব্র যানজট তৈরি হয় পুরো এলাকায়। এ ছাড়া সন্ধ্যার পরেই বসে মাদকের আসর। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের চিত্র এখন এমনই।
কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অব্যবস্থাপনার কারণে টার্মিনালটির এমন দশা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৮৪ সালের নভেম্বরে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর দেশের বিভিন্ন জেলায় চলাচলের জন্য রয়েছে সাতটি সাব-টার্মিনাল বা এলাকা। এখান থেকে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি বাস বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা ৮০০ বাসের।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও বৃহত্তর কুমিল্লার অংশে জলাবদ্ধতা। ময়লা-নোংরা পানির ওপর বাসগুলো রাখা। বরিশাল রুটের বাসের হেলপার আলামিন বলেন, ‘নোংরা পানির কারণে আমাদের চর্মরোগ হচ্ছে। তা ছাড়া দুর্গন্ধের মধ্যেই বাস নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন।’
ঢাকা থেকে খুলনা যাবেন রেশমা। বাস ছাড়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে রেশমা বলেন, ‘একটি আন্তজেলা বাস টার্মিনালের এমন চিত্র! এটা কল্পনাও করা যায় না। যতবারই ঢাকা আসি, এখান দিয়ে যাইতি কষ্ট হয়।’
বাসচালক কাঞ্চন জানান, প্রায় প্রতিদিনই রাতের বেলা টার্মিনালে ঘুমাতে হয় শ্রমিকদের। নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাত হলেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। জলাবদ্ধতা ও গর্তের কারণে বাসের চাকাও বেশি নষ্ট হয়। জলাবদ্ধতা দূর করতে মাঝেমধ্যে মালিক সমিতির উদ্যোগে ইটের সুরকি ফেলা হয়। কিন্তু এসব দুর্ভোগের স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের ভেতরে থাকা যাত্রীছাউনিগুলোর বেশির ভাগই চলে গেছে বাস কাউন্টার ও দোকানিদের দখলে। শুধু একটি ছাউনি দখল হয়নি। কিন্তু সেটি ব্যবহারের উপযোগী নয়। তা ছাড়া এত বড় টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য টয়লেট আছে মাত্র ছয়টি, যার প্রায় সব কটিই অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা।
টার্মিনালের পাশাপাশি মূল রাস্তাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। বেশির ভাগ বাসই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার না করে নিচের রাস্তা ব্যবহার করে। বিশেষ করে টার্মিনালের সামনের দিকে থাকা হাজীগঞ্জ, লাকসাম রুটের বাস দীর্ঘ সময় মূল রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যানজট সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যার পর টার্মিনালের ভেতরে দেখা যায়, মাদক সেবনের মহোৎসব চলছে। টার্মিনালের কিছু জায়গায় বাতি অকেজো থাকার সুযোগ নিয়ে অন্ধকারে চলে মাদক সেবন। পরিবহনশ্রমিকদের সঙ্গে আশপাশের এলাকার যুবকেরাও এতে যোগ দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহনশ্রমিক জানান, টার্মিনাল ঘিরে সক্রিয় রয়েছে শক্তিশালী মাদক চক্র। যারা খুব সহজেই মাদক পৌঁছে দিচ্ছে এখানে।
সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে। বর্ষাকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। সম্প্রতি ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ এসে টার্মিনাল দেখে গিয়েছে। আমরা আশা করব, তাঁরা দ্রুত বর্ষার আগে আগে সব ঠিক করবে।’
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনাল করা হবে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ কাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’
টার্মিনালজুড়ে বড় বড় গর্ত। খানাখন্দের কারণে হাঁটাও দায়। জায়গায় জায়গায় জমে আছে বৃষ্টির পানি। টার্মিনালের আবর্জনা নিয়মিত অপসারণ না করায় তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই এলোমেলোভাবে বাসগুলো রাখা। কাদাপানি, ময়লা-আবর্জনা মাড়িয়েই বাসে উঠতে হয় যাত্রীদের। মূল রাস্তায় বাস থামিয়েও চলে যাত্রী ওঠানামা। এতে তীব্র যানজট তৈরি হয় পুরো এলাকায়। এ ছাড়া সন্ধ্যার পরেই বসে মাদকের আসর। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের চিত্র এখন এমনই।
কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অব্যবস্থাপনার কারণে টার্মিনালটির এমন দশা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৮৪ সালের নভেম্বরে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর দেশের বিভিন্ন জেলায় চলাচলের জন্য রয়েছে সাতটি সাব-টার্মিনাল বা এলাকা। এখান থেকে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি বাস বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা ৮০০ বাসের।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও বৃহত্তর কুমিল্লার অংশে জলাবদ্ধতা। ময়লা-নোংরা পানির ওপর বাসগুলো রাখা। বরিশাল রুটের বাসের হেলপার আলামিন বলেন, ‘নোংরা পানির কারণে আমাদের চর্মরোগ হচ্ছে। তা ছাড়া দুর্গন্ধের মধ্যেই বাস নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন।’
ঢাকা থেকে খুলনা যাবেন রেশমা। বাস ছাড়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে রেশমা বলেন, ‘একটি আন্তজেলা বাস টার্মিনালের এমন চিত্র! এটা কল্পনাও করা যায় না। যতবারই ঢাকা আসি, এখান দিয়ে যাইতি কষ্ট হয়।’
বাসচালক কাঞ্চন জানান, প্রায় প্রতিদিনই রাতের বেলা টার্মিনালে ঘুমাতে হয় শ্রমিকদের। নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাত হলেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। জলাবদ্ধতা ও গর্তের কারণে বাসের চাকাও বেশি নষ্ট হয়। জলাবদ্ধতা দূর করতে মাঝেমধ্যে মালিক সমিতির উদ্যোগে ইটের সুরকি ফেলা হয়। কিন্তু এসব দুর্ভোগের স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের ভেতরে থাকা যাত্রীছাউনিগুলোর বেশির ভাগই চলে গেছে বাস কাউন্টার ও দোকানিদের দখলে। শুধু একটি ছাউনি দখল হয়নি। কিন্তু সেটি ব্যবহারের উপযোগী নয়। তা ছাড়া এত বড় টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য টয়লেট আছে মাত্র ছয়টি, যার প্রায় সব কটিই অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা।
টার্মিনালের পাশাপাশি মূল রাস্তাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। বেশির ভাগ বাসই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার না করে নিচের রাস্তা ব্যবহার করে। বিশেষ করে টার্মিনালের সামনের দিকে থাকা হাজীগঞ্জ, লাকসাম রুটের বাস দীর্ঘ সময় মূল রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যানজট সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যার পর টার্মিনালের ভেতরে দেখা যায়, মাদক সেবনের মহোৎসব চলছে। টার্মিনালের কিছু জায়গায় বাতি অকেজো থাকার সুযোগ নিয়ে অন্ধকারে চলে মাদক সেবন। পরিবহনশ্রমিকদের সঙ্গে আশপাশের এলাকার যুবকেরাও এতে যোগ দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহনশ্রমিক জানান, টার্মিনাল ঘিরে সক্রিয় রয়েছে শক্তিশালী মাদক চক্র। যারা খুব সহজেই মাদক পৌঁছে দিচ্ছে এখানে।
সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে। বর্ষাকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। সম্প্রতি ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ এসে টার্মিনাল দেখে গিয়েছে। আমরা আশা করব, তাঁরা দ্রুত বর্ষার আগে আগে সব ঠিক করবে।’
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনাল করা হবে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ কাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে